বাংলাদেশের জন্য ধারাবাহিকভাবে আরও নিষেধাজ্ঞা আসছে : সাখাওয়াত হোসেন

ধারাবাহিকভাবে আরও নিষেধাজ্ঞা আসছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন (অব.)

ইবিটাইমস ডেস্কঃ সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনাকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে বছরখানেক আগে থেকে। ডেমোক্রেটিক সামিটে আমন্ত্রণ না জানানো, র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ নির্দিষ্ট কিছু জায়গা তারা ধরিয়ে দিয়েছিল, এখানে এখানে আপনাদের সমস্যা আছে। আপনারা এগুলো খেয়াল করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা সেই ওয়ার্নিং বুঝি নাই বা আমরা চেষ্টাও করিনি বোঝার। পরে তারা যখন দেখেছে বাংলাদেশ এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না তখন তারা নিষেধাজ্ঞার বিষয়েই এগিয়েছে।

সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান দায়ী থাকে না কোনো কাজে। দায়ী থাকে সেখানে কাজ করা নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি। যেমন আমরা বলছি যে বিচার বিভাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসছে তবে বিষয়টি হলো পুরো বিচার বিভাগ নয়, কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আসছে। পুলিশের ওপর নিষেধাজ্ঞা মানে সব পুলিশের ওপর না। পুলিশে কর্মরত কিছু ব্যক্তির ওপর।মিডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা লাইভে দেখি যে অনেক জায়গায় ভোটার নেই। কিন্তু হুট করে অনেক লোক চলে আসে। তখন আমরা বলি, সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি যখন প্রশিক্ষণ দিই তখন সাংবাদিকরা বলেন, আমরা সবকিছুই অফিসেই জমা দিই। কিন্তু পরে সেটি আর দেখি না। এসব কাজে যারা জড়িত সেসব ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আসবে।

গণমাধ্যম মানে পুরো গণমাধ্যমের ওপর না। এখানে কর্মরত কিছু ব্যক্তির ওপর। আমার ধারণা নিষেধাজ্ঞা কখনো পুরো প্রতিষ্ঠানের ওপর আসবে না। এটা আসবে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির ওপর।এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এই নিষেধাজ্ঞায় শেষ নয়। আমার মনে হয় এটা মাত্র শুরু। আমাদের অনেক আগে থেকেই সতর্ক করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা সতর্ক হইনি এখনো। ফলে এমন নিষেধাজ্ঞা আসা শুরু করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে তিন সপ্তাহ ছিল। তারা সবার সাথে কথা বলেছে।

বড় বড় সব রাজনৈতিক দলের সাথে তারা কথা বলেছে। তারা নির্বাচন কমিশনের সাথেও কথা বলেছে। নিজেরাও পর্যবেক্ষণ করেছে। সবশেষে তারা বলেছে এখনো বাংলাদেশে নির্বাচনের সহায়ক পরিবেশ তৈরি হয়নি।শেষে তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে চাইলে পুরো বছর সেটির ওপর কাজ করতে হবে। কিন্তু আমাদের এখানে পুরোনো মামলা দেখিয়ে যাকে তাকে জেলে ঢোকানো হচ্ছে। অর্থাৎ শুরু থেকেই জনগণের ওপর কতৃত্ব শুরু হয়েছে। ভিসা পাওয়া আর না দেওয়ার মাঝে তফাৎ আছে।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »