ভিয়েনা ০৫:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জের বাহুবলে আজও চালু হলো না ট্রমা সেন্টার

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০১:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ২০ সময় দেখুন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবলে ট্রমা সেন্টার নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। সড়ক দূর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য নির্মাণের ১০ বছর পরও চালু হয়নি ট্রমা সেন্টারটি। বাহুবল উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সাথে ৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ শয্যা বিশিস্ট ট্রমা সেন্টারের নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১৩ সালে। এটি বাস্তবায়ন করে হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ। ভবনটি গ্রহনের জন্য ২০১৪ সালে জানুয়ারী মাসে হবিগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগকে চিঠি দেয় গণপূর্ত বিভাগ। কিন্তু সেই সময় ভবন নির্মাণে অনিয়ম, দুর্নীতি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ না থাকায় সেটি গ্রহণ করতে রাজি হয়নি স্বাস্থ্য বিভাগ।

জেলার প্রায় ৮২ কিলোমিটার মহাসড়কে প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় অনেক র্দর্ঘটনা। এসকল দূর্ঘটনায় আহত হাত পা ভেঙ্গে চিকিৎসার জন্য সিলেট বা ঢাকায় যেতে হয় রোগীদের। তবে অনেকেই টাকা পয়সার অভাবে বড় হাসপাতাল গুলোতে উন্নত চিকিৎসা নিতে যেতে পারেন না।

স্থানীয়রা বলেন, দুই প্রতিষ্ঠানের দ্বন্ধে এটি চালু হচ্ছে না। এটি চালু হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যে সকল সড়ক দূর্ঘটনা হয় সেখানে তাৎক্ষনিক ভালো চিকিৎসা পাবেন আহতরা। বিশেষ করে হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলায় যাওয়ার আগে এই ট্রমা সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা সহ সেবা নিতে পারবেন সড়ক দূর্ঘটনায় আহত রোগীরা। এটি দ্রত চালুর দাবি জানান তারা।

বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাক্তার বাবুল কুমার দাশ বলেন, গণপূর্ত বিভাগকে বার বার চিঠি লিখেও তাদের কাছ থেকে ভবনটি বুঝে পাই নি। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি আমারা জানিয়েছি। এটির কার্যক্রম শুরু হলে সড়ক র্দূর্ঘটনায় আহতরা চিকিৎসা সেবা পাবেন।

হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাঃ জাকির হোসেন এ ব্যপারে টিভি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তবে তিনি জানান, তৎকালীন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ভবনটি হস্তান্তর নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এখন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে রেজুলেশন করে সিভিল সার্জেনকে সভাপতি করে ৪ সদস্যের একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে ওই কমিটি দায়িত্ব বুঝে নিবেন।

স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ মিলাদ বলেন,স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তৃপক্ষের সাথে গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের দুরত্বের কারণে এমনটি হয়েছে। দ্রত এর সমাধান করা হবে।

মোতাব্বির হোসেন কাজল/ইবি টাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

হবিগঞ্জের বাহুবলে আজও চালু হলো না ট্রমা সেন্টার

আপডেটের সময় ০১:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবলে ট্রমা সেন্টার নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। সড়ক দূর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য নির্মাণের ১০ বছর পরও চালু হয়নি ট্রমা সেন্টারটি। বাহুবল উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সাথে ৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ শয্যা বিশিস্ট ট্রমা সেন্টারের নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১৩ সালে। এটি বাস্তবায়ন করে হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ। ভবনটি গ্রহনের জন্য ২০১৪ সালে জানুয়ারী মাসে হবিগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগকে চিঠি দেয় গণপূর্ত বিভাগ। কিন্তু সেই সময় ভবন নির্মাণে অনিয়ম, দুর্নীতি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ না থাকায় সেটি গ্রহণ করতে রাজি হয়নি স্বাস্থ্য বিভাগ।

জেলার প্রায় ৮২ কিলোমিটার মহাসড়কে প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় অনেক র্দর্ঘটনা। এসকল দূর্ঘটনায় আহত হাত পা ভেঙ্গে চিকিৎসার জন্য সিলেট বা ঢাকায় যেতে হয় রোগীদের। তবে অনেকেই টাকা পয়সার অভাবে বড় হাসপাতাল গুলোতে উন্নত চিকিৎসা নিতে যেতে পারেন না।

স্থানীয়রা বলেন, দুই প্রতিষ্ঠানের দ্বন্ধে এটি চালু হচ্ছে না। এটি চালু হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যে সকল সড়ক দূর্ঘটনা হয় সেখানে তাৎক্ষনিক ভালো চিকিৎসা পাবেন আহতরা। বিশেষ করে হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলায় যাওয়ার আগে এই ট্রমা সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা সহ সেবা নিতে পারবেন সড়ক দূর্ঘটনায় আহত রোগীরা। এটি দ্রত চালুর দাবি জানান তারা।

বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাক্তার বাবুল কুমার দাশ বলেন, গণপূর্ত বিভাগকে বার বার চিঠি লিখেও তাদের কাছ থেকে ভবনটি বুঝে পাই নি। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি আমারা জানিয়েছি। এটির কার্যক্রম শুরু হলে সড়ক র্দূর্ঘটনায় আহতরা চিকিৎসা সেবা পাবেন।

হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাঃ জাকির হোসেন এ ব্যপারে টিভি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তবে তিনি জানান, তৎকালীন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ভবনটি হস্তান্তর নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এখন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে রেজুলেশন করে সিভিল সার্জেনকে সভাপতি করে ৪ সদস্যের একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে ওই কমিটি দায়িত্ব বুঝে নিবেন।

স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ মিলাদ বলেন,স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তৃপক্ষের সাথে গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের দুরত্বের কারণে এমনটি হয়েছে। দ্রত এর সমাধান করা হবে।

মোতাব্বির হোসেন কাজল/ইবি টাইমস