ভিয়েনা ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনা কি ইংগিত বহন করে

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৮:২৯:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩
  • ৬ সময় দেখুন

 মোঃ সোয়েব মেজবাহউদ্দিনঃ ঢাকার ইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই একই রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। একজন ছাত্রী হয়ে অন্য এসজন ছাত্রীকে নির্যাতন করা এবং বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ার ঘটনা কোন সুস্থ মস্তিকের মানুষের কাজ নয়। কোন ভদ্র পরিবারের কোন মেয়ের দারা এই কাজ করা সম্ভব নয়।

নিচু পরিবার থেকে উঠে আসা এবং পড়াশুনা রেখে রাজনীতিতে জড়িয়ে অর্থ কামানো এবং ধান্ধাবাজ অসৎ চরিত্রের মেয়েরাই এই ধরনের কাজ করতে পারে। এদের শুধু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নয়, সমাজ থেকে এদের বিতারিত করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কারের পর পত্রিকায় ছবি দেখে এদের পরিবার কি এদের নিয়ে গর্ব করেন? পত্রিকায় সন্তানার উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করার পর পত্রিকায় ছবি ছাপা হলে যেভাবে পিতা মাতা আত্মীয় স্বজন গর্ব করে থাকে। আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম, চারকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মাওয়াবিয়ার জন্য তাদের অভিভাবক সমাজে মুখ দেখাবেন কিভাবে ? এলাকার লোকজন কি ছি ছি করছে না।

প্রতিটি মেয়ের বাবা মা চান তার মেয়ে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে বড় চাকুরী করবে। তাকে যোগ্য পাত্র দেখে বিয়ে দেবে। সে সুখে সংসার করবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবা মা ভর্তি করানোর পর এরা পড়াশুনা বাদ দিয়ে রাজনীতিতে জড়িয়ে নোংরামী অসভ্যতামী চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কার্জকালাপ শুরু করে। এখন বলা যায় এসব মেয়েদেরকে তাদের বাবা মা সামজের চলার উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারেনি। তাদের সভ্যতা ভদ্রতা শালিনতবোধ শেখাতে পােিরননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে এসে তারা যে সব জগন্য নোংরামী করেছে তা সমাজের শুধুমাত্র নিম্নক্লাশের নেশাখোর মানুষরা করে। যাদেরকে মানুষ ঘৃনা করে। কেননা একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা মেয়ে কিভাবে অন্য একটা মেয়েকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার, গালাগাল দেয়া এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

এসব মেয়েরা সমাজের অন্য নেশাখোর, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী দলের সমস্য। এদের কঠিনতম শাস্তি দেয়া উচিত। যাহাতে আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম ঘটনা না ঘটে।

ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনা কি ইংগিত বহন করে

আপডেটের সময় ০৮:২৯:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩

 মোঃ সোয়েব মেজবাহউদ্দিনঃ ঢাকার ইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই একই রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। একজন ছাত্রী হয়ে অন্য এসজন ছাত্রীকে নির্যাতন করা এবং বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ার ঘটনা কোন সুস্থ মস্তিকের মানুষের কাজ নয়। কোন ভদ্র পরিবারের কোন মেয়ের দারা এই কাজ করা সম্ভব নয়।

নিচু পরিবার থেকে উঠে আসা এবং পড়াশুনা রেখে রাজনীতিতে জড়িয়ে অর্থ কামানো এবং ধান্ধাবাজ অসৎ চরিত্রের মেয়েরাই এই ধরনের কাজ করতে পারে। এদের শুধু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নয়, সমাজ থেকে এদের বিতারিত করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কারের পর পত্রিকায় ছবি দেখে এদের পরিবার কি এদের নিয়ে গর্ব করেন? পত্রিকায় সন্তানার উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করার পর পত্রিকায় ছবি ছাপা হলে যেভাবে পিতা মাতা আত্মীয় স্বজন গর্ব করে থাকে। আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম, চারকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মাওয়াবিয়ার জন্য তাদের অভিভাবক সমাজে মুখ দেখাবেন কিভাবে ? এলাকার লোকজন কি ছি ছি করছে না।

প্রতিটি মেয়ের বাবা মা চান তার মেয়ে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে বড় চাকুরী করবে। তাকে যোগ্য পাত্র দেখে বিয়ে দেবে। সে সুখে সংসার করবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবা মা ভর্তি করানোর পর এরা পড়াশুনা বাদ দিয়ে রাজনীতিতে জড়িয়ে নোংরামী অসভ্যতামী চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কার্জকালাপ শুরু করে। এখন বলা যায় এসব মেয়েদেরকে তাদের বাবা মা সামজের চলার উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারেনি। তাদের সভ্যতা ভদ্রতা শালিনতবোধ শেখাতে পােিরননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে এসে তারা যে সব জগন্য নোংরামী করেছে তা সমাজের শুধুমাত্র নিম্নক্লাশের নেশাখোর মানুষরা করে। যাদেরকে মানুষ ঘৃনা করে। কেননা একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা মেয়ে কিভাবে অন্য একটা মেয়েকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার, গালাগাল দেয়া এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

এসব মেয়েরা সমাজের অন্য নেশাখোর, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী দলের সমস্য। এদের কঠিনতম শাস্তি দেয়া উচিত। যাহাতে আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম ঘটনা না ঘটে।

ইবিটাইমস