ভিয়েনা ০৮:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইতালির ফ্যাশন মঞ্চে হিজাব পড়া এক বাংলাদেশি নারী

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৮:২২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৮ সময় দেখুন

ইতালির রাজধানী রোমে এক ফ্যাশন ডিজাইনের শোতে ১৯ জন অভিবাসন নারীর সাথে ছিলেন একজন হিজাব পড়া বাংলাদেশী নারী

ইউরোপ ডেস্কঃ সম্প্রতি ইতালির রাজধানী রোমে শেষ হয়েছে ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চাওয়া ১৯ জন অভিবাসীর ছয় মাসের একটি প্রশিক্ষণ কোর্স। ইতালির এই ‘রিফিউজিস লাইভ ফ্যাশন শো’-তে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশি নারী ফিরদৌসী বেগম ৷ হিজাব পরে মঞ্চে হেঁটেছেন এই ফ্যাশন ডিজাইনার ৷

ইউরোপের বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত অভিবাসন বিষয়ক অনলাইন পত্রিকা ইনফোমাইগ্রেন্টস তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, নিজেদের দেশ ছেড়ে এসেও কোথাও যেন ঘর খুঁজে পেয়েছেন এই মানুষগুলো৷ তারা মেতেছেন আপন সৃজনশীলতা বিকাশের এক মহা আনন্দে৷ ইতালির ফ্যাশন জগতে নিজেদের জায়গা খুঁজে নিতে চাইছেন কয়েকজন অভিবাসী নারী।

নতুন উদ্যমে বাঁচা: ফ্যাশন শো থেকে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, দুই বছরেরও কম সময় আগে ৩৫ বছর বয়সি ইউলিয়া দোব্রোহুরস্কা ইউক্রেনীয় শহর কোনোটোপে রুশ বোমা হামলায় প্রাণ হারানোর ভয় পেয়েছিলেন ৷ দেশ ছেড়ে আশ্রয় নেন ইতালিতে ৷ সেখানেই ‘ফ্যাশন জুয়েলার্স’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে চান এখন ৷ রোমের একটি গয়নার দোকানে শিক্ষানবিশ হিসাবে কাজ শুরু করবেন ইউলিয়া ৷

পেশাদার মডেলের পাশাপাশি রোমের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত ‘রিফিউজিস লাইভ ফ্যাশন শো‘-র ক্যাটওয়াকের মঞ্চে পা মেলান ইউলিয়া৷ শরণার্থীদের তৈরি আটটি পোশাক এবং নানা রকম নকশার গয়না পরেছিলেন ইভেন্টের মডেলরা ৷

যুদ্ধ, সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের মুক্তির দরজা খুলে দিয়েছিলো এই ফ্যাশন ইভেন্ট৷ গাম্বিয়ার অভিবাসী এবং গয়না ডিজাইনার ওউসমান থর্প অনুষ্ঠানের শেষে দর্শকদের কৃতজ্ঞতা জানান ৷

রোমের মায়ানি ফ্যাশন অ্যাকাডেমি আয়োজিত কোর্সের সময় ইউলিয়ার মতোই গয়না তৈরির প্রাথমিক খোদাইয়ের কাজ, মোম ঢালাই এবং এমবোসিং কৌশল (ছবি বা নামও যেখানে ধাতুর সাহায্যে খোদাই করা যায়) শিখেছিলেন ওলেনা জাবহোরোদনিয়াও৷ তিনি ইউক্রেনীয় এক শরণার্থী ৷

উল্লেখ্য যে,মায়ানি অ্যাকাডেমি ১১০টি সংস্থার একটি নেটওয়ার্কের অংশ৷ শিল্পের মাধ্যমে ৯৫টি দেশের আশ্রয়প্রার্থী এবং শরণার্থীদের কর্মসংস্থানে একীভূতকরণের কাজ করে তারা৷ সংস্থাটি মনে করে, ‘সংস্কৃতিই স্বাস্থ্য৷’ মায়ানির এই কোর্সের ফলে অভিবাসীরা ইতালীয় সংস্কৃতিতে একীভূত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন৷ এছাড়া ভাষা শেখারও সুযোগ ছিল ৷

ইউক্রেনের ইয়ানা কসলভস্কাও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এখানে৷ তিনিও একজন জুয়েলারি ডিজাইনার ৷

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ইতালির ফ্যাশন মঞ্চে হিজাব পড়া এক বাংলাদেশি নারী

আপডেটের সময় ০৮:২২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

ইতালির রাজধানী রোমে এক ফ্যাশন ডিজাইনের শোতে ১৯ জন অভিবাসন নারীর সাথে ছিলেন একজন হিজাব পড়া বাংলাদেশী নারী

ইউরোপ ডেস্কঃ সম্প্রতি ইতালির রাজধানী রোমে শেষ হয়েছে ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চাওয়া ১৯ জন অভিবাসীর ছয় মাসের একটি প্রশিক্ষণ কোর্স। ইতালির এই ‘রিফিউজিস লাইভ ফ্যাশন শো’-তে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশি নারী ফিরদৌসী বেগম ৷ হিজাব পরে মঞ্চে হেঁটেছেন এই ফ্যাশন ডিজাইনার ৷

ইউরোপের বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত অভিবাসন বিষয়ক অনলাইন পত্রিকা ইনফোমাইগ্রেন্টস তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, নিজেদের দেশ ছেড়ে এসেও কোথাও যেন ঘর খুঁজে পেয়েছেন এই মানুষগুলো৷ তারা মেতেছেন আপন সৃজনশীলতা বিকাশের এক মহা আনন্দে৷ ইতালির ফ্যাশন জগতে নিজেদের জায়গা খুঁজে নিতে চাইছেন কয়েকজন অভিবাসী নারী।

নতুন উদ্যমে বাঁচা: ফ্যাশন শো থেকে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, দুই বছরেরও কম সময় আগে ৩৫ বছর বয়সি ইউলিয়া দোব্রোহুরস্কা ইউক্রেনীয় শহর কোনোটোপে রুশ বোমা হামলায় প্রাণ হারানোর ভয় পেয়েছিলেন ৷ দেশ ছেড়ে আশ্রয় নেন ইতালিতে ৷ সেখানেই ‘ফ্যাশন জুয়েলার্স’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে চান এখন ৷ রোমের একটি গয়নার দোকানে শিক্ষানবিশ হিসাবে কাজ শুরু করবেন ইউলিয়া ৷

পেশাদার মডেলের পাশাপাশি রোমের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত ‘রিফিউজিস লাইভ ফ্যাশন শো‘-র ক্যাটওয়াকের মঞ্চে পা মেলান ইউলিয়া৷ শরণার্থীদের তৈরি আটটি পোশাক এবং নানা রকম নকশার গয়না পরেছিলেন ইভেন্টের মডেলরা ৷

যুদ্ধ, সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের মুক্তির দরজা খুলে দিয়েছিলো এই ফ্যাশন ইভেন্ট৷ গাম্বিয়ার অভিবাসী এবং গয়না ডিজাইনার ওউসমান থর্প অনুষ্ঠানের শেষে দর্শকদের কৃতজ্ঞতা জানান ৷

রোমের মায়ানি ফ্যাশন অ্যাকাডেমি আয়োজিত কোর্সের সময় ইউলিয়ার মতোই গয়না তৈরির প্রাথমিক খোদাইয়ের কাজ, মোম ঢালাই এবং এমবোসিং কৌশল (ছবি বা নামও যেখানে ধাতুর সাহায্যে খোদাই করা যায়) শিখেছিলেন ওলেনা জাবহোরোদনিয়াও৷ তিনি ইউক্রেনীয় এক শরণার্থী ৷

উল্লেখ্য যে,মায়ানি অ্যাকাডেমি ১১০টি সংস্থার একটি নেটওয়ার্কের অংশ৷ শিল্পের মাধ্যমে ৯৫টি দেশের আশ্রয়প্রার্থী এবং শরণার্থীদের কর্মসংস্থানে একীভূতকরণের কাজ করে তারা৷ সংস্থাটি মনে করে, ‘সংস্কৃতিই স্বাস্থ্য৷’ মায়ানির এই কোর্সের ফলে অভিবাসীরা ইতালীয় সংস্কৃতিতে একীভূত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন৷ এছাড়া ভাষা শেখারও সুযোগ ছিল ৷

ইউক্রেনের ইয়ানা কসলভস্কাও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এখানে৷ তিনিও একজন জুয়েলারি ডিজাইনার ৷

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস