ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠি জেলায় এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২শ ৫০ হেক্টরে আউশ আবাদ কম হয়েছে। আউশ আবাদ শুরু হওয়ার পর থেকে খরার কারণে আউশের বীজতলা পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং রোপনের পর দুটি প্রাকৃতিক দূর্যোগের মোকাবেলা করতে হয়েছে। এ কারণে আউশ আবাদ ব্যহত হয়েছে দাবী করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তবে, বৈরি পরিস্থিতির মধ্যেও আউশ আবাদ থেকেও ৩২ হাজার ৯শ ৬৬ মে.টন চাল উৎপাদন হয়েছে। উৎপাদন গড় স্থানীয় জাত থেকে ১.৬ মে.টন ও উচ্চ ফলনশীল জাত থেকে ২.৭ মে.টন।
জেলার ১৪ হাজার ৪৯০ হেক্টরে আউশ আবাদ লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে উচ্চ ফলনশীল জাত ১৩ হাজার ৪শ হেক্টর ও স্থানয়ী ১ হাজার ৪৫০ হেক্টর। এর মধ্যে ১২ হাজার ৫২৯ হেক্টরে উচ্চফলনশীল ও ১৪৭১১ হেক্টরে স্থানীয় জাতের আবাদ হয়েছে। সর্বাধিক আবাদ হয়েছে কাঠালিয়া উপজেলা ৪৮২০ হেক্টরে। অন্য ৩টি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় ১৩৭০ হেক্টরে রাজাপুর উপজেলায় ১২৮০ হেক্টরে এবং নলছিটি উপজেলায় ৪২২ হেক্টরে।
অন্যদিকে ঝালকাঠি জেলায় এপর্যন্ত ৩৩৩ নম্বরে কল করে খাদ্যসহায়তা পেয়েছে ৩৬৪৪টি পরিবার ।
ঝালকাঠি জেলায় ৪টি উপজেলায় তৃণমূল স্তরের ৩হাজার ৬৪৪টি পরিবার সোমবার পর্যন্ত ৩৩৩ নম্বরে কল করে খাদ্য সহায়তা পেয়েছে। এতে উপকৃত হয়েছেন পরিবার ভুক্ত ১৬হাজার ৭২০জন। সোমবার ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ৪শ পরিবারকে এ খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। করোনাকালীন পরিস্থিতির কারণে ৩৩৩নম্বরে ফোন করে খাদ্যসহায়তা পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে । সরকার এজন্য জেলা ৭০ লক্ষ ২হাজার টাকা বরাদ্ধ রেখেছে।
জেলায় ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা আশ্রাফুল হক জানান এই নম্বরে কল করে সাহায্য চাওয়া ব্যক্তিদের ভোটার আইডি যাচাই বাছাই করে প্রাথমিক তথ্য নিয়ে আবেদন কারীদের চাল, ডাল, তেল, আলু, রসুন, পিয়াজসহ একটি পরিবারের একসপ্তাহ চলার মতো খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
বাধন রায়/ইবিটাইমস/এম আর