ভিয়েনা ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারি সহায়তা পেতে বৃদ্ধ আজাহারের আকুতি

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০২:৫৩:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুলাই ২০২২
  • ১৯ সময় দেখুন
জাহিদ দুলাল, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: ৮৮ বছরের বৃদ্ধ মো. আজাহার। শরীরে শক্তি থাকাকালীন মানুষের দিনমজুরি করে চালিয়েছেন সংসার। এখন শরীরের বাসা বেঁধেছে বিভিন্ন জটিল রোগ। নিভে গেছে এক চোখের আলোও। তাই এখন আর দিন মজুরিতে কাজও করতে পারেন না বৃদ্ধ আজাহার। এক প্রকার বাধ্য হয়েই গত ৮-১০ বছর ধরে ভিক্ষা করেই চলছে তার জীবন যাপন। বিয়ে করেছেন তিনটির মত। তবে মারা গেছেন স্ত্রীরা সকলে। দুই সন্তান থাকলেও, তারা থাকেন ঢাকাতে। খোঁজ নেন না বৃদ্ধ বাবার। তাই এখন ভিক্ষা করে যা পান তা দিয়ে নিজে কোনো রকমে খেয়ে-পরে চরম দুর্দশায় বেঁচে আছেন।
ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের চরমোল্লাজী গ্রামের মোজাম্মেল হক মেম্বার বাড়িতে অন্যের জমিতে দিনশেষে একটি ঝুপড়ি ঘরে কোনোভাবে মাথা গোঁজেন এই ভাগ্য বিড়ম্বিত বৃদ্ধ আজাহার।
তিনি বলেন, বয়স হয়েছে ৮০-৯০ এর মত। এখন মৃত্যুর প্রহর গুনছি। আজ পর্যন্ত সরকারি কোনো ভাতা পাইনি। অথচ আমার চেয়েও অনেক ভালো মানুষ সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। আমি একটা চালের নাম আর একটা ভাতার জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ অনেকের কাছে গিয়েছি। তারা ‘দিবে’ বলে কেবল আশ্বাসই দেন। তবে দেন না। তাই সরকারের কাছে দাবী মৃত্যুর আগে যেন আমাকে কিছু সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়। সরকারি কোনো সহায়তা পেলে হয়তো বাকি যে ক’দিন বেঁচে আছি ততদিন একটু ভালোভাবে বাঁচতে পারবো।
ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জাহির ভুঁইয়া বলেন, তাকে বিভিন্ন সময় আমরা সহায়তা দিয়েছি। তারপরেও তাকে আশ্বাস দিয়েছি সামনে ভিজিডি’র তালিকায় তার নাম অর্ন্তভূক্ত করে দিবো। যেন সে নিয়মিত সরকারি চাল সহায়তা পান।
ভোলা/ইবিটাইমস
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

সরকারি সহায়তা পেতে বৃদ্ধ আজাহারের আকুতি

আপডেটের সময় ০২:৫৩:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুলাই ২০২২
জাহিদ দুলাল, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: ৮৮ বছরের বৃদ্ধ মো. আজাহার। শরীরে শক্তি থাকাকালীন মানুষের দিনমজুরি করে চালিয়েছেন সংসার। এখন শরীরের বাসা বেঁধেছে বিভিন্ন জটিল রোগ। নিভে গেছে এক চোখের আলোও। তাই এখন আর দিন মজুরিতে কাজও করতে পারেন না বৃদ্ধ আজাহার। এক প্রকার বাধ্য হয়েই গত ৮-১০ বছর ধরে ভিক্ষা করেই চলছে তার জীবন যাপন। বিয়ে করেছেন তিনটির মত। তবে মারা গেছেন স্ত্রীরা সকলে। দুই সন্তান থাকলেও, তারা থাকেন ঢাকাতে। খোঁজ নেন না বৃদ্ধ বাবার। তাই এখন ভিক্ষা করে যা পান তা দিয়ে নিজে কোনো রকমে খেয়ে-পরে চরম দুর্দশায় বেঁচে আছেন।
ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের চরমোল্লাজী গ্রামের মোজাম্মেল হক মেম্বার বাড়িতে অন্যের জমিতে দিনশেষে একটি ঝুপড়ি ঘরে কোনোভাবে মাথা গোঁজেন এই ভাগ্য বিড়ম্বিত বৃদ্ধ আজাহার।
তিনি বলেন, বয়স হয়েছে ৮০-৯০ এর মত। এখন মৃত্যুর প্রহর গুনছি। আজ পর্যন্ত সরকারি কোনো ভাতা পাইনি। অথচ আমার চেয়েও অনেক ভালো মানুষ সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। আমি একটা চালের নাম আর একটা ভাতার জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ অনেকের কাছে গিয়েছি। তারা ‘দিবে’ বলে কেবল আশ্বাসই দেন। তবে দেন না। তাই সরকারের কাছে দাবী মৃত্যুর আগে যেন আমাকে কিছু সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়। সরকারি কোনো সহায়তা পেলে হয়তো বাকি যে ক’দিন বেঁচে আছি ততদিন একটু ভালোভাবে বাঁচতে পারবো।
ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জাহির ভুঁইয়া বলেন, তাকে বিভিন্ন সময় আমরা সহায়তা দিয়েছি। তারপরেও তাকে আশ্বাস দিয়েছি সামনে ভিজিডি’র তালিকায় তার নাম অর্ন্তভূক্ত করে দিবো। যেন সে নিয়মিত সরকারি চাল সহায়তা পান।
ভোলা/ইবিটাইমস