ভিয়েনা ০৭:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালমোহনে মুক্তিযোদ্ধার নামে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি ২০ বছরেও এমপিওভুক্ত হয়নি

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৮:০২:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২
  • ১৪ সময় দেখুন

জাহিদ দুলাল, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনে মুক্তিযোদ্ধার নামে প্রতিষ্ঠিত একটি বিদ্যালয় ২০ বছরেও এমপিওভুক্ত হয়নি। এতে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন ওই প্রতিষ্ঠানের ১৩ জন শিক্ষক কর্মচারীরা।

স্কুলটি গত ১০ বছর ধরে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস  করে আসছে। সুনামের সাথে পুরো এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। কিন্তু অজানা কারনে এমপিওভুক্ত হয়নি স্কুলটি। এতে চরম ক্ষোভ আর অসন্তোষ বিরাজ করছে শিক্ষক -কর্মচারীদের মাধ্যে।

স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আন্তরিকতার সাথে গ্রামের কোমলমতী শিক্ষার্থীদের পাঠাদান করাচ্ছেন। কিন্তু শিক্ষকরা বঞ্চিত সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে। এতে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

স্কুল সুত্র জানিয়েছে, ২০০১ সালের দিকে লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের কাশমির (বর্তমানে মোতাহার নগর) গ্রামে ৫০ শতাংশ জমির উপর বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়। ওই সময় স্থানীয় সমাজ সেবক ও  শিক্ষানুরাগি নুরুজ্জামান হাওলাদার স্কুলটির নামে জমি দান করেন।
তৎকালীন সময়ে সাবেক এমপি মরহুম মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার উদ্দিন মাস্টারের নামে স্কুলটির নামকরন করা হয়।

স্কুলটির বর্তমান নাম ‘শহীদ মোতাহার উদ্দিন মেমোরিয়াল নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়’।  এরপর থেকে স্কুলটি সুনামের সাথে পাঠাদান কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। ২০১০ সালের পর থেকে গত ১০ বছর ধরে স্কুলটিতে জেএসসিতে ছাত্র-ছাত্রীরা শতভাগ পাসের রেজাল্ট অর্জন করে। ২০১০ সালে স্থানীয় সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধূরীর শাওনের প্রচেষ্ঠায় বিদ্যালয়টি এক তলা পাকা ভবন পায়। কিন্তু এমপিওভুক্তির জন্য দুইদফা আবেদন করেও সুফল পাওয়া যায়নি।

বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আয়শা খাতুন ও মোবারক হোসেন বলেন, আমাদের সকল শিক্ষক দক্ষতার সাথে পাঠদান করে আসলেও বিদ্যালয়টি  গত ২০ বছর ধরে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় আমরা কোন বেতন-ভাতা পাচ্ছি না।  এতে আমাদের অনেক কষ্ট করে চলতে হচ্ছে। সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছি দ্রুত যেন স্কুলটি এমপিওভুক্ত হয়।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মোঃ কামাল উদ্দিন বলেন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি এলাকায় বেশ সুনামের সাথে  শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে আসছে কিন্তু তবুও এটি এমপিওভুক্ত হয়নি, এটি খুবই দুঃখজনক। আমরা দুই দফা আবেদন করেছি কিন্তু তারপরেও এমপিও হয়নি।এতে শিক্ষকরা অনেক কষ্টে আছেন।

এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা  রফিকুল ইসলাম বলেন, এটি অনেক পুরনো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এটি এমপিওভুক্ত হওয়া প্রয়োজন। এতে শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবীপূরন হবে। তাদের স্বপ্নপূরন হবে।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে প্রতিষ্ঠিত এ স্কুলটি এমপিওভুক্ত হলে এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়নে এটি আরও ভুমিকা রাখবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

ভোলা/ইবিটাইমস/এম আর

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

লালমোহনে মুক্তিযোদ্ধার নামে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি ২০ বছরেও এমপিওভুক্ত হয়নি

আপডেটের সময় ০৮:০২:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২

জাহিদ দুলাল, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনে মুক্তিযোদ্ধার নামে প্রতিষ্ঠিত একটি বিদ্যালয় ২০ বছরেও এমপিওভুক্ত হয়নি। এতে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন ওই প্রতিষ্ঠানের ১৩ জন শিক্ষক কর্মচারীরা।

স্কুলটি গত ১০ বছর ধরে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস  করে আসছে। সুনামের সাথে পুরো এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। কিন্তু অজানা কারনে এমপিওভুক্ত হয়নি স্কুলটি। এতে চরম ক্ষোভ আর অসন্তোষ বিরাজ করছে শিক্ষক -কর্মচারীদের মাধ্যে।

স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আন্তরিকতার সাথে গ্রামের কোমলমতী শিক্ষার্থীদের পাঠাদান করাচ্ছেন। কিন্তু শিক্ষকরা বঞ্চিত সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে। এতে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

স্কুল সুত্র জানিয়েছে, ২০০১ সালের দিকে লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের কাশমির (বর্তমানে মোতাহার নগর) গ্রামে ৫০ শতাংশ জমির উপর বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়। ওই সময় স্থানীয় সমাজ সেবক ও  শিক্ষানুরাগি নুরুজ্জামান হাওলাদার স্কুলটির নামে জমি দান করেন।
তৎকালীন সময়ে সাবেক এমপি মরহুম মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার উদ্দিন মাস্টারের নামে স্কুলটির নামকরন করা হয়।

স্কুলটির বর্তমান নাম ‘শহীদ মোতাহার উদ্দিন মেমোরিয়াল নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়’।  এরপর থেকে স্কুলটি সুনামের সাথে পাঠাদান কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। ২০১০ সালের পর থেকে গত ১০ বছর ধরে স্কুলটিতে জেএসসিতে ছাত্র-ছাত্রীরা শতভাগ পাসের রেজাল্ট অর্জন করে। ২০১০ সালে স্থানীয় সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধূরীর শাওনের প্রচেষ্ঠায় বিদ্যালয়টি এক তলা পাকা ভবন পায়। কিন্তু এমপিওভুক্তির জন্য দুইদফা আবেদন করেও সুফল পাওয়া যায়নি।

বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আয়শা খাতুন ও মোবারক হোসেন বলেন, আমাদের সকল শিক্ষক দক্ষতার সাথে পাঠদান করে আসলেও বিদ্যালয়টি  গত ২০ বছর ধরে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় আমরা কোন বেতন-ভাতা পাচ্ছি না।  এতে আমাদের অনেক কষ্ট করে চলতে হচ্ছে। সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছি দ্রুত যেন স্কুলটি এমপিওভুক্ত হয়।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মোঃ কামাল উদ্দিন বলেন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি এলাকায় বেশ সুনামের সাথে  শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে আসছে কিন্তু তবুও এটি এমপিওভুক্ত হয়নি, এটি খুবই দুঃখজনক। আমরা দুই দফা আবেদন করেছি কিন্তু তারপরেও এমপিও হয়নি।এতে শিক্ষকরা অনেক কষ্টে আছেন।

এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা  রফিকুল ইসলাম বলেন, এটি অনেক পুরনো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এটি এমপিওভুক্ত হওয়া প্রয়োজন। এতে শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবীপূরন হবে। তাদের স্বপ্নপূরন হবে।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে প্রতিষ্ঠিত এ স্কুলটি এমপিওভুক্ত হলে এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়নে এটি আরও ভুমিকা রাখবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

ভোলা/ইবিটাইমস/এম আর