ভিয়েনা ১০:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাজিরপুরে দেড়যুগ ধরে প্রভাবশালীদের হাতে আটকা কয়েক লাখ টাকার মৎস্য ঋন

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৬:৪৩:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩
  • ৪২ সময় দেখুন

পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের নাজিরপুরে দেড় যুগের বেশী সময় প্রভাবশালীদের হাতে আটকা রয়েছে কয়েক লাখ টাকার মৎস্য ঋন। অনাদায়ী ওই ঋনের কারনে প্রকৃত মৎস্যচাষী ঋন নিতে পারছেন না।

উপজেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২০০৫ সালে প্রকৃত অসহায় মৎস্য চাষীদের আর্থিক সহযোগীতা করতে সরকারী ভাবে বিনা মুনফায় ঋন প্রদান করা হয়। উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে প্রদান করা ওই ঋন তখন স্থানীয় কিছু বিএনপির প্রভাবশালীরা প্রভাব খাটিয়ে নিয়ে নেন।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা গৌতম মন্ডল জানান, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ওই ঋন গ্রহীতারা ঋন প্রদানের পর তা থেকে পাওয়া টাকা অন্য চাষীদের মাঝে বিতরন করা হয়। কিন্তু গত ২০০৫ সালের এপ্রিল মাসে নেয়া ওই ঋনের টাকা অনেকেই পরিশোধ করেন নি। তাই ইতিমধ্যে তাদের ঋন পরিশোধে নোটিশ দেয়া হয়েছে। অনাদায়ী ঋন গ্রহীতাদের অধিকাংশের নামে দেয়া প্রকল্পের কোন অস্থিত্ব নাই।

নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাঠালিয়া গ্রামের নিত্যলাল মন্ডলের ছেলে জতিষ চন্দ্র হালদার ৫৪হাজার ৫৭৪ টাকা, উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মৃত সোবাহান খানের ছেলে কে.এম. সাঈদ রানা ৫০ হাজার ৫৫৪ টাকা সহ একই বছরের এমন অনাদায়ী ২৭ গ্রহীতা সহ প্রতিবছর এ সংখ্যা বাড়ছে। ফলে প্রকৃত মৎস্য চাষীরা ঋন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

এইচ এম লাহেল মাহমুদ/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

নাজিরপুরে দেড়যুগ ধরে প্রভাবশালীদের হাতে আটকা কয়েক লাখ টাকার মৎস্য ঋন

আপডেটের সময় ০৬:৪৩:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩

পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের নাজিরপুরে দেড় যুগের বেশী সময় প্রভাবশালীদের হাতে আটকা রয়েছে কয়েক লাখ টাকার মৎস্য ঋন। অনাদায়ী ওই ঋনের কারনে প্রকৃত মৎস্যচাষী ঋন নিতে পারছেন না।

উপজেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২০০৫ সালে প্রকৃত অসহায় মৎস্য চাষীদের আর্থিক সহযোগীতা করতে সরকারী ভাবে বিনা মুনফায় ঋন প্রদান করা হয়। উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে প্রদান করা ওই ঋন তখন স্থানীয় কিছু বিএনপির প্রভাবশালীরা প্রভাব খাটিয়ে নিয়ে নেন।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা গৌতম মন্ডল জানান, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ওই ঋন গ্রহীতারা ঋন প্রদানের পর তা থেকে পাওয়া টাকা অন্য চাষীদের মাঝে বিতরন করা হয়। কিন্তু গত ২০০৫ সালের এপ্রিল মাসে নেয়া ওই ঋনের টাকা অনেকেই পরিশোধ করেন নি। তাই ইতিমধ্যে তাদের ঋন পরিশোধে নোটিশ দেয়া হয়েছে। অনাদায়ী ঋন গ্রহীতাদের অধিকাংশের নামে দেয়া প্রকল্পের কোন অস্থিত্ব নাই।

নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাঠালিয়া গ্রামের নিত্যলাল মন্ডলের ছেলে জতিষ চন্দ্র হালদার ৫৪হাজার ৫৭৪ টাকা, উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মৃত সোবাহান খানের ছেলে কে.এম. সাঈদ রানা ৫০ হাজার ৫৫৪ টাকা সহ একই বছরের এমন অনাদায়ী ২৭ গ্রহীতা সহ প্রতিবছর এ সংখ্যা বাড়ছে। ফলে প্রকৃত মৎস্য চাষীরা ঋন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

এইচ এম লাহেল মাহমুদ/ইবিটাইমস