তিন গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
চরফ্যাসন(ভোলা)প্রতিনিধিঃ ভোলার চরফ্যাসনের চর মানিকা ইউনিয়নের ”বেবাইজ্যার খাল’এ বাঁধ দিয়ে মাছচাষের ঘের নির্মানের কারণে ৩ হাজার একর কৃষিজমি অনাবাদি থাকার ঝুঁকিতে পরেছে। পাশাপাশি তিনটি গ্রামের ২শতাধিক মাছধরা ট্রলার এবং জনসাধারণের পণ্য পরিবহনে নৌ যোগাযোগ থমকে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ খালটি বাঁধ দিয়ে অবরুদ্ধ করার ঘটনায় এলাকাজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এই বাঁধ অপসারণের জন্য গত ১৩ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিস সুত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সরেজমিনে জানাগেছে, দক্ষিণের মেঘনা নদীতে পতিত এই ”বেবাইজ্যার খাল’টি চর মানিকা ইউনিয়নের চর হাসিনা ,চর খরচি, চর আইচার উপর দিয়ে বয়েগেছে। বেড়িবাধে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য এককপাটের একটি ¯øুইচগেইট দেয়া আছে। খালের দু’পাশে কোন রাস্তা না থাকায় স্থানীয় মানুষ খালটিকে পণ্য পরিবহনের নৌরুট হিসেবে ব্যবহার করছে। পাশাপাশি এই খালটি দু’পাশের ৩ হাজার একর জমির চাষে পানির উৎস হিসেবে কাজে লাগছে।
দু’পাশের বসতি ও কৃষক মহসিন , আবদুল্লাহ , রফিকুল ইসলাম ও জেলে বাবুল হোসেন জানান, খালের মাছচাষের জন্য সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান খালটির মাঝ অংশে দু’প্রান্ত থেকে দু’টি বাঁধ দিয়ে মাছচাষের জন্য ঘের নির্মান শুরু করেছেন। ফলে খালের পানির প্রবাহ বন্ধ হয়েগেছে। এতে করে চলতি মৌসুমে প্রায় ৩ হাজার একর জমির চাষ যেমন অনিশ্চিত হয়ে গেছে। তেমনি খালের দু’পাশের কয়েক হাজার কৃষক পরিবারের পণ্য পরিবহন এবং স্থানীয় ইলিশ শিকারে নিয়োজিত ট্রলার সমূহের নিরাপদ আশ্রয় ও আসা যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় স্থানীয় কৃষকরা বাঁধটি অপসারণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান বলেছেন, তরমুজ চাষের সুবিধার জন্যই স্থানীয় চর মানিক্ াইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করে খালে বাঁধ দেয়া হয়েছে। তবে চর মানিকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজি শফিউল্যাহ হাওলাদার বলেছেন, তরমুজ চাষের জন্য খালে বাঁধ দেয়া হয়েছে। এতে কিছু জেলের ট্রলার চালনায় সমস্যা হবে । এই সমস্যা মেনে নিতে জেলেদের অনুরোধ করেছি। পাশাপশি স্থানীয়দের চলাচল এবং পণ্য পরিবহনের জন্য খালপাড়ে রাস্তা করে দেয়ার কথাও বলেছি।
স্থানীয় কৃষকদের থেকে লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নওরীন হক জানান, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দক্ষিণ আইচা থানার অফিসার ইন চার্জকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারি প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান,
পানি উন্নয়ন বোর্ডে ডিভিশন-২ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমনা জানান , খালের বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করে দ্রæত সময়ের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মালিকানাধীন এই খালের বাঁধ অপসারণের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
দক্ষিন আইচা থানার ওসি মো. সাঈদ আহম্মেদ জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মাটি খনন কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরিবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শহিদুল ইসলাম জামাল/ইবিটাইমস