ভিয়েনা ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকার বনানী থানায় কর্মরত ইন্সপেক্টর সোহেল রানা অবৈধভাবে ভারতে পালাতে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৭:৫৮:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১৯ সময় দেখুন

ইন্সপেক্টর সোহেল রানাকে কোচবিহারের আদালত ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ শনিবার বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছেন শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিএসএফ-এর বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে উত্তরবঙ্গ সংবাদ নামের ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি পত্রিকা। পত্রিকাটি জানায়, শুক্রবার ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ভারতের কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করে পত্রিকাটি।

আটককালে তাঁর কাছ থেকে বিদেশি পাসপোর্ট, একাধিক মোবাইল, এটিএম কার্ড জব্দ করেছে বিএসএফ। বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক শেখ সোহেল রানা ভারত সীমান্ত দিয়ে নেপাল পালানোর সময় ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী- বিএসএফ-এর হাতে আটক হয়েছে। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বনানী থানার তদন্ত ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পশ্চিমবঙ্গের পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের নাগরিক শেখ সোহেল রানা সম্ভবত গা ঢাকা দেওয়ার লক্ষ্যে ভারতে প্রবেশ করেছেন। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন বিএসএফ কর্মকর্তারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বিএসএফ-এর জলপাইগুড়ি সেক্টরের ডিআইজি সঞ্জয় পন্থ’সহ পদস্থ কর্মকর্তারা।

উত্তরবঙ্গ সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে ইন্সপেক্টর সোহেল রানা’র গ্রেফতারের ছবি। পত্রিকাটি আরও জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ সোহেল রানাকে মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে বিএসএফ এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির পাঁচজনকে গ্রেফতার করে গুলশান থানা পুলিশ। তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে আসামিরা ই-অরেঞ্জের নেপথ্যের কারিগর হিসেবে বারবার সোহেল রানা’র নাম উল্লেখ করেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, গ্রেফতার এড়াতে সোহেল রানা ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে নেপাল যেতে চেয়েছিলেন। তার আগেই বিএসএফ-এর হাতে আটক হলেন তিনি। সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে বনানী থানা থেকে ডিউটি শেষে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন সোহেল রানা। তবে তাঁর গন্তব্য ছিলো নেপাল।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আযম মিয়া সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সোহেল রানা বিএসএফ-এর হাতে আটক হয়েছে কি না তা জানি না। গতকাল থেকে তাঁকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অফিস করেছিলেন। এরপর থেকে তাঁকে পাইনি। কোথায় আছে তাও জানি না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি’র গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সোহেল রানাকে বিএসএফ আটক করেছে এমন কোনো তথ্য আমরা এখনও পাইনি। সে কোথায় আছে খোঁজ -খবর নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে বিজিবির পরিচালক (অপারেশন্স) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘আমরা বিএসএফের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত এ রকম কোনো তথ্য পাইনি। তবে আমরা শুনেছি সোহেল রানা ভারতে আটক হয়েছেন।’ এই ব্যাপারে আমরা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সরকারী বিবৃতির অপেক্ষা করছি।

কবির আহমেদ/ ইবিটাইমস /এম আর

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ঢাকার বনানী থানায় কর্মরত ইন্সপেক্টর সোহেল রানা অবৈধভাবে ভারতে পালাতে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক

আপডেটের সময় ০৭:৫৮:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

ইন্সপেক্টর সোহেল রানাকে কোচবিহারের আদালত ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ শনিবার বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছেন শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিএসএফ-এর বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে উত্তরবঙ্গ সংবাদ নামের ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি পত্রিকা। পত্রিকাটি জানায়, শুক্রবার ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ভারতের কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করে পত্রিকাটি।

আটককালে তাঁর কাছ থেকে বিদেশি পাসপোর্ট, একাধিক মোবাইল, এটিএম কার্ড জব্দ করেছে বিএসএফ। বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক শেখ সোহেল রানা ভারত সীমান্ত দিয়ে নেপাল পালানোর সময় ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী- বিএসএফ-এর হাতে আটক হয়েছে। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বনানী থানার তদন্ত ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পশ্চিমবঙ্গের পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের নাগরিক শেখ সোহেল রানা সম্ভবত গা ঢাকা দেওয়ার লক্ষ্যে ভারতে প্রবেশ করেছেন। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন বিএসএফ কর্মকর্তারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বিএসএফ-এর জলপাইগুড়ি সেক্টরের ডিআইজি সঞ্জয় পন্থ’সহ পদস্থ কর্মকর্তারা।

উত্তরবঙ্গ সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে ইন্সপেক্টর সোহেল রানা’র গ্রেফতারের ছবি। পত্রিকাটি আরও জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ সোহেল রানাকে মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে বিএসএফ এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির পাঁচজনকে গ্রেফতার করে গুলশান থানা পুলিশ। তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে আসামিরা ই-অরেঞ্জের নেপথ্যের কারিগর হিসেবে বারবার সোহেল রানা’র নাম উল্লেখ করেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, গ্রেফতার এড়াতে সোহেল রানা ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে নেপাল যেতে চেয়েছিলেন। তার আগেই বিএসএফ-এর হাতে আটক হলেন তিনি। সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে বনানী থানা থেকে ডিউটি শেষে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন সোহেল রানা। তবে তাঁর গন্তব্য ছিলো নেপাল।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আযম মিয়া সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সোহেল রানা বিএসএফ-এর হাতে আটক হয়েছে কি না তা জানি না। গতকাল থেকে তাঁকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অফিস করেছিলেন। এরপর থেকে তাঁকে পাইনি। কোথায় আছে তাও জানি না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি’র গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সোহেল রানাকে বিএসএফ আটক করেছে এমন কোনো তথ্য আমরা এখনও পাইনি। সে কোথায় আছে খোঁজ -খবর নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে বিজিবির পরিচালক (অপারেশন্স) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘আমরা বিএসএফের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত এ রকম কোনো তথ্য পাইনি। তবে আমরা শুনেছি সোহেল রানা ভারতে আটক হয়েছেন।’ এই ব্যাপারে আমরা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সরকারী বিবৃতির অপেক্ষা করছি।

কবির আহমেদ/ ইবিটাইমস /এম আর