ভিয়েনা ০৮:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে নেয়া হচ্ছে ওসমান হাদির মরদেহ শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ বহনকারী ফ্লাইট দেশে অবতরণ করেছে লালমোহন পৌরসভার সাবেক মেয়র তুহিন গ্রেফতার হাদীর খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে টাঙ্গাইলে জামায়াতে বিক্ষোভ মিছিল ভোলা-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী হাফিজের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ সড়ক নির্মাণে অনিয়ম! বন্ধ থাকা কাজ শুরু করলেও জানেনা অফিস কর্তৃপক্ষ বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে আমরা আশাবাদী, তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন : ডা. জাহিদ ভোলা-৩ আসনে বিডিপি প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ নয়ানীগ্রাম যুব তাফসীর কমিটির উদ্যোগে দুই দিনের ইসলামী মহা সম্মেলন টাঙ্গাইলে ২৪ ঘণ্টায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ’লীগের ১৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

কোন দলের নয়, বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতির সম্পদ: জিএম কাদের

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৩:৫৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১
  • ৩৮ সময় দেখুন

ঢাকা: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান কোন একটি দলের নয়, তিনি বাঙালী জাতির সম্পদ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে দলীয় সম্পদ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুকে ছোট করছে। তিনি বলেন, ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতৃত্ব বিরল। তাই বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ আর বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে জাতির কোন দ্বিমত নেই।

রবিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজি আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, জীবনের বেশিরভাগ সময় কারাবরণ করেছেন বঙ্গবন্ধু। ফাঁসির মুখেও গিয়েছেন একাধিকবার। কিন্তু দেশ ও মানুষের অধিকারের প্রশ্নে কখনই আপোষ করেননি বঙ্গবন্ধু। তিনি ছিলেন বাঙালী জাতির এক অবিসংবাদিত নেতা। স্বাধীনতার পূর্বে তিনি রাষ্ট্রের কোন পদে ছিলেন না, কিন্তু তিনি ছিলেন গণমানুষের হৃদয়ের নেতা। তাই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ সরকারি কর্মচারীরাও পালন করতেন। কোন দল নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম সংগঠিত হয়েছে। সত্তর-এর নির্বাচনে অনেকেই প্রার্থীর নাম জানতেন না, তারা শেখ মুজিবের নৌকায় ভোট দিয়েছেন।

শোক দিবসের আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যায় রাজনৈতিক নেতাদের জড়িত থাকার বিষয়টি উদ্ঘাটন করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। তিনি বলেন, ইতিহাস বিকৃত করা যায় না, ইতিহাস তার আপন গতিতে চলবে। তিনি বলেন, জেলখানায় হত্যার শিকার চার জাতীয় নেতা ছাড়া আর সবাই খুনীদের সাথে ছিলেন। বাকশালের নেতারাই খন্দকার মোশতাক আহমেদ এর সরকারে ছিলেন। তারাই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ সংসদে পাশ করেন।

বাবুল বলেন, ৭৫ সালে আওয়ামী লীগের কোন নেতাই বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেননি। খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রী সভার সদস্যরা পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের টিকেটে এমপি হয়েছেন, এর চেয়ে লজ্জার বিষয় আর হতে পারে না।

সেদিন কোন এমপি, জেলা গভর্নর ও আওয়ামী লীগের নেতারা রাজপথে নেমে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেননি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আজীবন মানুষের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন। আজ যারা মানুষের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করেছেন তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। যারা দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসন চালায় তারা কখনোই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে না।

এসময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রশ্নে কারো দ্বিমত থাকতে পারে না। যারা বাংলাদেশকে অনুভব করে, তারা অবশ্যই জাতির জনককে শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করেন।

শোক সভায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ভয়াবহ রাতে কেউই নিজ দায়িত্ব পালন করেননি। বঙ্গবন্ধুকে রক্ষায় কোন বাহিনী প্রতিরোধ গড়তে এগিয়ে আসেনি। তিনি বলেন, যখন বাকশাল গঠন করা হয়, তখন ঘরে ঘরে আওয়ামী লীগ। কিন্তু পনেরই আগষ্টের দিন আওয়ামী লীগের কোন নেতা, বুদ্ধিজীবি বা বাকশাল খুঁজে পাওয়া যায়নি। কেউ একটি বিবৃতি দেয়নি বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে। যারা ১৫ আগষ্ট রাতে দায়িত্ব পালনে ব্যার্থ হয়েছেন, তাদের আওয়ামী লীগ অনেক সময় পুরস্কৃত করেছিলেন, এরচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর হতে পারেনা।

ঢাকা/ইবিটাইমস/এমএইচ

জনপ্রিয়

হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে নেয়া হচ্ছে ওসমান হাদির মরদেহ

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

কোন দলের নয়, বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতির সম্পদ: জিএম কাদের

আপডেটের সময় ০৩:৫৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১

ঢাকা: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান কোন একটি দলের নয়, তিনি বাঙালী জাতির সম্পদ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে দলীয় সম্পদ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুকে ছোট করছে। তিনি বলেন, ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতৃত্ব বিরল। তাই বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ আর বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে জাতির কোন দ্বিমত নেই।

রবিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজি আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, জীবনের বেশিরভাগ সময় কারাবরণ করেছেন বঙ্গবন্ধু। ফাঁসির মুখেও গিয়েছেন একাধিকবার। কিন্তু দেশ ও মানুষের অধিকারের প্রশ্নে কখনই আপোষ করেননি বঙ্গবন্ধু। তিনি ছিলেন বাঙালী জাতির এক অবিসংবাদিত নেতা। স্বাধীনতার পূর্বে তিনি রাষ্ট্রের কোন পদে ছিলেন না, কিন্তু তিনি ছিলেন গণমানুষের হৃদয়ের নেতা। তাই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ সরকারি কর্মচারীরাও পালন করতেন। কোন দল নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম সংগঠিত হয়েছে। সত্তর-এর নির্বাচনে অনেকেই প্রার্থীর নাম জানতেন না, তারা শেখ মুজিবের নৌকায় ভোট দিয়েছেন।

শোক দিবসের আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যায় রাজনৈতিক নেতাদের জড়িত থাকার বিষয়টি উদ্ঘাটন করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। তিনি বলেন, ইতিহাস বিকৃত করা যায় না, ইতিহাস তার আপন গতিতে চলবে। তিনি বলেন, জেলখানায় হত্যার শিকার চার জাতীয় নেতা ছাড়া আর সবাই খুনীদের সাথে ছিলেন। বাকশালের নেতারাই খন্দকার মোশতাক আহমেদ এর সরকারে ছিলেন। তারাই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ সংসদে পাশ করেন।

বাবুল বলেন, ৭৫ সালে আওয়ামী লীগের কোন নেতাই বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেননি। খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রী সভার সদস্যরা পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের টিকেটে এমপি হয়েছেন, এর চেয়ে লজ্জার বিষয় আর হতে পারে না।

সেদিন কোন এমপি, জেলা গভর্নর ও আওয়ামী লীগের নেতারা রাজপথে নেমে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেননি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আজীবন মানুষের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন। আজ যারা মানুষের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করেছেন তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। যারা দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসন চালায় তারা কখনোই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে না।

এসময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রশ্নে কারো দ্বিমত থাকতে পারে না। যারা বাংলাদেশকে অনুভব করে, তারা অবশ্যই জাতির জনককে শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করেন।

শোক সভায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ভয়াবহ রাতে কেউই নিজ দায়িত্ব পালন করেননি। বঙ্গবন্ধুকে রক্ষায় কোন বাহিনী প্রতিরোধ গড়তে এগিয়ে আসেনি। তিনি বলেন, যখন বাকশাল গঠন করা হয়, তখন ঘরে ঘরে আওয়ামী লীগ। কিন্তু পনেরই আগষ্টের দিন আওয়ামী লীগের কোন নেতা, বুদ্ধিজীবি বা বাকশাল খুঁজে পাওয়া যায়নি। কেউ একটি বিবৃতি দেয়নি বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে। যারা ১৫ আগষ্ট রাতে দায়িত্ব পালনে ব্যার্থ হয়েছেন, তাদের আওয়ামী লীগ অনেক সময় পুরস্কৃত করেছিলেন, এরচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর হতে পারেনা।

ঢাকা/ইবিটাইমস/এমএইচ