২০২৩ সালের প্রথম ১১ মাসে রোমানিয়া-ইইউ সীমান্তে নাগরিকদের রেকর্ড পারাপার নথিভুক্ত করা হয়েছে
ইউরোপ ডেস্কঃ শুক্রবার (৫ জানুয়ারী) ইউরোপের ছয়টি ভাষায় প্রকাশিত অভিবাসন বিষয়ক অনলাইন পোর্টাল ইনফোমাইগ্র্যান্টস রোমানিয়ান পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে এতথ্য জানিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,উক্ত সময়ে সীমান্তে নথিভুক্ত করা হয়েছে ৬ কোটি ১৮ লাখ ৫৬ হাজার ৮৩৬টি পারাপার। এই সংখ্যার মধ্যে এক কোটি ৭৬ লাখ ৪৭ হাজার ৮৬৯টি পারাপারের সাথে যুক্ত ইউরোপের বাইরের দেশের নাগরিকেরা। রোমানিয়া সীমান্ত পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এই সংখ্যাটি ২০২২ সালের চেয়ে ১৪ দশমিক ৭ ভাগ বেশি।
সবচেয়ে বেশি এক কোটি ৪৭ লাখ ৯৪ হাজার ৭০৩টি ক্রসিং নিবন্ধিত হয়েছে রোমানিয়া-হাঙ্গেরি সীমান্তে। যা আগের বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৯ ভাগ বেশি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পারাপার নথিভুক্ত হয়েছে রোমানিয়া-মলদোভা সীমান্তে। যা আগের বছরের তুলনায় ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। তৃতীয় স্থানে ছিল রোমানিয়া-বুলগেরিয়া সীমান্ত।
চতুর্থ স্থানে আছে রোমানিয়া ইউক্রেন-সীমান্ত (২৫.৩% বেশি) এবং সবশেষ আছে রোমানিয়া-সার্বিয়া (২৫.৬% বেশি) বর্ডার। বিভিন্ন সীমান্তের ক্ষেত্রে, বিমানবন্দরগুলোতে ইউরোপীয় নাগরিক ও অভিবাসীদের উল্লেখযোগ্য পারাপারের বৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। অপরদিকে, সামুদ্রিক সীমান্তে চলাচল ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷
২০২৩ সালে বছরের সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেছে আগস্ট মাসে এবং সর্বনিম্ন ফেব্রুয়ারিতে রেকর্ড করা হয় বিভিন্ন বর্ডার ক্রসিং পয়েন্টের মাধ্যমে রোমানিয়ান নাগরিকদের যাতায়াত ২০২২ সালের প্রথম ১১ মাসের তুলনায় মোট ১২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে।
পরিসংখ্যানগুলোতে ইইউ নাগরিক ও অভিবাসীদেরও গণনা করা হয়েছে (বৈধ ও অনিয়মিত)। একজন ব্যক্তি একাধিক বার ভ্রমণ করে থাকতে পারেন। সম্প্রতি শর্ত সাপেক্ষে ইউরোপের অবাধ চলাচলের অঞ্চল শেঙেন জোনে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া। তবে এটি শুধুমাত্র আকাশপথে আগামী ৩১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে। সীমান্তে মানবপাচার ও অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে রোমানিয়ার বিশেষ নজরদারি অব্যাহত আছে।
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস