ভিয়েনা ১০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালমোহনে খালে ব্রিজ ভেঙে পড়ে আছে, দুর্ভোগে দুই পাড়ের এলাকাবাসী

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৬:৫৪:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩
  • ২২ সময় দেখুন

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহনে একটি ব্রিজের কারণে দুর্ভোগে রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। গত প্রায় এক বছর আগে উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের আনন্দ বাজার সংলগ্ন বুড়িরধোন খালের ওপরের ব্রিজটি জরাজীর্ণ থাকার কারণে ভেঙে খালের মধ্যে পড়ে যায়। ব্রিজ ভেঙে থাকায় স্থানীয়রা একটি বাশেঁর সাঁকো তৈরি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করলেও বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল। যার জন্য অতিরিক্ত সময় ব্যয়ে এবং বিকল্প পথে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয় স্থানীয়দের। এতে করে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন ওই ইউনিয়নের প্যায়ারী মোহন ও অন্নদাপ্রসাদ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।

প্যায়ারী মোহন ও অন্নদাপ্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা মো. রাশেদ, রুবেল, মো. সাহেব আলী ও মো. মিজান বলেন, ব্রিজটি এক বছরের মতো সময় ধরে ভেঙে খালের মধ্যে পড়ে আছে। আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে বাঁশ দিয়ে একটি সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছি। ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় এখান দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন চলছে না। যার জন্য আমাদের বহু পথ ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। তাই আমাদের দুই গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন ব্রিজটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়।

লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া জানান, ২০০০ সালের দিকে এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। এর কয়েক বছর পর ব্রিজটি জারাজীর্ণ হয়ে যায়। তখন ইউনিয়ন পরিষদের কিছু অর্থ দিয়ে তা মেরামত করি। তবে হঠাৎ একদিন মাল বোঝাই ট্রলি যাওয়ার সময় খালের মধ্যে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। এ ঘটনার এক বছর হয়ে গেলেও নতুন করে এখানে আর ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি। এই ব্রিজটি এখানকার বাসিন্দাদের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এলাকার মানুষজনের দুর্ভোগের কথা ভেবে আমি বেশ কয়েকবার উপজেলা এলজিইডি অফিসে কথা বলেছি। তারা কেবল আশ্বাস দেয়। তাই আমি প্যায়ারী মোহন ও অন্নদাপ্রসাদ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

এব্যাপারে লালমোহন উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, এই ব্রিজসহ উপজেলার আরো কয়েকটি জরাজীর্ণ ব্রিজ নতুন করে নির্মাণের জন্য সদর দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবনাটি পাশ হলে এসব ব্রিজের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু করা হবে।

জাহিদ দুলাল/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

লালমোহনে খালে ব্রিজ ভেঙে পড়ে আছে, দুর্ভোগে দুই পাড়ের এলাকাবাসী

আপডেটের সময় ০৬:৫৪:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহনে একটি ব্রিজের কারণে দুর্ভোগে রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। গত প্রায় এক বছর আগে উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের আনন্দ বাজার সংলগ্ন বুড়িরধোন খালের ওপরের ব্রিজটি জরাজীর্ণ থাকার কারণে ভেঙে খালের মধ্যে পড়ে যায়। ব্রিজ ভেঙে থাকায় স্থানীয়রা একটি বাশেঁর সাঁকো তৈরি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করলেও বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল। যার জন্য অতিরিক্ত সময় ব্যয়ে এবং বিকল্প পথে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয় স্থানীয়দের। এতে করে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন ওই ইউনিয়নের প্যায়ারী মোহন ও অন্নদাপ্রসাদ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।

প্যায়ারী মোহন ও অন্নদাপ্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা মো. রাশেদ, রুবেল, মো. সাহেব আলী ও মো. মিজান বলেন, ব্রিজটি এক বছরের মতো সময় ধরে ভেঙে খালের মধ্যে পড়ে আছে। আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে বাঁশ দিয়ে একটি সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছি। ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় এখান দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন চলছে না। যার জন্য আমাদের বহু পথ ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। তাই আমাদের দুই গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন ব্রিজটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়।

লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া জানান, ২০০০ সালের দিকে এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। এর কয়েক বছর পর ব্রিজটি জারাজীর্ণ হয়ে যায়। তখন ইউনিয়ন পরিষদের কিছু অর্থ দিয়ে তা মেরামত করি। তবে হঠাৎ একদিন মাল বোঝাই ট্রলি যাওয়ার সময় খালের মধ্যে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। এ ঘটনার এক বছর হয়ে গেলেও নতুন করে এখানে আর ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি। এই ব্রিজটি এখানকার বাসিন্দাদের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এলাকার মানুষজনের দুর্ভোগের কথা ভেবে আমি বেশ কয়েকবার উপজেলা এলজিইডি অফিসে কথা বলেছি। তারা কেবল আশ্বাস দেয়। তাই আমি প্যায়ারী মোহন ও অন্নদাপ্রসাদ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

এব্যাপারে লালমোহন উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, এই ব্রিজসহ উপজেলার আরো কয়েকটি জরাজীর্ণ ব্রিজ নতুন করে নির্মাণের জন্য সদর দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবনাটি পাশ হলে এসব ব্রিজের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু করা হবে।

জাহিদ দুলাল/ইবিটাইমস