ভিয়েনা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এভারকেয়ারে নেয়া হলো গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদীকে হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ ঢাকা-১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন আসিফ মাহমুদ বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে : দুদু সারাদেশে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৩ কোনো শক্তি নির্বাচন বানচাল করতে পারবো না : প্রেস সচিব অস্ট্রিয়ার পার্লামেন্ট ১৪ বছরের কম বয়সী মেয়েদের জন্য বিতর্কিত হিজাব নিষিদ্ধকরণ অনুমোদন বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ভিয়েনার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিনোদনমূলক (অবসর) শিক্ষকদের ধর্মঘট লালমোহনে নবনির্মিত সড়কের উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক টুকুর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে টাঙ্গাইলে কফিন মিছিল

বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড : এবাদতের বোলিংয়ে ম্যাচের লাগাম বাংলাদেশের হাতে

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৪:৪৬:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২
  • ২০ সময় দেখুন

স্পোর্টস ডেস্ক: নিজের ৭ ডেলিভারিতে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের লাগাম বাংলাদেশের হাতে তুলে দিয়েছেন পেসার এবাদত হোসেন। দ্বিতীয় ইনিংসে  চতুর্থ দিন শেষে ৫ উইকেট হাতে নিয়ে মাত্র ১৭ রানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড।

প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ৩২৮ রানের জবাবে বাংলাদেশ করে ৪৫৮ রান করে। ফলে প্রথম ইনিংসে ১৩০ রানের লিড পায় টাইগাররা। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে দিনের শেষ সময়ে এবাদতের বোলিং তোপে বেকাদায় নিউজিল্যান্ড। চতুর্থ দিন শেষে ৫ উইকেটে ১৪৭ রান তুলেছে কিউইরা। এবাদত ৩৯ রানে নেন  ৪ উইকেট।

তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ৪০১ রান । ৪ উইকেট হাতে নিয়ে ৭৩ রানে এগিয়েছিলো টাইগাররা। চার ব্যাটার হাফ-সেঞ্চুরি করেন। তবে দিন শেষে অপরাজিত ছিলেন ইয়াসির আলি ও মেহেদি হাসান মিরাজ। ইয়াসির ১১ ও মিরাজ ২০ রান নিয়ে দিন শুরু করেন। রানের গতি ধরে রাখা মিরাজ ইনিংসে বাংলাদেশের পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে হাফ-সেঞ্চুরি পাবার পথেই ছিলেন। কিন্তু সাউদির বলে উইকেটের পেছনে ব্লান্ডেলকে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৪৭ রানেই বিদায় নেন মিরাজ। তিনি ৮৮ বল খেলে ৮টি চার মারেন।

মিরাজ ফেরার কিছুক্ষণ পর থামেন ইয়াসিরও। মিরাজের মতই বল মোকাবেলা করেছেন তিনি। ৮৫ বল খেলে মাত্র ১টি চারে ২৬ রান করেন ইয়াসির। তাকে শিকার করে ইনিংসে প্রথম উইকেট নেন পেসার কাইল জেমিসন। ৩৫০ রানের মধ্যে মিরাজ-ইয়াসিরের বিদায়ের পর বাংলাদেশের টেল-এন্ডাররা লড়াই করতে পারেননি। ৮ রান যোগ হবার পর শেষ ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তাসকিনকে ৫ রানে সাউদি ও শরিফুলকে ৭ রানে বোল্ট আউট করেন। ৪৫৮ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।

নিউজিল্যান্ডের বোল্ট ৮৫ রানে ৪টি, ওয়াগনার ১০১ রানে ৩টি ও সাউদি ১১৪ রানে ২ উইকেট নেন।

মধ্যাহ্ন বিরতির আগ মুর্হূতে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে নিউজিল্যান্ড। দেখেশুনেই খেলছিলেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার অধিনায়ক টম লাথাম ও উইল ইয়ং। নবম ওভারে নিউজিল্যান্ড শিবিরে আঘাত হানেন বাংলাদেশের পেসার তাসকিন। প্রথম ইনিংসে দারুন বল করলেও,উইকেটশুন্য তাসকিন ১৪ রান করা লাথামকে বোল্ড করেন ।

এরপর বড় জুটি গড়েন ইয়ং ও প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ডেভন কনওয়ের। কিন্তু জুটিতে ৩৪ রানের বেশি করতে দেননি এবাদত। ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কনওয়েকে শিকার করেন এবাদত। গালিতে সাদমানকে ক্যাচ দিয়ে ১৩ রানে থামেন কনওয়ে। ৬৩ রানে দ্বিতীয় উইকেটে পতন ঘটে নিউজিল্যান্ডের। তৃতীয় উইকেটে ১৭৫ বলে ৭৩ রান যোগ করে নিউজিল্যান্ডকে লিড এনে দেন ইয়ং ও টেইলর। তবে এই জুটির স্কোর ৭৩ হতো না, কারন দু’টি ক্যাচ হাতছাড়া করেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। ৩১ রানে থাকা ইয়ংয়ের ক্যাচ ফেলেন লিটন। আর ১৭ রানে মিড উইকেটে টেইলরের ক্যাচ নিতে পারেননি সাদমান। দু’বারই হতভাগা বোলার ছিলেন মিরাজ। জীবন পেয়েই এই ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন ইয়ং ও টেলর। ইয়ং-টেইলর জুটি ভাঙ্গতে যখন মরিয়া বাংলাদেশ, তখনই ত্রানকর্তার ভূমিকায় এবাদত। নিজের ১৩তম ও ইনিংসের ৫৪তম ওভারের তৃতীয় বলে ইয়ংকে বোল্ড করেন তিনি। ঐ ওভারের পঞ্চম বলে ক্রিজে নতুন ব্যাটার নিকোলসের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন এবাদত। ৩ বলে ২ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান এবাদত।

এবাদতের তোপে ২ উইকেটে ১৩৬ থেকে ৫ উইকেটে ১৩৬ রানে নিউজিল্যান্ডকে পরিণত করে শেষ বিকেলে ম্যাচের লাগাম হাতে নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। দিনের শেষ দিকে বাকী ৪৫ বল সতর্কতার সাথে পার করে দেন টেইলর ও রাচিন রবীন্দ্র। টেইলর ৩৭ ও রবীন্দ্র ৬ রানে অপরাজিত আছেন।

এবাদত ১৭ ওভার বল করে ৩৯ রানে ৪ উইকেট নেন। তাসকিন ২২ রানে ১ উইকেট নেন।

ডেস্ক/ইবিটাইমস/এমএইচ

জনপ্রিয়

এভারকেয়ারে নেয়া হলো গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদীকে

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড : এবাদতের বোলিংয়ে ম্যাচের লাগাম বাংলাদেশের হাতে

আপডেটের সময় ০৪:৪৬:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২

স্পোর্টস ডেস্ক: নিজের ৭ ডেলিভারিতে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের লাগাম বাংলাদেশের হাতে তুলে দিয়েছেন পেসার এবাদত হোসেন। দ্বিতীয় ইনিংসে  চতুর্থ দিন শেষে ৫ উইকেট হাতে নিয়ে মাত্র ১৭ রানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড।

প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ৩২৮ রানের জবাবে বাংলাদেশ করে ৪৫৮ রান করে। ফলে প্রথম ইনিংসে ১৩০ রানের লিড পায় টাইগাররা। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে দিনের শেষ সময়ে এবাদতের বোলিং তোপে বেকাদায় নিউজিল্যান্ড। চতুর্থ দিন শেষে ৫ উইকেটে ১৪৭ রান তুলেছে কিউইরা। এবাদত ৩৯ রানে নেন  ৪ উইকেট।

তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ৪০১ রান । ৪ উইকেট হাতে নিয়ে ৭৩ রানে এগিয়েছিলো টাইগাররা। চার ব্যাটার হাফ-সেঞ্চুরি করেন। তবে দিন শেষে অপরাজিত ছিলেন ইয়াসির আলি ও মেহেদি হাসান মিরাজ। ইয়াসির ১১ ও মিরাজ ২০ রান নিয়ে দিন শুরু করেন। রানের গতি ধরে রাখা মিরাজ ইনিংসে বাংলাদেশের পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে হাফ-সেঞ্চুরি পাবার পথেই ছিলেন। কিন্তু সাউদির বলে উইকেটের পেছনে ব্লান্ডেলকে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৪৭ রানেই বিদায় নেন মিরাজ। তিনি ৮৮ বল খেলে ৮টি চার মারেন।

মিরাজ ফেরার কিছুক্ষণ পর থামেন ইয়াসিরও। মিরাজের মতই বল মোকাবেলা করেছেন তিনি। ৮৫ বল খেলে মাত্র ১টি চারে ২৬ রান করেন ইয়াসির। তাকে শিকার করে ইনিংসে প্রথম উইকেট নেন পেসার কাইল জেমিসন। ৩৫০ রানের মধ্যে মিরাজ-ইয়াসিরের বিদায়ের পর বাংলাদেশের টেল-এন্ডাররা লড়াই করতে পারেননি। ৮ রান যোগ হবার পর শেষ ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তাসকিনকে ৫ রানে সাউদি ও শরিফুলকে ৭ রানে বোল্ট আউট করেন। ৪৫৮ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।

নিউজিল্যান্ডের বোল্ট ৮৫ রানে ৪টি, ওয়াগনার ১০১ রানে ৩টি ও সাউদি ১১৪ রানে ২ উইকেট নেন।

মধ্যাহ্ন বিরতির আগ মুর্হূতে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে নিউজিল্যান্ড। দেখেশুনেই খেলছিলেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার অধিনায়ক টম লাথাম ও উইল ইয়ং। নবম ওভারে নিউজিল্যান্ড শিবিরে আঘাত হানেন বাংলাদেশের পেসার তাসকিন। প্রথম ইনিংসে দারুন বল করলেও,উইকেটশুন্য তাসকিন ১৪ রান করা লাথামকে বোল্ড করেন ।

এরপর বড় জুটি গড়েন ইয়ং ও প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ডেভন কনওয়ের। কিন্তু জুটিতে ৩৪ রানের বেশি করতে দেননি এবাদত। ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কনওয়েকে শিকার করেন এবাদত। গালিতে সাদমানকে ক্যাচ দিয়ে ১৩ রানে থামেন কনওয়ে। ৬৩ রানে দ্বিতীয় উইকেটে পতন ঘটে নিউজিল্যান্ডের। তৃতীয় উইকেটে ১৭৫ বলে ৭৩ রান যোগ করে নিউজিল্যান্ডকে লিড এনে দেন ইয়ং ও টেইলর। তবে এই জুটির স্কোর ৭৩ হতো না, কারন দু’টি ক্যাচ হাতছাড়া করেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। ৩১ রানে থাকা ইয়ংয়ের ক্যাচ ফেলেন লিটন। আর ১৭ রানে মিড উইকেটে টেইলরের ক্যাচ নিতে পারেননি সাদমান। দু’বারই হতভাগা বোলার ছিলেন মিরাজ। জীবন পেয়েই এই ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন ইয়ং ও টেলর। ইয়ং-টেইলর জুটি ভাঙ্গতে যখন মরিয়া বাংলাদেশ, তখনই ত্রানকর্তার ভূমিকায় এবাদত। নিজের ১৩তম ও ইনিংসের ৫৪তম ওভারের তৃতীয় বলে ইয়ংকে বোল্ড করেন তিনি। ঐ ওভারের পঞ্চম বলে ক্রিজে নতুন ব্যাটার নিকোলসের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন এবাদত। ৩ বলে ২ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান এবাদত।

এবাদতের তোপে ২ উইকেটে ১৩৬ থেকে ৫ উইকেটে ১৩৬ রানে নিউজিল্যান্ডকে পরিণত করে শেষ বিকেলে ম্যাচের লাগাম হাতে নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। দিনের শেষ দিকে বাকী ৪৫ বল সতর্কতার সাথে পার করে দেন টেইলর ও রাচিন রবীন্দ্র। টেইলর ৩৭ ও রবীন্দ্র ৬ রানে অপরাজিত আছেন।

এবাদত ১৭ ওভার বল করে ৩৯ রানে ৪ উইকেট নেন। তাসকিন ২২ রানে ১ উইকেট নেন।

ডেস্ক/ইবিটাইমস/এমএইচ