ইইউর কাছে জিএসপিপ্লাস সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পর উন্নয়নে সহায়তা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে জিএসপিপ্লাস সুবিধা চেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ইউরোপ ডেস্কঃ বুধবার (২৫ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ, ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) ও ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) মধ্যে তিনটি ঋণ ও অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। শেখ হাসিনা, উরসুলা ভন ডার লেইন এবং ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের (ইআইবি) প্রেসিডেন্ট ওয়ার্নার হোয়ার চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।

এর আগে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশনের সদর দপ্তরে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমি আশা করি, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর আমাদের উন্নয়নে সহায়তা করতে ইইউ বাংলাদেশকে জিএসপিপ্লাস সুবিধা দেবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ইইউর এভরিথিং- বাট- আর্মস স্কিম বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছে। তিনি ২০০০ সালে তাঁর সরকারের প্রথম মেয়াদে এই ব্যবস্থাটি আনুষ্ঠানিকভাবে করার কথা স্মরণ করেন।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১২ লাখ রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য ইইউকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের মধ্যে নিহিত। সংকটের দ্রুত টেকসই সমাধানের জন্য আমি ইইউকে সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এ বছর বাংলাদেশ- ইইউ অংশীদারত্বের ৫০তম বার্ষিকী উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা আনন্দিত যে ইইউ এখন বাংলাদেশের বড় বাণিজ্য অংশীদার”।

শেখ হাসিনা বলেন, শ্রমিকদের অধিকারের পাশাপাশি নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসনের বিষয়ে তারা অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “আমাদের কিছু স্থানীয় চ্যালেঞ্জের সমাধান খুঁজতে গবেষণা ও উদ্ভাবনে অংশীদারত্বের বিষয়ে আমি আগ্রহ প্রকাশ করেছি। আমরা কৌশলগত উপাদানগুলোতে আরও মনোনিবেশ করে ইইউর সঙ্গে ভবিষ্যতের অংশীদারত্বের পরিকল্পনা করছি।

তিনি বলেন, তারা (ইইউ) খুব শিগগিরই একটি অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে। তিনি বলেন, এটি আমাদের চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

উরসুলা ভন ডার লেইন তাঁর বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “এত বছর ধরে আমরা একটি দৃঢ় অংশীদারত্ব গড়ে তুলেছি এবং এখন আমরা এটিকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাচ্ছি”। বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ঋণ ও অনুদান প্যাকেজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৪০ কোটি ইউরোর বেশি বিনিয়োগ প্যাকেজ জলবায়ু এবং স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্যও ভালো।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »