ভিয়েনা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জয়লাভ

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৪:১৫:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২
  • ১৮ সময় দেখুন

প্রাথমিকভাবে যে সরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে এমানুয়েল মাক্রোঁ পেয়েছেন ৫৮ দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোট এবং মারিন ল্য পেন পেয়েছেন ৪১ দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোট

ইউরোপ ডেস্কঃ ফ্রান্স থেকে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে প্রথামিকভাবে যে সরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে এমানুয়েল মাক্রোঁ পেয়েছেন ৫৮ দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোট এবং মারিন ল্য পেন পেয়েছেন ৪১ দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোট। পেনকে বিপুল ব্যবধানে হারাবার পর আইফেল টাওয়ারের সামনে তার দলের সমর্থকদের কাছে মাক্রোঁ বলেছেন, তিনি সকলের প্রেসিডেন্ট হয়ে ওঠার চেষ্টা করবেন।

সেই ২০০২-এর পর থেকে ফ্রান্সে কেউ পরপর দুইবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিততে পারেননি। ২০১৭ সালেও তিনি পেনকে হারিয়েছিলেন এবং সেবার মাক্রোঁ ৬৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। সেই তুলনায় এবার কিছুটা কম ভোট পেয়েছেন মাক্রোঁ।

এক সপ্তাহ পূর্বে প্রথম দফার নির্বাচনে তৃতীয় স্থানে ছিলেন কট্টর বামপন্থি প্রার্থী জঁ লুক মেলাশঁ৷ ফলে মেলাশঁর ভোট কোন দিকে যাবে তা নিয়ে কৌতূহল ছিল। ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর বোঝা যাচ্ছে, মাক্রোঁ আগেরবারের তুলনায় কম ভোট পেলেও, তাঁকে পেন ভয়ংকর প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে ফেলতে পারেননি।

এএফপি ম্যাক্রোঁর জয়ের নেপথ্য বিশ্লেষণ করে বলেছেন ভোটের প্রচারের সময় মাক্রোঁ নিজেকে ইউরোপের সংহতির জন্য বড় শক্তি হিসাবে তুলে ধরেছেন। তিনি কোভিড-১৯ ও ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার প্রসঙ্গ ও দুই ক্ষেত্রে তার ভূমিকার কথা বলেছেন। ভোটের আগে ফ্রান্সের পেনশন ব্যবস্থাকে লঘু করার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছেন মাক্রোঁ। কারণ, তিনি বামপন্থিদের ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

মাক্রোঁর প্রথম পাঁচ বছরের শাসনে প্রচুর উত্থান-পতন হয়েছে। ইয়েলো-ভেস্ট মুভমেন্ট হয়েছে। তার ব্যবসায়ী-পন্থি নীতি ও বড়লোকদের কর কম করার সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদ হয়েছে। তবে প্রথম পর্বের ভোটে পেনের তুলনায় পাঁচ পার্সেন্টেজ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন মাক্রোঁ। এরপর মাক্রোঁ বেশ কয়েকটি প্রধান সংবাদপত্রের সমর্থন পান। বেশ কিছু রিপোর্টে লেখা হয়, পেন ক্ষমতায় এলে তা জাতীয় সংহতির পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে এবং তখন ফ্রান্সের উপর থেকে বিদেশের ভরসা কমে যাবে।

জয়ের পর মাক্রোঁ বলেছেন, পেনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াই ছিল খুবই তিক্ত। এখন সেই তিক্ততা কাটিয়ে ওঠার কথা বলেছেন তিনি। তিনি তার সমর্থকদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, ন্যায্য ও সমতাপূর্ণ সমাজের জন্য তিনি কাজ করবেন।

কবির আহমেদ/ ইবিটাইমস

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জয়লাভ

আপডেটের সময় ০৪:১৫:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২

প্রাথমিকভাবে যে সরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে এমানুয়েল মাক্রোঁ পেয়েছেন ৫৮ দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোট এবং মারিন ল্য পেন পেয়েছেন ৪১ দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোট

ইউরোপ ডেস্কঃ ফ্রান্স থেকে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে প্রথামিকভাবে যে সরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে এমানুয়েল মাক্রোঁ পেয়েছেন ৫৮ দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোট এবং মারিন ল্য পেন পেয়েছেন ৪১ দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোট। পেনকে বিপুল ব্যবধানে হারাবার পর আইফেল টাওয়ারের সামনে তার দলের সমর্থকদের কাছে মাক্রোঁ বলেছেন, তিনি সকলের প্রেসিডেন্ট হয়ে ওঠার চেষ্টা করবেন।

সেই ২০০২-এর পর থেকে ফ্রান্সে কেউ পরপর দুইবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিততে পারেননি। ২০১৭ সালেও তিনি পেনকে হারিয়েছিলেন এবং সেবার মাক্রোঁ ৬৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। সেই তুলনায় এবার কিছুটা কম ভোট পেয়েছেন মাক্রোঁ।

এক সপ্তাহ পূর্বে প্রথম দফার নির্বাচনে তৃতীয় স্থানে ছিলেন কট্টর বামপন্থি প্রার্থী জঁ লুক মেলাশঁ৷ ফলে মেলাশঁর ভোট কোন দিকে যাবে তা নিয়ে কৌতূহল ছিল। ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর বোঝা যাচ্ছে, মাক্রোঁ আগেরবারের তুলনায় কম ভোট পেলেও, তাঁকে পেন ভয়ংকর প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে ফেলতে পারেননি।

এএফপি ম্যাক্রোঁর জয়ের নেপথ্য বিশ্লেষণ করে বলেছেন ভোটের প্রচারের সময় মাক্রোঁ নিজেকে ইউরোপের সংহতির জন্য বড় শক্তি হিসাবে তুলে ধরেছেন। তিনি কোভিড-১৯ ও ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার প্রসঙ্গ ও দুই ক্ষেত্রে তার ভূমিকার কথা বলেছেন। ভোটের আগে ফ্রান্সের পেনশন ব্যবস্থাকে লঘু করার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছেন মাক্রোঁ। কারণ, তিনি বামপন্থিদের ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

মাক্রোঁর প্রথম পাঁচ বছরের শাসনে প্রচুর উত্থান-পতন হয়েছে। ইয়েলো-ভেস্ট মুভমেন্ট হয়েছে। তার ব্যবসায়ী-পন্থি নীতি ও বড়লোকদের কর কম করার সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদ হয়েছে। তবে প্রথম পর্বের ভোটে পেনের তুলনায় পাঁচ পার্সেন্টেজ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন মাক্রোঁ। এরপর মাক্রোঁ বেশ কয়েকটি প্রধান সংবাদপত্রের সমর্থন পান। বেশ কিছু রিপোর্টে লেখা হয়, পেন ক্ষমতায় এলে তা জাতীয় সংহতির পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে এবং তখন ফ্রান্সের উপর থেকে বিদেশের ভরসা কমে যাবে।

জয়ের পর মাক্রোঁ বলেছেন, পেনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াই ছিল খুবই তিক্ত। এখন সেই তিক্ততা কাটিয়ে ওঠার কথা বলেছেন তিনি। তিনি তার সমর্থকদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, ন্যায্য ও সমতাপূর্ণ সমাজের জন্য তিনি কাজ করবেন।

কবির আহমেদ/ ইবিটাইমস