ঢাকা: আগামী সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নিতে মেশিনটি যাচাই করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ যাচাইয়ে ইসির নিবন্ধিত ৩৯ রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় ১৩টি দলকে ডাকা হয়েছিল। যেখানে সাড়া দেয়নি বিএনপিসহ পাঁচ রাজনৈদিক দল। বাকি আট দল নিয়ে সভা করছে কমিশন।
দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএলকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও দলগুলো সভায় অংশ নেয়নি।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিকেল তিনটায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে সভাটি শুরু হয়।
এদিকে, ইভিএম যাচাইয়ের প্রথম সভায় ১৩ দলকে টেকনিক্যাল পারসনসহ আমন্ত্রণ জানানো হলেও সে অনুষ্ঠানে ১০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। তবে তাঁদের সঙ্গে কোনো টেকনিক্যাল পারসন ছিল না।
সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.), বেগম রাশিদা সুলতানা, মো. আলমগীর, ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথসহ ইসিরি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা আমাদের দিক থেকে শতভাগ নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করব। আামার মনে হয় না আজ্ঞাবহ হয়ে, সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কেউ ওই কাজটা (কারচুপি) করতে যাবে। অন্য কোনোভাবে সম্ভব কি-না, তবে আমাদের দ্বারা, আমরা যারা কমিশনের সদস্য আছি, সরকারও চাইবে না আমরা আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করি।
তিনি বলেন, আমার চারপাশে যারা আছেন, তাদের ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেই। আপনারা, রাজনৈতিক দল, সরকার, সরকারি দল; আপনারাই কি শতভাগ অনেস্ট থাকবেন? ভোটকেন্দ্রে কীভাবে ব্যালটে সিল মারা হয় সেই অভিজ্ঞতা আমার আছে। এটা কিন্তু আপনারাও বন্ধ করতে পারেননি। এক্ষেত্রে যদি ইভিএম ব্যবহার করা যায়, আমি ইভিএম বিশেষজ্ঞ না, কিন্তু এ পর্যন্ত যতটুকু দেখেছি, এখানে কিন্তু ইতিবাচক দিক অনেক বেশি।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এমএইচ