ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশনে প্রাইভেট পড়তে না যাওয়ায় বোনের বকাঝকা সহ্য করতে না পেরে গলায় রশি পেঁচিয়ে ফাঁস নিয়েছে আবিদ হোসেন (১৩) নামে ৭ম শ্রেণিতে পড়া এক শিক্ষার্থী। ওই শিশুটি আত্মহত্যার পর তার লাশ পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সায়েম মিয়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
চরফ্যাশন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইকবাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবিদ মাদরাসা শিক্ষক মাইনুদ্দিন ও জান্নাতুল ফেরদৌস দম্পতির একমাত্র সন্তান। তার বাবা মাইনুদ্দিন উপজেলার লতিফ মিয়ার হাট ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক। আবিদ চরফ্যাশনের টিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র এবং সে ক্লাসের ফার্স্টবয় ছিল। তার বড় বোন আসফিয়া জাহান খুশবু চরফ্যাশন সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এসআই ইকবাল হোসেন আবিদের পরিবারের বরাতে এ তথ্য জানান।
চরফ্যাশনের আবদুল্লাহপুরে আবিদের এক মামাতো ভাইয়ের এক্সিডেন্ট হয়েছে। তাকে দেখতে সকালে আবিদের বাবা-মা আবদুল্লাহপুরে গিয়েছিলেন। বিকেল ৫ টায় তার বোন আসফিয়া জাহান খুশবু প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ সময় খুশবু আবিদকেও প্রাইভেট পড়তে যেতে বলে। কিন্তু আবিদ প্রাইভেট পড়তে যেতে চায়নি। সেজন্য তার বোন খুশবু তাকে বকাঝকা করে প্রাইভেটে চলে যায়। প্রাইভেট থেকে ফিরে খুশবু ঘরে ঢুকে দেখতে পায় যে তার ভাই আবিদ গলায় রশি পেঁচিয়ে ফাঁস নিয়ে ঘরে থাকা সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। তখন বাড়ির আশেপাশের লোকজন আবিদকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, এ ঘটনায় আবিদের পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। তার পরিবার বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস