ঢাকা প্রতিনিধি: সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় সরকার, মার্কিন পর্যবেক্ষক দলকে এমনটাই জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সফরের প্রথম দিনে মার্কিন প্রতিনিধি দল নিজ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষ যান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সেখানে বৈঠক করেন প্রায় দুই ঘণ্টা। যদিও প্রতিনিধি দলের কেউ কথা বলেননি গণমাধ্যমের সঙ্গে।
এরপর বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। জনগণের ভোট দেয়াকেই গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। নির্বাচনী প্রচারণা সবার জন্যে সমান আর ভোট চুরির বিষয়ে সরকারের সতর্ক থাকার কথাও মার্কিনীদের জানানো হয়েছে।
মার্কিন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে এই সরকারের আমলে বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হয় বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমের অবাধ বিচরণ থাকবে, সংবাদ সংগ্রহে কাউকে বাধা দেয় হবে না। এক প্রশ্নের জাবাবে মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার খবর প্রকাশ করে দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনছে গণমাধ্যম।
পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, এরা আসছেন একটা অবাধ নির্বাচন অ্যাসেসমেন্ট করতে। তারা জানতে এসেছেন, একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সরকার কী কী কাজ করেছ। সরকারের অবস্থান পরিস্কারের পাশাপাশি সে বিষয়ে তাদেরকে আশ্বস্থ করা হয়েছে।
তিনি বলেন,আমরা একটা উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাই। একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করব। যেখানে ভায়োলেন্সও হবে না। মন্ত্রী বলেন, কিন্তু আমরা চাইলেই হবে না। সব দলের মতের স্বঃতস্ফূর্ত যোগদান করতে হবে। কেউ কেউ বলছেন, ভোট বর্জন করতে। আমরা চাই, সবাই নির্বাচন করুক। যার গ্রহণযোগ্যতা বেশি সে দল জয়লাভ করে সরকার গঠন করবে।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এনএল