ভিয়েনা ০৮:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভোলা-৩ আসনে এনসিপি’র মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ইঞ্জি. সালাউদ্দিন ইইউ-তুর্কি সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার আহ্বান-জার্মানির চ্যান্সেলর মের্জ শুক্রবার স্বর্ণের দাম আবার কিছুটা হ্রাস পেয়েছে যুক্তরাজ্যের আশ্রয় নীতিতে বড় ধরনের রদবদল আসছে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে বাংলায় দিক নির্দেশনা আগামীকাল লালমোহনে মেজর অব. হাফিজকে গণসংবর্ধনা দেবে বিএনপি লালমোহনে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত পশ্চিম তীরে দুই কিশোরকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী সরকারের আচরণে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ‘গভীর সন্দেহ’ তৈরি হয়েছে : তাহের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে সেনাপ্রধানের আহ্বান

নাজিরপুর উপজেলায় নানা প্রজাতির পাখির বসবাস

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৫:০৭:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুলাই ২০২৩
  • ১৯ সময় দেখুন

নাজিরপুর প্রতিনিধিঃ নাজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে নানান প্রজাতির পাখির বসবাস। এ অঞ্চল বিল অঞ্চল বিধায় ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির বসবাস। এখানে অবাধে শিকার হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। সাদা বক, বালিহাস, পানকৌড়ি, ঘুঘু ও কবুতর সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। এখানে শৌখিন পাখি শিকারিরা বন্দুক, টোপ, জাল, ও বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে পাখি নিধন করছে। এ ব‍্যাপারে প্রশাসন কোন প্রকার উদ‍্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

অথচ বন‍্যপ্রাণী রক্ষা আইন- ১৯৭৪ সাল ও ২০১২ সালের বন‍্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে ; পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে অপরাধীর দুই বছরের জেল। দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে।

ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি পিরোজপুর নদী কেন্দ্রিক নাজিরপুর এলাকায় বিল অঞ্চল খাল-বিল ও গাছে রয়েছে। এই পাখি শিকারের কি কারণ জানতে চাইলে শিকারীরা বলে- প্রচন্ড গরমে কোন কাজ নাই। মন খুব অস্থির তাই একটু বাতাস ও সুন্দর পরিবেশ দেখতে দেখতে পাখিও শিকার করা হচ্ছে আর গরমও দূর হচ্ছে।

 

নাজিরপুর দেউলবাড়ী ইউনিয়নে নানান এলাকায় শিকারীরা পাখি নিধন করে অবাধে হত‍্যা করে কিংবা ধরে বাজারে বিক্রি করে। সাদা বক, পানকৌড়ি সহ সুদর্শন সব পাখি ধান রক্ষার জন‍্য জাল ব‍্যবহার করা ফাঁদে পাখিগুলোকে খাঁচা বন্দি করা হচ্ছে।

নাজিরপুর উপজেলার গাওখালী বাজারের প্রতাপ নামের পাখি বিক্রেতা বলেন – বাজারে পাখির চাহিদা প্রচুর। তাই একজোড়া ধরতে পারলেই টাকা- সাদা বক ২০০ থেকে ৪০০ টাকা অন‍্যান‍্য পাখি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা জোড়া বিক্রি হচ্ছে। অনেক মাছ শিকারী মাছ শিকার ও কৃষি কাজের পাশাপাশি পাখি শিকার করছে।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. তারিকুল ইসলাম বলেন- পাখি নিধন বন্ধে আইন থাকলেও পাখি নিধন বন্ধে যথাযথ ব‍্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এ কারণে এই দেশ তথা পাখি থাকার মতো পরিবেশ অঞ্চলগুলো থেকে নানান প্রকারের পাখি বিলুপ্ত হচ্ছে।

উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের বক্তব্য – পাখি রক্ষায় প্রশাসন সহ স্থানীয় জনসাধারণের অনেক ভূমিকা রয়েছে।

লীলা দেউরী/ইবিটাইমস

জনপ্রিয়

ভোলা-৩ আসনে এনসিপি’র মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ইঞ্জি. সালাউদ্দিন

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

নাজিরপুর উপজেলায় নানা প্রজাতির পাখির বসবাস

আপডেটের সময় ০৫:০৭:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুলাই ২০২৩

নাজিরপুর প্রতিনিধিঃ নাজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে নানান প্রজাতির পাখির বসবাস। এ অঞ্চল বিল অঞ্চল বিধায় ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির বসবাস। এখানে অবাধে শিকার হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। সাদা বক, বালিহাস, পানকৌড়ি, ঘুঘু ও কবুতর সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। এখানে শৌখিন পাখি শিকারিরা বন্দুক, টোপ, জাল, ও বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে পাখি নিধন করছে। এ ব‍্যাপারে প্রশাসন কোন প্রকার উদ‍্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

অথচ বন‍্যপ্রাণী রক্ষা আইন- ১৯৭৪ সাল ও ২০১২ সালের বন‍্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে ; পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে অপরাধীর দুই বছরের জেল। দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে।

ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি পিরোজপুর নদী কেন্দ্রিক নাজিরপুর এলাকায় বিল অঞ্চল খাল-বিল ও গাছে রয়েছে। এই পাখি শিকারের কি কারণ জানতে চাইলে শিকারীরা বলে- প্রচন্ড গরমে কোন কাজ নাই। মন খুব অস্থির তাই একটু বাতাস ও সুন্দর পরিবেশ দেখতে দেখতে পাখিও শিকার করা হচ্ছে আর গরমও দূর হচ্ছে।

 

নাজিরপুর দেউলবাড়ী ইউনিয়নে নানান এলাকায় শিকারীরা পাখি নিধন করে অবাধে হত‍্যা করে কিংবা ধরে বাজারে বিক্রি করে। সাদা বক, পানকৌড়ি সহ সুদর্শন সব পাখি ধান রক্ষার জন‍্য জাল ব‍্যবহার করা ফাঁদে পাখিগুলোকে খাঁচা বন্দি করা হচ্ছে।

নাজিরপুর উপজেলার গাওখালী বাজারের প্রতাপ নামের পাখি বিক্রেতা বলেন – বাজারে পাখির চাহিদা প্রচুর। তাই একজোড়া ধরতে পারলেই টাকা- সাদা বক ২০০ থেকে ৪০০ টাকা অন‍্যান‍্য পাখি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা জোড়া বিক্রি হচ্ছে। অনেক মাছ শিকারী মাছ শিকার ও কৃষি কাজের পাশাপাশি পাখি শিকার করছে।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. তারিকুল ইসলাম বলেন- পাখি নিধন বন্ধে আইন থাকলেও পাখি নিধন বন্ধে যথাযথ ব‍্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এ কারণে এই দেশ তথা পাখি থাকার মতো পরিবেশ অঞ্চলগুলো থেকে নানান প্রকারের পাখি বিলুপ্ত হচ্ছে।

উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের বক্তব্য – পাখি রক্ষায় প্রশাসন সহ স্থানীয় জনসাধারণের অনেক ভূমিকা রয়েছে।

লীলা দেউরী/ইবিটাইমস