আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইসরায়েলি এয়ারলাইন এল আল-এর বোয়িং ৭৩৭ এর তেল আবিবে অবতরণের মুহুর্তে হামাসের রকেট ও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামূলক রকেট ব্যবস্থার মধ্যেই নিরাপদে অবতরণ করে।
রবিবার(৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আবারও ইসরায়েলের শহরগুলিতে গাজা উপত্যকা থেকে রকেট নিক্ষেপ করেছে হামাস। বৃহত্তর তেল আবিব এলাকায় সতর্কতামূলক সাইরেনও বেজে ওঠে। ঠিক যেমন “আয়রন ডোম” প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হামাসের রকেটগুলিকে নিষ্ক্রিয় করতে ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছিল,ঠিক সে সময় একটি ইসরায়েলি যাত্রীবাহী বিমান অবতরণ করছিল।
যাত্রীবাহী বিমানটি সবেমাত্র জর্জিয়ার রাজধানী তিবিলিসি থেকে এসেছিল এবং আতঙ্কের মধ্যেই নিরাপদে তেল আবিবের বেন গুরিওন বিমানবন্দরে অবতরণ করতে সক্ষম হয় বলে জানায় রাশিয়ান নিউজ পোর্টাল “দ্য ইনসাইডার”।
বিমানের গতিপথ নির্দেশক গুগলের Flightradar24- এর মতে, বিমানটি বিমানবন্দরে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক দেরিতে পৌঁছেছে। এই বিলম্বে কারণ
তেল আবিবে ভারী রকেট হামলা নাকি অন্য কারণে তা স্পষ্ট করে বলা হয় নি। ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার তৎপরতার কারণে
যাত্রীবাহী জেট বিমানটির জন্য স্পষ্টতই আতঙ্ক ছাড়া বিমানের সরাসরি কোন বিপদ ছিল না।
তাছাড়াও বিমানটিতে যদি কোন রকেট সংঘর্ষের কোনো ঘটনা ঘটতো তাহলে,তা মোকাবেলা করার জন্য বিমানে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা সজ্জিত ছিল। কেননা ২০০০ সালের শুরু থেকে, এল-আল ফ্লাইটের সমস্ত বিমান একটি ইনফ্রারেড ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সজ্জিত করা হয়েছে। “ফ্লাইট গার্ড” নামক সিস্টেমটি রাডার ব্যবহার করে তাপ-অনুসন্ধানী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র সনাক্ত করে এবং ডিকোয় (যাকে ফ্লেয়ারও বলা হয়) দিয়ে বিভ্রান্ত করতে পারে ইসরায়েলি বিমান সংস্থাই বিশ্বের একমাত্র বিমান যা তাদের বিমানকে এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিয়ে সজ্জিত করেছে।
অন্যদিকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে,রবিবার সন্ধ্যায় তেল আবিবের বিমানবন্দরে ভারী রকেট হামলার দায় স্বীকার করেছে হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেড। তবে ইসরায়েলের প্যারামেডিকদের মতে, হামাসের এই রকেট হামলায় কেহ আহত হয়নি বা কোন ক্ষতি সাধিত হয় নি।
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস