ভিয়েনা ১০:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওমিক্রোন আক্রান্তের হার বাড়ছে, দেশের অবকাঠামো নিয়ে উদ্বিগ্ন অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৩:৫২:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
  • ৩৩ সময় দেখুন

ইউরোপ ডেস্কঃ অস্ট্রিয়ার সরকার প্রধান চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার (ÖVP) বলেছেন, ওমিক্রোনের সংক্রমণের অস্বাভাবিক বিস্তার দেশে সঙ্কট তৈরি করতে পারে। তিনি বলেন, বেশিরভাগ নাগরিকের আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনের ফলে দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো নিয়ে চিন্তিত তার সরকার।

সরকার প্রধান নেহামারের মতে, অস্ট্রিয়ায় এখনও করোনা মহামারী শেষ হয় নি। চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার অস্ট্রিয়ার জনপ্রিয় সাপ্তাহিক রাজনৈতিক ম্যাগাজিন খ্যাত Profil -এর সাথে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আপাতত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে মহামারীটি খুব শীঘ্রই শেষ হবে না। তিনি জানান বর্তমানে চলমান করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রোনে একসাথে অনেক মানুষ সংক্রামিত হচ্ছে। ফলে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মী সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। তিনি বলেন, দেশকে সচল রাখতে কোয়ারেন্টাইনের সময়কাল সম্ভবত সংক্ষিপ্ত করতে হবে। জানান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এসব বিষয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।

তিনি”প্রোফিল”ম্যাগাজিনের সাথে সাক্ষাৎকারে আরও বলেন,আমরা শীঘ্রই মহামারীটি শেষ হওয়ার অবস্থাতে পৌঁছাতে পারব না। তাই যেহেতু নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রোনের “আপাতদৃষ্টিতে কোন শেষ সীমা নেই,তাই আমাদের নতুন এই ওমিক্রোন ভ্যারিয়েন্টের সাথে সামঞ্জস্য করেই চলতে হবে”। অনেক লোক একই সময়ে ব্যর্থ হতে পারে, যা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে বিশেষভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। একটি সম্ভাব্য পরিণতি হিসাবে, কোয়ারেন্টাইনকে তাই “পুনর্বিবেচনা” করতে হবে।

রাষ্ট্রকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে” নেহামার বৃহস্পতিবার জাতীয় কাউন্সিলে টিকা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, “শুধুমাত্র টিকাই আমাদের স্বাধীনতা দেয়। টিকা দেওয়ার বাধ্যবাধকতার সাথে করোনা পরীক্ষা চার্জযোগ্য হওয়ার সম্ভাবনাকে চ্যান্সেলর উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি অর্থনীতির জন্য উচ্চ স্তরের করোনা সহায়তাকেও চালিয়র যাওয়ার কথাও উল্লেক করেন।

তিনি বলেন, সঙ্কট শেষ হওয়ার পরে, সরকার “একটি টেকসই বাজেটকে আবার অগ্রাধিকার দেবে”।

সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন প্রোফিল অস্ট্রিয়ার এক জনমত জরিপের গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফল প্রকাশ করে জানান যে,দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এখনও করোনার সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলিকে প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন। শতকরা ৫০ শতাংশ মানুষ বলেছেন যে তারা কঠোরভাবে সমস্ত ব্যবস্থা মেনে চলবেন কারণ তারা “একদম ওমিক্রোনে সংক্রমিত হতে চান না”।

জনমত জরিপে আরও জানা গেছে, শতকরা ৩৩ শতাংশ মানুষ মনে করছে করোনার বিধিনিষেধ
“সম্পূর্ণভাবে” মেনে চলার পরেও চলমান করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রোনে অনেককেই আক্রান্ত হতে পারে।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার থেকে এখন পর্যন্ত পরপর
তিনদিন যাবৎ অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের
করোনার প্রতিদিনের যৌথ বিবৃতি দেয়া স্থগিত রাখা
হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনার হিসাব সংরক্ষণ ডাটা সিস্টেমে যান্ত্রিক সমস্যার জন্য প্রতিদিনের নিয়মিত আপডেট দেয়া যাচ্ছে না।

এদিকে অস্ট্রিয়ান সংবাদ সংস্থা এপিএ জানিয়েছেন,
অস্ট্রিয়ার করোনার ট্র্যাফিক লাইট কমিশন তাদের নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে সমগ্র অস্ট্রিয়াকে করোনার অতি ঝুঁকিপূর্ণ লাল জোনেই রেখেছরন। এরমধ্যে পম্চি অস্ট্রিযার রাজ্যগুলোকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়েছে।

অন্যদিকে গতকাল অস্ট্রিয়ার এপিডেমিওলজিকাল রিপোর্টিং সিস্টেম (ইএমএস) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির
মাধ্যমে জানিয়েছে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে
প্রথম করোনার রোগী শনাক্তের পর দেশটিতে করোনায শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২,০০,০০০ ছাঁড়িয়েছে।

কবির আহমেদ / ভিয়েনা/ইবিটাইমস/আরএন

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ওমিক্রোন আক্রান্তের হার বাড়ছে, দেশের অবকাঠামো নিয়ে উদ্বিগ্ন অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর

আপডেটের সময় ০৩:৫২:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২

ইউরোপ ডেস্কঃ অস্ট্রিয়ার সরকার প্রধান চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার (ÖVP) বলেছেন, ওমিক্রোনের সংক্রমণের অস্বাভাবিক বিস্তার দেশে সঙ্কট তৈরি করতে পারে। তিনি বলেন, বেশিরভাগ নাগরিকের আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনের ফলে দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো নিয়ে চিন্তিত তার সরকার।

সরকার প্রধান নেহামারের মতে, অস্ট্রিয়ায় এখনও করোনা মহামারী শেষ হয় নি। চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার অস্ট্রিয়ার জনপ্রিয় সাপ্তাহিক রাজনৈতিক ম্যাগাজিন খ্যাত Profil -এর সাথে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আপাতত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে মহামারীটি খুব শীঘ্রই শেষ হবে না। তিনি জানান বর্তমানে চলমান করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রোনে একসাথে অনেক মানুষ সংক্রামিত হচ্ছে। ফলে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মী সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। তিনি বলেন, দেশকে সচল রাখতে কোয়ারেন্টাইনের সময়কাল সম্ভবত সংক্ষিপ্ত করতে হবে। জানান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এসব বিষয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।

তিনি”প্রোফিল”ম্যাগাজিনের সাথে সাক্ষাৎকারে আরও বলেন,আমরা শীঘ্রই মহামারীটি শেষ হওয়ার অবস্থাতে পৌঁছাতে পারব না। তাই যেহেতু নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রোনের “আপাতদৃষ্টিতে কোন শেষ সীমা নেই,তাই আমাদের নতুন এই ওমিক্রোন ভ্যারিয়েন্টের সাথে সামঞ্জস্য করেই চলতে হবে”। অনেক লোক একই সময়ে ব্যর্থ হতে পারে, যা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে বিশেষভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। একটি সম্ভাব্য পরিণতি হিসাবে, কোয়ারেন্টাইনকে তাই “পুনর্বিবেচনা” করতে হবে।

রাষ্ট্রকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে” নেহামার বৃহস্পতিবার জাতীয় কাউন্সিলে টিকা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, “শুধুমাত্র টিকাই আমাদের স্বাধীনতা দেয়। টিকা দেওয়ার বাধ্যবাধকতার সাথে করোনা পরীক্ষা চার্জযোগ্য হওয়ার সম্ভাবনাকে চ্যান্সেলর উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি অর্থনীতির জন্য উচ্চ স্তরের করোনা সহায়তাকেও চালিয়র যাওয়ার কথাও উল্লেক করেন।

তিনি বলেন, সঙ্কট শেষ হওয়ার পরে, সরকার “একটি টেকসই বাজেটকে আবার অগ্রাধিকার দেবে”।

সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন প্রোফিল অস্ট্রিয়ার এক জনমত জরিপের গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফল প্রকাশ করে জানান যে,দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এখনও করোনার সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলিকে প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন। শতকরা ৫০ শতাংশ মানুষ বলেছেন যে তারা কঠোরভাবে সমস্ত ব্যবস্থা মেনে চলবেন কারণ তারা “একদম ওমিক্রোনে সংক্রমিত হতে চান না”।

জনমত জরিপে আরও জানা গেছে, শতকরা ৩৩ শতাংশ মানুষ মনে করছে করোনার বিধিনিষেধ
“সম্পূর্ণভাবে” মেনে চলার পরেও চলমান করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রোনে অনেককেই আক্রান্ত হতে পারে।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার থেকে এখন পর্যন্ত পরপর
তিনদিন যাবৎ অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের
করোনার প্রতিদিনের যৌথ বিবৃতি দেয়া স্থগিত রাখা
হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনার হিসাব সংরক্ষণ ডাটা সিস্টেমে যান্ত্রিক সমস্যার জন্য প্রতিদিনের নিয়মিত আপডেট দেয়া যাচ্ছে না।

এদিকে অস্ট্রিয়ান সংবাদ সংস্থা এপিএ জানিয়েছেন,
অস্ট্রিয়ার করোনার ট্র্যাফিক লাইট কমিশন তাদের নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে সমগ্র অস্ট্রিয়াকে করোনার অতি ঝুঁকিপূর্ণ লাল জোনেই রেখেছরন। এরমধ্যে পম্চি অস্ট্রিযার রাজ্যগুলোকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়েছে।

অন্যদিকে গতকাল অস্ট্রিয়ার এপিডেমিওলজিকাল রিপোর্টিং সিস্টেম (ইএমএস) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির
মাধ্যমে জানিয়েছে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে
প্রথম করোনার রোগী শনাক্তের পর দেশটিতে করোনায শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২,০০,০০০ ছাঁড়িয়েছে।

কবির আহমেদ / ভিয়েনা/ইবিটাইমস/আরএন