স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বার্ষিক সাধারণ (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কাউন্সিলরদের সম্মতিতে, গত তিন বছরের আর্থিক বিবরণী অনুমোদিত হয়। একই সাথে, ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটও এজিএমে অনুমোদিত হয়।
বোর্ডের দশম সভার পর এজিএমের তারিখ ২৬ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছিল, কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এটি স্থগিত করা হয়েছিল। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এজিএম-এ মোট ১২০ জন কাউন্সিলর অংশ নেন।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিসিবি’র গত চার বছরের ক্রিয়াকলাপ এবং সাফল্য সর্ম্পকে ১৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন পাঠ করেন এবং প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ৮ পৃষ্ঠার বিবৃতি পড়েন।
বিসিবির সভাপতি পরে বলেন, সর্বসম্মতিক্রমে সব এজেন্ডা অনুমোদন করা হয়েছে। পাশাপাশি এজিএম-এ গত চার বছরের অর্জন তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া, আমরা বিভিন্ন ভেন্যুতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের ব্যবস্থা করেছি। বর্তমান কমিটি জাতীয় দলের পাইপলাইন নির্মাণে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। সব মিলিয়ে আমরা ইতিবাচক সময় কাটিয়েছি।
পাপন আরও বলেন, গত চার বছরে ঘরের মাটিতে সাফল্যের জন্য আমরা প্রচুর প্রশংসা পেয়েছি। সবাই আমাদের কার্যকলাপে খুশি। এখন পুরুষ জাতীয় দলে অনেক খেলোয়াড় আছে। ধারাবাহিকভাবে সাফল্য পাচ্ছে তারা। নারীরা এশিয়া কাপ জিতেছে। পুরুষ দল ত্রিদেশীয় সিরিজের টুর্নামেন্ট জিতেছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় অর্জন- যুব বিশ্বকাপ জিতেছে বাংলাদেশ।
২০০০ সালের অক্টোবরে কক্সবাজারের এজিএম-এ আঞ্চলিক ক্রিকেট সমিতি গঠনের আহ্বান সত্ত্বেও গত ২১ বছরে কোনো অগ্রগতি হয়নি। যাই হোক, এই বছরের এজিএম আবার আশ্বাস দেয়া হয়েছে, আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা খুব শীঘ্রই বাস্তবায়িত করবে।
বিসিবি প্রধান বলেন, আমরা একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে চট্টগ্রাম ও সিলেটে আঞ্চলিক ক্রিকেট কার্যক্রম শুরু করেছি। এটা সম্পূর্ণভাবে করতে পারিনি, এটাই আমাদের ব্যর্থতা। কিন্তু আমরা বিভিন্ন জেলায় এই কার্যক্রম শুরু করবো।
সভায় জানানো হয় গত তিন আর্থিক বছরে বিসিবি প্রায় ৬৯৩ কোটি টাকা খরচ করেছে। প্রধান ফাইন্যান্স অফিসারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যয় ছিল প্রায় ২০৪ কোটি টাকা। যা এজিএম-এ অনুমোদন করেছে বিসিবি। সব মিলিয়ে যা দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৮৯৭ কোটি টাকা।
ডেস্ক/ইবিটাইমস/এমএইচ