ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় হামুন আঘাত না হানায় আতঙ্কিত ঝালকাঠির শতশত কৃষকের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের সকর্তকতা জারির পর কি হয় না হয় এ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছিলো।
ঝালকাঠি জেলায় এ বছর ৪৭ হাজার ২৫৯ হেক্টরে আমন আবাদের ধান ক্ষেত মাথা তুলে দাড়িয়ে রয়েছে। ঝড়ের কবলে পড়লে ক্ষতির হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। প্রধানত এই জেলায় সবচেয়ে বেশি উচ্চফলনশীল জাতের ব্রি-৫২ এর আবাদ বেশি হয়েছে। এছাড়াও ব্রি-৭৬, ৭৭ ও ৭৮ ধানের চাষ হয়েছে। স্থানীয় জাতগুলির মধ্যে সাদামোটা সর্বাধিক চাষ হয়েছে এছাড়াও মৌলাতা, নাকুচি ও দুধকলম জাতের আবাদ হয়েছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বীজ রোপনের পরে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টিপাতের ফলে কৃষকের ইউরিয়া সার ক্রয় কম করতে হয়েছে এবং জৈবিকভাবেই বৃষ্টিপাতের কারণে ধান ক্ষেতের শরীর ও স্বাস্থ্য দুটিই তরতাজা রয়েছে। কৃষক এবং কৃষিবিভাগ এবছর এই জেলায় আমন আবাদের বাম্পার ফলনের আশা করছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত না হানায় এই অবস্থা থেকে আপাতত উত্তরণ ঘটেছে।
ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলায় আবাদকৃত ৪৭ হাজার ২৫৯ হেক্টরে আবাদের মধ্যে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ১২ হাজার ১৬০ হেক্টর, নলছিটি ১২ হাজার ৯৮৭ হেক্টর, রাজাপুর উপজেলায় ১১ হাজার ৮৫ হেক্টর ও কাঠালিয়া উপজেলায় ১১ হাজার ২৩ হেক্টরে আমন আবাদ হয়েছে।
বাধন রায়/ইবিটাইমস