ভিয়েনা ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালমোহনে ব্রোকলি চাষে লাভের স্বপ্ন বুনছেন যুবক সুমন

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৩:১২:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৯ সময় দেখুন

ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: ২৬ বছর বয়সী যুবক মো. সুমন। এক সময় বাজারের খাবার হোটেলে কাজ করতেন। তখন থেকেই তার স্বপ্ন ও আগ্রহ জাগে কৃষি কাজের। নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে তিন বছর আগে খাবার হোটেলের কাজ ছেড়ে দেন যুবক সুমন। এরপর শুরু করেন কৃষি কাজ। তারপর থেকেই  নিজের বাড়ির আঙিনার ও অন্যের জমি লগ্নি রেখে কৃষি কাজ শুরু করেন তিনি। যুবক সুমন প্রতি বছর বিভিন্ন ধরনের কৃষি ফসল ও সবজি চাষ করলেও এ বছর তিনি ব্রোকলি চাষ করেছেন।

ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গাজী বাড়ির মো. সিরাজের ছেলে যুবক সুমন। নিজ বাড়ির আঙিনায় চাষ করা ওইসব ব্রোকলিগুলোকে নিয়মিত পরম যতেœ পরিচর্যা করছেন তিনি। গাছগুলোতে ইতোমধ্যে সবুজ রঙ মেখে আসতে শুরু করেছে ব্রোকলি।

যুবক সুমন বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এ বছর প্রথমবারের মতো প্রায় ৩৫ শতাংশ জমিতে সুন্দরী জাতের ব্রোকলি চাষ করেছি। এ জন্য আমাকে কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বীজ, সার ও জালসহ প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ দিয়েছে। ব্রোকলি গাছগুলোতে এরই মধ্যে ফলন আসা শুরু করেছে। এসব ফলন পরিপূর্ণ হতে এখনো অন্তত ১৫ দিনের মতো সময় লাগবে।

তিনি আরো বলেন, পরিপূর্ণ একটি ব্রোকলি দুই থেকে আড়াই কেজি হয়। বর্তমান বাজারে এর অনেক চাহিদা রয়েছে। প্রতি কেজি ব্রোকলি পঞ্চাশ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে।  আশা করছি- আমার এখান থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকার মতো ব্রোকলি বিক্রি করতে পারবো। ফলন পরিপূর্ণ হওয়া পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ জমিতে মোট খরচ হতে পারে বিশ হাজার টাকা। সামনেও এ চাষ অব্যাহত রাখবো ইনশাআল্লাহ।

যুবক সুমনের প্রতিবেশী মো. রফিক হাওলাদার জানান, আমাদের এলাকায় এই প্রথম ব্রোকলি চাষ হয়েছে। ব্রোকলিগুলো দেখতেও অনেক সুন্দর। সুমনের ক্ষেতে যে পরিমাণ ফলন রয়েছে, আশা করছি এসব বিক্রি শেষে ভালো লাভবান হতে পারবেন তিনি। আগামীতে নিজেও এই ব্রোকলি চাষের কথা ভাবছি।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা টুটুল চন্দ্র সাহা বলেন, যুবক সুমন আমার কাছে ব্রোকলি চাষের আগ্রহের কথা জানান। এরপর তাকে বিনামূল্যে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সুন্দরী জাতের বীজ, সার, জাল ও প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় আরো বিভিন্ন ধরনের কৃষি উপকরণ প্রদান করি। ব্রোকলি চাষি যুবক সুমন আমাদের পরামর্শ মেনে চাষাবাদ করেছে, যার ফলে তার গাছগুলোতে সুন্দরভাবে ফলন আসতে শুরু করেছে। আশা করছি; প্রথমবার এই ব্রোকলি চাষ করে তিনি আশানূরূপ লাভবান হবেন।

জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

লালমোহনে ব্রোকলি চাষে লাভের স্বপ্ন বুনছেন যুবক সুমন

আপডেটের সময় ০৩:১২:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: ২৬ বছর বয়সী যুবক মো. সুমন। এক সময় বাজারের খাবার হোটেলে কাজ করতেন। তখন থেকেই তার স্বপ্ন ও আগ্রহ জাগে কৃষি কাজের। নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে তিন বছর আগে খাবার হোটেলের কাজ ছেড়ে দেন যুবক সুমন। এরপর শুরু করেন কৃষি কাজ। তারপর থেকেই  নিজের বাড়ির আঙিনার ও অন্যের জমি লগ্নি রেখে কৃষি কাজ শুরু করেন তিনি। যুবক সুমন প্রতি বছর বিভিন্ন ধরনের কৃষি ফসল ও সবজি চাষ করলেও এ বছর তিনি ব্রোকলি চাষ করেছেন।

ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গাজী বাড়ির মো. সিরাজের ছেলে যুবক সুমন। নিজ বাড়ির আঙিনায় চাষ করা ওইসব ব্রোকলিগুলোকে নিয়মিত পরম যতেœ পরিচর্যা করছেন তিনি। গাছগুলোতে ইতোমধ্যে সবুজ রঙ মেখে আসতে শুরু করেছে ব্রোকলি।

যুবক সুমন বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এ বছর প্রথমবারের মতো প্রায় ৩৫ শতাংশ জমিতে সুন্দরী জাতের ব্রোকলি চাষ করেছি। এ জন্য আমাকে কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বীজ, সার ও জালসহ প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ দিয়েছে। ব্রোকলি গাছগুলোতে এরই মধ্যে ফলন আসা শুরু করেছে। এসব ফলন পরিপূর্ণ হতে এখনো অন্তত ১৫ দিনের মতো সময় লাগবে।

তিনি আরো বলেন, পরিপূর্ণ একটি ব্রোকলি দুই থেকে আড়াই কেজি হয়। বর্তমান বাজারে এর অনেক চাহিদা রয়েছে। প্রতি কেজি ব্রোকলি পঞ্চাশ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে।  আশা করছি- আমার এখান থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকার মতো ব্রোকলি বিক্রি করতে পারবো। ফলন পরিপূর্ণ হওয়া পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ জমিতে মোট খরচ হতে পারে বিশ হাজার টাকা। সামনেও এ চাষ অব্যাহত রাখবো ইনশাআল্লাহ।

যুবক সুমনের প্রতিবেশী মো. রফিক হাওলাদার জানান, আমাদের এলাকায় এই প্রথম ব্রোকলি চাষ হয়েছে। ব্রোকলিগুলো দেখতেও অনেক সুন্দর। সুমনের ক্ষেতে যে পরিমাণ ফলন রয়েছে, আশা করছি এসব বিক্রি শেষে ভালো লাভবান হতে পারবেন তিনি। আগামীতে নিজেও এই ব্রোকলি চাষের কথা ভাবছি।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা টুটুল চন্দ্র সাহা বলেন, যুবক সুমন আমার কাছে ব্রোকলি চাষের আগ্রহের কথা জানান। এরপর তাকে বিনামূল্যে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সুন্দরী জাতের বীজ, সার, জাল ও প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় আরো বিভিন্ন ধরনের কৃষি উপকরণ প্রদান করি। ব্রোকলি চাষি যুবক সুমন আমাদের পরামর্শ মেনে চাষাবাদ করেছে, যার ফলে তার গাছগুলোতে সুন্দরভাবে ফলন আসতে শুরু করেছে। আশা করছি; প্রথমবার এই ব্রোকলি চাষ করে তিনি আশানূরূপ লাভবান হবেন।

জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস