ভিয়েনা ০৪:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী টাঙ্গাইলে প্রিণ্ট মিডিয়া আসোসিয়েশন নিন্দা ও প্রতিবাদ সিইসির সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠক আগামী নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী বেছে নেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার এডাব ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি শাহ্ আলম, সম্পাদক হোসাইন আহমেদ ‎ ঝালকাঠির দুটি আসনে ৭ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ লাবীব গ্রুপের চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের দাবিতে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন নির্বাচনের আগে যে কোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিন বাহিনী প্রধান সুদানে শাহাদাত বরণকারী শান্তিরক্ষীদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত

লালমোহনে খালে পানি থাকলেই বেসালজাল জেলের আনন্দ

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৫:৩২:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩
  • ২৭ সময় দেখুন

ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: বর্তমানে খাল বিল জলাশয় ও নদীতে পানি থাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বেসাল/বেকজাল জালে মাছ ধরা জেলেরা। চারিদিকে পানি খালে বইছে জোয়ার ভাটা তাই বেসাল/বেকজালে মাছ ধরা জেলেদের ঘরে আনন্দের সুবাতাস। খালে পানি থাকলেই বেসালজাল জেলের আনন্দ। বর্তমানে তাদের প্রতিদিন সময় কাটছে মাছ ধরা, বিক্রি ও জাল মেরামত নিয়ে।

খাল বিল জলাশয়সহ চারদিকে এখন শুধু পানি থৈ থৈ করছে। চারদিকে পানি থাকায় ভোলার লালমোহন উপজেলার ৬০ বছর বয়সী ভেসাল জেলে তোফাজ্জল হোসেন মুন্সি এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রায় ৪০ বছর ধরে খালের বিভিন্ন স্থানে ভেসাল জালে মাছ শিকার করছেন তিনি। দিন অথবা গভীর রাত, যখনই খালে ভাটা শুরু হয় তখনই মাছ শিকার করতে ভেসাল জাল পাতেন। জাল উঠানোর পর সেখানে পাওয়া যায় চিংড়ি, কুলি, পুঁটি ও টাকিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। যা বিক্রি করে প্রতিদিন আয় হয় প্রায় পাঁচশত টাকা। এই আয়ে চলছে জীবন জীবিকা।

তোফাজ্জল হোসেন মুন্সি বলেন, ছোটবেলা থেকেই মাছ শিকারের সঙ্গে আছি। প্রথমে নদীতে বেড় জালের মাধ্যমে মাছ শিকার করতাম। তবে সেখানে বেশি পরিশ্রম হওয়ায় তা বন্ধ করে দিয়েছি। এরপর ভেসাল জাল দিয়ে খালে মাছ শিকার শুরু করি।  তিনি আরও বলেন, এই ভেসাল জালে পাওয়া মাছ বিক্রির টাকায় সংসার চালাচ্ছি। সংসারে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। এদের মধ্যে বড় ছেলেকে এই মাছ বিক্রির টাকায় পড়ালেখা করিয়েছি। এছাড়া সংসারের সবার তিন বেলা খাবার ও অন্যান্য খরচ এই ভেসাল জালে পাওয়া মাছ বিক্রির টাকাই চলে।

তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বয়স হয়েছে তাই রাত-বিরাতে এই মাছ শিকার করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। তবুও পেটের তাগিদেই এক প্রকার বাধ্য হয়ে ভেসাল জাল দিয়ে মাছ শিকার করছি। তবে এখন আর শরীর চলছে না। তাই সরকারি-বেসরকারি অনুদান পেলে অন্য পেশা বেছে নিতাম। তাহলে কষ্ট কিছুটা কমতো। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কিছুটা শান্তিতে থাকতে পারতাম।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলার সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানভীর আহমেদ জানান, মৎস্যজীবীদের জন্য ভিজিএফ চালসহ সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এ সুযোগ-সুবিধা পেতে হলে ভেসাল জালের জেলেদের প্রথমে নিবন্ধনের আওতায় আসতে হবে। এরপরও বয়সজনিত কারণে অথবা অঙ্গহানির ফলে মাছ শিকারে অসুবিধা হলে তাদেরকে সরকারিভাবে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়

রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

লালমোহনে খালে পানি থাকলেই বেসালজাল জেলের আনন্দ

আপডেটের সময় ০৫:৩২:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩

ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: বর্তমানে খাল বিল জলাশয় ও নদীতে পানি থাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বেসাল/বেকজাল জালে মাছ ধরা জেলেরা। চারিদিকে পানি খালে বইছে জোয়ার ভাটা তাই বেসাল/বেকজালে মাছ ধরা জেলেদের ঘরে আনন্দের সুবাতাস। খালে পানি থাকলেই বেসালজাল জেলের আনন্দ। বর্তমানে তাদের প্রতিদিন সময় কাটছে মাছ ধরা, বিক্রি ও জাল মেরামত নিয়ে।

খাল বিল জলাশয়সহ চারদিকে এখন শুধু পানি থৈ থৈ করছে। চারদিকে পানি থাকায় ভোলার লালমোহন উপজেলার ৬০ বছর বয়সী ভেসাল জেলে তোফাজ্জল হোসেন মুন্সি এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রায় ৪০ বছর ধরে খালের বিভিন্ন স্থানে ভেসাল জালে মাছ শিকার করছেন তিনি। দিন অথবা গভীর রাত, যখনই খালে ভাটা শুরু হয় তখনই মাছ শিকার করতে ভেসাল জাল পাতেন। জাল উঠানোর পর সেখানে পাওয়া যায় চিংড়ি, কুলি, পুঁটি ও টাকিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। যা বিক্রি করে প্রতিদিন আয় হয় প্রায় পাঁচশত টাকা। এই আয়ে চলছে জীবন জীবিকা।

তোফাজ্জল হোসেন মুন্সি বলেন, ছোটবেলা থেকেই মাছ শিকারের সঙ্গে আছি। প্রথমে নদীতে বেড় জালের মাধ্যমে মাছ শিকার করতাম। তবে সেখানে বেশি পরিশ্রম হওয়ায় তা বন্ধ করে দিয়েছি। এরপর ভেসাল জাল দিয়ে খালে মাছ শিকার শুরু করি।  তিনি আরও বলেন, এই ভেসাল জালে পাওয়া মাছ বিক্রির টাকায় সংসার চালাচ্ছি। সংসারে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। এদের মধ্যে বড় ছেলেকে এই মাছ বিক্রির টাকায় পড়ালেখা করিয়েছি। এছাড়া সংসারের সবার তিন বেলা খাবার ও অন্যান্য খরচ এই ভেসাল জালে পাওয়া মাছ বিক্রির টাকাই চলে।

তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বয়স হয়েছে তাই রাত-বিরাতে এই মাছ শিকার করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। তবুও পেটের তাগিদেই এক প্রকার বাধ্য হয়ে ভেসাল জাল দিয়ে মাছ শিকার করছি। তবে এখন আর শরীর চলছে না। তাই সরকারি-বেসরকারি অনুদান পেলে অন্য পেশা বেছে নিতাম। তাহলে কষ্ট কিছুটা কমতো। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কিছুটা শান্তিতে থাকতে পারতাম।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলার সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানভীর আহমেদ জানান, মৎস্যজীবীদের জন্য ভিজিএফ চালসহ সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এ সুযোগ-সুবিধা পেতে হলে ভেসাল জালের জেলেদের প্রথমে নিবন্ধনের আওতায় আসতে হবে। এরপরও বয়সজনিত কারণে অথবা অঙ্গহানির ফলে মাছ শিকারে অসুবিধা হলে তাদেরকে সরকারিভাবে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস