ভিয়েনা ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরাদ্দ পাঁচ লাখ, চার লাখই আত্মসাতের অভিযোগ

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৭:১৫:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৮ সময় দেখুন
ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহন উপজেলার করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসায় বরাদ্দের পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে চার লাখ টাকাই আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন পারফরমেন্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশন (পিবিজিএসআই) স্ক্রিমের আওতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহের স্কুল-মাদরাসা-কলেজ ব্যবস্থাপনা জবাবদিহি অনুদান (এসএমএজি/এমএমএজি/জিবিএজি) হিসাবে পাঁচ লক্ষ টাকা ওই মাদরাসার ৫টি খাতে বরাদ্দ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়- শিক্ষকদের প্রণোদনা, বইপত্র লাইব্রেরি শিক্ষা উপকরণ এবং গবেষণাগার সরঞ্জাম ইত্যাদি, শিক্ষার্থীদের ফ্যাসিলিটি, সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সহায়তা ও প্রতিবন্ধী বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ফ্যাসিলিটির উন্নয়নের জন্য করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসায় পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। ওই বরাদ্দ থেকে কেবল মাদরাসার টিনসেড ভবনের পুরনো টিনের যায়গায় কিছু স্থানে নতুন টিন লাগানো হয়। তবে অভিযোগ রয়েছে, পুরনো টিন বিক্রি করেই নতুনভাবে ওই টিন লাগানো হয়। বাকি অন্য সব বরাদ্দের টাকা নিজেই আত্মসাৎ করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. রুহুল আমিন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসার কয়েকজন শিক্ষক বলেন, বরাদ্দের টাকা ব্যয়ের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও অধ্যক্ষ তা করেননি। প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় নিজের সন্তানদের নিয়ে মাদরাসার পুরনো টিন খুলে বিক্রি করেন তিনি। ওই টাকার সঙ্গে বরাদ্দের কিছু টাকা যোগ করে নতুন টিন লাগান। এতে করে ওই বরাদ্দ থেকে লাখখানেক টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে বরাদ্দে উল্লেখ করা অন্য কোনো খাতে এক টাকাও ব্যয় করেননি অধ্যক্ষ মাওলানা মো. রুহুল আমিন। যার মাধ্যমে অন্তত চার লাখ টাকা একাই আত্মসাৎ করেছেন তিনি। তার এসব বিষয়ে কোনো কথা বললে নানানভাবে হয়রানী হতে হয় মাদরাসার শিক্ষকদের। যার জন্য অধ্যক্ষ রুহুল আমিনের অনিয়ম-দুর্ণীতি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে না রাজ শিক্ষকরা।
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. রুহুল আমিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ওই মাদরাসায় গেলে বন্ধ পাওয়া যায়। যার জন্য কোনোভাবেই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে পারফরমেন্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশন (পিবিজিএসআই) স্ক্রিমের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. মাহফুজ আলম জানান, বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। তবুও কেউ যদি এ টাকা আত্মসাৎ করে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস 
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

বরাদ্দ পাঁচ লাখ, চার লাখই আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেটের সময় ০৭:১৫:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহন উপজেলার করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসায় বরাদ্দের পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে চার লাখ টাকাই আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন পারফরমেন্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশন (পিবিজিএসআই) স্ক্রিমের আওতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহের স্কুল-মাদরাসা-কলেজ ব্যবস্থাপনা জবাবদিহি অনুদান (এসএমএজি/এমএমএজি/জিবিএজি) হিসাবে পাঁচ লক্ষ টাকা ওই মাদরাসার ৫টি খাতে বরাদ্দ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়- শিক্ষকদের প্রণোদনা, বইপত্র লাইব্রেরি শিক্ষা উপকরণ এবং গবেষণাগার সরঞ্জাম ইত্যাদি, শিক্ষার্থীদের ফ্যাসিলিটি, সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সহায়তা ও প্রতিবন্ধী বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ফ্যাসিলিটির উন্নয়নের জন্য করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসায় পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। ওই বরাদ্দ থেকে কেবল মাদরাসার টিনসেড ভবনের পুরনো টিনের যায়গায় কিছু স্থানে নতুন টিন লাগানো হয়। তবে অভিযোগ রয়েছে, পুরনো টিন বিক্রি করেই নতুনভাবে ওই টিন লাগানো হয়। বাকি অন্য সব বরাদ্দের টাকা নিজেই আত্মসাৎ করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. রুহুল আমিন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসার কয়েকজন শিক্ষক বলেন, বরাদ্দের টাকা ব্যয়ের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও অধ্যক্ষ তা করেননি। প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় নিজের সন্তানদের নিয়ে মাদরাসার পুরনো টিন খুলে বিক্রি করেন তিনি। ওই টাকার সঙ্গে বরাদ্দের কিছু টাকা যোগ করে নতুন টিন লাগান। এতে করে ওই বরাদ্দ থেকে লাখখানেক টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে বরাদ্দে উল্লেখ করা অন্য কোনো খাতে এক টাকাও ব্যয় করেননি অধ্যক্ষ মাওলানা মো. রুহুল আমিন। যার মাধ্যমে অন্তত চার লাখ টাকা একাই আত্মসাৎ করেছেন তিনি। তার এসব বিষয়ে কোনো কথা বললে নানানভাবে হয়রানী হতে হয় মাদরাসার শিক্ষকদের। যার জন্য অধ্যক্ষ রুহুল আমিনের অনিয়ম-দুর্ণীতি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে না রাজ শিক্ষকরা।
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. রুহুল আমিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ওই মাদরাসায় গেলে বন্ধ পাওয়া যায়। যার জন্য কোনোভাবেই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে পারফরমেন্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশন (পিবিজিএসআই) স্ক্রিমের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. মাহফুজ আলম জানান, বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। তবুও কেউ যদি এ টাকা আত্মসাৎ করে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস