মনজুর রহমান,ভোলা প্রতিনিধি: প্রকৃতীতে বইতে শুরু করছে বসন্তের ফাল্গুনের হাওয়া।এক চিলতে রোদে সকাল সকাল ফুল নিয়ে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দাড়িয়ে আছে মো: মানিক(৩০)। তবে এ ফুল কোন সুবাস না ছড়ালেও সৌন্দর্য বাড়ায় কারন এগুলো কাপড়ের ফুল। স্কুল পড়ুয়া শিশুদের কাছে অন্যরকম আনন্দ দেয় এ ফুল।
মানিক সংসার খরচ চলাতে জীবিকার জন্য বিভিন্ন জেলার গ্রামের স্কুল ও বাজার গুলোতে এ কাপড়ের ফুল বিক্রি করে। হরেক রঙ্গের রঙ্গিন কাপড় দিয়ে নিজ বাড়িতেই বাহারী রঙের ফুল তৈরি করে স্ত্রী পলি বেগম।
মঙ্গলবার(৭ফেব্রুয়ারী) সকালে দ্বীপ জেলা ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের ইলিশা কান্দি গ্রামের পশ্চিম চর উমেদ ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাপড়ের ফুল বিক্রেতা মানিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, নওগাঁ জেলা আত্রাই উপজেলার জাম গ্রামের মো: সমছের আলীর ছেলে।তার ২ মেয়ে স্ত্রী পলি বেগমকে নিয়ে নিজ জেলার মাটির ঘরে বসবাস।
মো: মানিক বলেন, আমাদের গ্রামে অন্যের জমিতে কামলা দিয়ে সংসার চলে। যখন কাজ না থাকে তখন আমার স্ত্রী বিভিন্ন রঙ্গের কাপড় দিয়ে লাল গোলাপ ফুল,সাদা গোলাপ,সূর্যমুখী ফুল, লাভ চরকা তৈরি করে দেয়। আমি একেক সময় একেক জেলায় গিয়ে ফেরি করে স্কুল ও বাজারে এ সকল ফুল বিক্রি করি।
তিনি আরও জানান, একটি ফুল তৈরি করতে খরচ হয় ৪/৫ টাকা। বিক্রি করে থাকি ১০ টাকা। দৈনিক খরচ বাদে আয় হয় ৫/৬ শ টাকা।এই ফুল বিক্রি করে বছরে খরচ বাদে আয় হয় প্রায় ১ লক্ষ টাকা।
কথার এক ফাঁকে মানিক আরও জানান, তার দুই মেয়েকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন। পড়ালেখা শেষ করে করায় সরকারি চাকরি করারে এমন ভাবনায় মনের ভিতরে বাসা বাঁধে।
ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণিতে পড়ে আযান রহমান মা লিমা বেগমের কাছে বায়না দরে একটি ফুল কিনে দেয়ার জন্য।তখন ১০ টাকা দিয়ে কাপড়ের ফুলে কিনে দেয় মা লিমা বেগম।
লিমা বেগম বলেন,ছেলেকে স্কুলে নিয়ে আসছি। স্কুলের সামনে ফুল দেখে বললে ১০ টাকা দিয়ে একটি ফুল কিনে দিলাম।
পশ্চিম চর উমেদ ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনির উদ্দিন বলেন, অনেক সময় স্কুলের সামনে ফেরিওয়ালা ফুল বিক্রি করে।ফুল একটি সৌন্দর্য বর্ধন। ফুল বিক্রি করতে দিলেও অস্বাস্থ্যকর কোন খাবার আনলে বিক্রি করতে দেয়া হয় না।
ভোলা/ইবিটাইমস



























