ভিয়েনা ০৪:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালমোহনে অভিযানে জব্দ করা মালামাল গোপনে বিক্রি

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০১:৪২:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ২০ সময় দেখুন

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনের মেঘনায় মৎস্য অফিসের অভিযানে জব্দকৃত জালের সঙ্গে থাকা দড়ি ও ২৪টি নোঙ্গর নিলাম না দিয়ে গোপনে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সূত্র জানায়, গত শনিবার বিকালের দিকে লালমোহনের মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা মো. তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে কামারেরখাল এলাকার মেঘনা নদী থেকে দুইটি মাছ ধরা ট্রলারের জাল ও নোঙ্গর জব্দ করা হয়। পরে মৎস্য অফিসের নির্দিষ্ট মাঝি শাহিন তজুমদ্দিন উপজেলার স্লুইসঘাটে রাতে গোপনে নিয়ে জব্দকৃত ওইসব নোঙ্গর ও জালের সঙ্গে থাকা দড়ি ৪৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।

এসব মালামাল ক্রয়কারী কাশেম ও ইউসুফ জানান, অফিসার তানবির ও মাঝি শাহিনের কাছ থেকে দুইটি নৌকার ২৪টি নোঙ্গর ২৪ হাজার টাকা এবং ১৯ হাজার টাকায় জালের দড়ি কিনেছি।

স্যারেরা যেভাবে নির্দেশ দেন, সেভাবে কাজ করি বলে জানান লালমোহন মৎস্য অফিসের নির্দিষ্ট নৌকার মাঝি শাহিন। তবে এব্যাপারে উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা মো. তানভীর আহমেদ বলেন, জব্দকৃত জাল বাসনভাঙার চরে নিয়ে পোড়ানো হয়েছে আর নোঙ্গর আমাদের হেফাজতে আছে। শাহিনের মাধ্যমে নোঙ্গর-জালের দড়ি বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে ফোন কেটে দেন তিনি। পরে  বার বার তাকে ফোন করা হলেও আর রিসিভ করেননি এই কর্মকর্তা।

এব্যাপারে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদউল্লাহ জানান, এ অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নেয়া হবে। যদি কেউ এ ধরনের কাজ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভোলা/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

লালমোহনে অভিযানে জব্দ করা মালামাল গোপনে বিক্রি

আপডেটের সময় ০১:৪২:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনের মেঘনায় মৎস্য অফিসের অভিযানে জব্দকৃত জালের সঙ্গে থাকা দড়ি ও ২৪টি নোঙ্গর নিলাম না দিয়ে গোপনে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সূত্র জানায়, গত শনিবার বিকালের দিকে লালমোহনের মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা মো. তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে কামারেরখাল এলাকার মেঘনা নদী থেকে দুইটি মাছ ধরা ট্রলারের জাল ও নোঙ্গর জব্দ করা হয়। পরে মৎস্য অফিসের নির্দিষ্ট মাঝি শাহিন তজুমদ্দিন উপজেলার স্লুইসঘাটে রাতে গোপনে নিয়ে জব্দকৃত ওইসব নোঙ্গর ও জালের সঙ্গে থাকা দড়ি ৪৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।

এসব মালামাল ক্রয়কারী কাশেম ও ইউসুফ জানান, অফিসার তানবির ও মাঝি শাহিনের কাছ থেকে দুইটি নৌকার ২৪টি নোঙ্গর ২৪ হাজার টাকা এবং ১৯ হাজার টাকায় জালের দড়ি কিনেছি।

স্যারেরা যেভাবে নির্দেশ দেন, সেভাবে কাজ করি বলে জানান লালমোহন মৎস্য অফিসের নির্দিষ্ট নৌকার মাঝি শাহিন। তবে এব্যাপারে উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা মো. তানভীর আহমেদ বলেন, জব্দকৃত জাল বাসনভাঙার চরে নিয়ে পোড়ানো হয়েছে আর নোঙ্গর আমাদের হেফাজতে আছে। শাহিনের মাধ্যমে নোঙ্গর-জালের দড়ি বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে ফোন কেটে দেন তিনি। পরে  বার বার তাকে ফোন করা হলেও আর রিসিভ করেননি এই কর্মকর্তা।

এব্যাপারে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদউল্লাহ জানান, এ অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নেয়া হবে। যদি কেউ এ ধরনের কাজ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভোলা/ইবিটাইমস