ভিয়েনা ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১ কোটি ২০ লাখ মানুষের ফিরতি ভোগান্তি রোধ করুন : সেভ দ্য রোড

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০১:৪৩:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জুলাই ২০২২
  • ২২ সময় দেখুন

ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষের রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় ফিরতি ভোগান্তি রোধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানিয়েছে সেভ দ্য রোড। আকাশ-সড়ক-রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনামুক্ত রাখার লক্ষ্যে দেশের একমাত্র স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সেভ দ্য রোড-এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ পুলিশ, ট্রাফিক বিভাগ, বিআরটিসি, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে কর্মরতদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলা হয়েছে, মোটর সাইকেলে বিধি নিষেধ থাকায় সাধারণ মানুষ বাস-মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন পরিবহনের মালিক-শ্রমিকদের কাছে জিম্মি হয়েও ঈদযাত্রায় চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে ঈদে বাড়িতে গিয়েছে। বিশেষ করে রেলওয়েতে ছিলো চরম অব্যবস্থাপনা, টিকিট কিনেও হাজার হাজার যাত্রীকে রেলওয়ের ছাদে বসে বাড়িতে যেতে হয়েছে, একইভাবে বাস সার্ভিসে বনাট-ছাদ এমনকি মোড়া-বালতিবাহি হয়ে বাড়িতে ফিরেছে অসংখ্য যাত্রী; তার উপর পরিবার-পরিজন নিয়ে যারা ঈদযাত্রায় ছিলেন, নির্মম জিম্মিদশায় বেহাল হয়েছে তাদের অর্থনৈতিক ও শারিরিক অবস্থা। ছিলো লাইসেন্সবিহিন এ্যাম্বুলেন্সে যাত্রীবাহনের ঘটনাও।

১২ জুলাই সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, মহাসচিব শান্তা ফারজানা, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া, শওকত হোসেন ও আনজুমান আরা শিল্পী এক বিবৃতিতে বলেন, ঈদের আগের ২ দিন থেকে কমলাপুর রেল স্টেশন, মহাখালী বাস স্ট্যান্ড, সদর ঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবিগণ সার্বিক পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে- সবচেয়ে ভোগান্তি হয়েছে এবার গণপরিবহনে ঈদযাত্রা যারা করেছেন, তাদের। এছাড়াও রেল কর্তৃপক্ষের চরম অব্যাবস্থাপনার কারণে হাজার হাজার যাত্রীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদে বসে বাড়িতে যেতে হয়েছে। মাইক্রোবাস-গরুবাহি ট্রাক-এ্যাম্বুলেন্স-পিকআপেও যাত্রীরা অর্থনৈতিক জিম্মি হয়ে ছুটেছেন বাড়ির পথে। সাথে ছিলো কোরবানীর পশুর হাটের কারণে চরম জ্যাম আর ভোগান্তি। পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন সেতুতে ১০ থেকে ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়েছিলো টোল আদায়ের সময়।

ঈদযাত্রার ভয়ংকর পরিস্থিতিতে যেন রাজধানী ফিরতি মানুষদের না পরতে হয়; সেদিকে দৃষ্টি রেখে অবশ্যই পুলিশ-প্রশাসন-মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহবান জানিয়ে সেভ দ্য রোড নেতৃবৃন্দ বলেন, টিকিট কালোবাজারি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, প্রয়োজনে বিআরটিসির ডিপোতে থাকা শতাধিক অতিরিক্ত বাস অনতি বিলম্বে কয়েকটি রুটে ভাগ করে যাত্রী বহনের ব্যবস্থা করতে হবে, কোথাও যেন যাত্রীকে জিম্মি করে ঈদের আগের মত ৩/৪ গুণ ভাড়া আদায় করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্কতার জন্য ম্যাজিষ্ট্রেট টিম জেলা শহরের বাস স্ট্যান্ডে সক্রিয় রাখতে হবে, একই সাথে দুর্ঘটনা এড়াতে হাইওয়ে পুলিশ-এর সতর্ক প্রহরা ৫ কিলোমিটার পর পর নিশ্চিত করতে হবে।

ঢাকা/ ইবিটাইমস /এম আর

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

১ কোটি ২০ লাখ মানুষের ফিরতি ভোগান্তি রোধ করুন : সেভ দ্য রোড

আপডেটের সময় ০১:৪৩:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জুলাই ২০২২

ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষের রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় ফিরতি ভোগান্তি রোধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানিয়েছে সেভ দ্য রোড। আকাশ-সড়ক-রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনামুক্ত রাখার লক্ষ্যে দেশের একমাত্র স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সেভ দ্য রোড-এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ পুলিশ, ট্রাফিক বিভাগ, বিআরটিসি, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে কর্মরতদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলা হয়েছে, মোটর সাইকেলে বিধি নিষেধ থাকায় সাধারণ মানুষ বাস-মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন পরিবহনের মালিক-শ্রমিকদের কাছে জিম্মি হয়েও ঈদযাত্রায় চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে ঈদে বাড়িতে গিয়েছে। বিশেষ করে রেলওয়েতে ছিলো চরম অব্যবস্থাপনা, টিকিট কিনেও হাজার হাজার যাত্রীকে রেলওয়ের ছাদে বসে বাড়িতে যেতে হয়েছে, একইভাবে বাস সার্ভিসে বনাট-ছাদ এমনকি মোড়া-বালতিবাহি হয়ে বাড়িতে ফিরেছে অসংখ্য যাত্রী; তার উপর পরিবার-পরিজন নিয়ে যারা ঈদযাত্রায় ছিলেন, নির্মম জিম্মিদশায় বেহাল হয়েছে তাদের অর্থনৈতিক ও শারিরিক অবস্থা। ছিলো লাইসেন্সবিহিন এ্যাম্বুলেন্সে যাত্রীবাহনের ঘটনাও।

১২ জুলাই সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, মহাসচিব শান্তা ফারজানা, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া, শওকত হোসেন ও আনজুমান আরা শিল্পী এক বিবৃতিতে বলেন, ঈদের আগের ২ দিন থেকে কমলাপুর রেল স্টেশন, মহাখালী বাস স্ট্যান্ড, সদর ঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবিগণ সার্বিক পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে- সবচেয়ে ভোগান্তি হয়েছে এবার গণপরিবহনে ঈদযাত্রা যারা করেছেন, তাদের। এছাড়াও রেল কর্তৃপক্ষের চরম অব্যাবস্থাপনার কারণে হাজার হাজার যাত্রীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদে বসে বাড়িতে যেতে হয়েছে। মাইক্রোবাস-গরুবাহি ট্রাক-এ্যাম্বুলেন্স-পিকআপেও যাত্রীরা অর্থনৈতিক জিম্মি হয়ে ছুটেছেন বাড়ির পথে। সাথে ছিলো কোরবানীর পশুর হাটের কারণে চরম জ্যাম আর ভোগান্তি। পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন সেতুতে ১০ থেকে ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়েছিলো টোল আদায়ের সময়।

ঈদযাত্রার ভয়ংকর পরিস্থিতিতে যেন রাজধানী ফিরতি মানুষদের না পরতে হয়; সেদিকে দৃষ্টি রেখে অবশ্যই পুলিশ-প্রশাসন-মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহবান জানিয়ে সেভ দ্য রোড নেতৃবৃন্দ বলেন, টিকিট কালোবাজারি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, প্রয়োজনে বিআরটিসির ডিপোতে থাকা শতাধিক অতিরিক্ত বাস অনতি বিলম্বে কয়েকটি রুটে ভাগ করে যাত্রী বহনের ব্যবস্থা করতে হবে, কোথাও যেন যাত্রীকে জিম্মি করে ঈদের আগের মত ৩/৪ গুণ ভাড়া আদায় করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্কতার জন্য ম্যাজিষ্ট্রেট টিম জেলা শহরের বাস স্ট্যান্ডে সক্রিয় রাখতে হবে, একই সাথে দুর্ঘটনা এড়াতে হাইওয়ে পুলিশ-এর সতর্ক প্রহরা ৫ কিলোমিটার পর পর নিশ্চিত করতে হবে।

ঢাকা/ ইবিটাইমস /এম আর