ভিয়েনা ১২:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো একজন বিশেষজ্ঞ নারী চিকিৎসকের মৃত্যুবরণ

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০২:২৪:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অগাস্ট ২০২১
  • ১৭ সময় দেখুন

বাংলাদেশ ডেস্কঃ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহের কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ, বাংলাদেশের (সিবিএমসিবি) চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. ফরিদা ইয়াসমিন মৃত্যুবরণ করেছেন( ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রজিউন)।

বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানা গেছে গত বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মারা যান। ডা. ইয়াসমিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ(ডামেক) হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার তাঁর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সিবিএমসিবির চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ডা. ফরিদা ইয়াসমিনের মৃত্যুতে কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করে শোক প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মেডিভয়েস জানান, সিবিএমসিবির শিক্ষার্থী মো. তরিকুল ইসলাম এক ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘আমার দেখা অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন তিনি। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল একজন শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। উনার আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহপাক ম্যামকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করেন, আমিন।’

অপর শিক্ষার্থী সিয়াম শাহনুর লিখেছেন, ‘এই তো কয়েক সপ্তাহ আগেও ম্যাডামের ক্লাস করলাম, ম্যাম কতো যত্ন করে আমাদের পড়ালেন। বলতেন, করোনার মধ্যে বেশি বাসার বাইরে যেও না। ভ্যাকসিন দেয়া হয়ে গেলে কলেজ খুলে দেবে। তোমাদের সাথে আবার সরাসরি ক্লাসে দেখা হবে। আরো কত কিছু। অথচ আজ তিনি আমাদের মাঝে নেই। তিনি আমার খুব প্রিয় একজন শিক্ষক ছিলেন। ম্যাডামের এই মৃত্যুতে আমাদের অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেল।’

বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জানা গেছে দেশে এই পর্যন্ত ৩,০০০ হাজারের উপরে চিকিৎসক মহামারী করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন এবং এর মধ্যে প্রায় দুই শতাধিকের কাছাকাছি চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেছেন।

ডা.ফরিদা ইয়াসমিনের আসল বাড়ি ফরিদপুর জেলা শহরে। ডা. ফরিদার মাতা ফরিদপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া আহমেদ ও বাবা অধ্যক্ষ কেতাবুদ্দিন আহমেদ। ডা. ফরিদা ইয়াসমিনের স্বামী ডা. আনোয়ার হোসেনও একজন চিকিৎসক। তবে তাদের সন্তান-সন্ততি সম্পর্কে কোন তথ্য জানা যায় নি। ডা.ফরিদা ইয়াসমিন ছিলেন শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ বরিশালের (শেবাচিম) দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ চিকিৎসকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মেডিভয়েস, শেবাচিম ও ফরিদপুর থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হচ্ছে।

কবির আহমেদ/ ইবিটাইমস

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো একজন বিশেষজ্ঞ নারী চিকিৎসকের মৃত্যুবরণ

আপডেটের সময় ০২:২৪:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অগাস্ট ২০২১

বাংলাদেশ ডেস্কঃ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহের কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ, বাংলাদেশের (সিবিএমসিবি) চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. ফরিদা ইয়াসমিন মৃত্যুবরণ করেছেন( ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রজিউন)।

বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানা গেছে গত বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মারা যান। ডা. ইয়াসমিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ(ডামেক) হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার তাঁর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সিবিএমসিবির চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ডা. ফরিদা ইয়াসমিনের মৃত্যুতে কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করে শোক প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মেডিভয়েস জানান, সিবিএমসিবির শিক্ষার্থী মো. তরিকুল ইসলাম এক ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘আমার দেখা অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন তিনি। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল একজন শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। উনার আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহপাক ম্যামকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করেন, আমিন।’

অপর শিক্ষার্থী সিয়াম শাহনুর লিখেছেন, ‘এই তো কয়েক সপ্তাহ আগেও ম্যাডামের ক্লাস করলাম, ম্যাম কতো যত্ন করে আমাদের পড়ালেন। বলতেন, করোনার মধ্যে বেশি বাসার বাইরে যেও না। ভ্যাকসিন দেয়া হয়ে গেলে কলেজ খুলে দেবে। তোমাদের সাথে আবার সরাসরি ক্লাসে দেখা হবে। আরো কত কিছু। অথচ আজ তিনি আমাদের মাঝে নেই। তিনি আমার খুব প্রিয় একজন শিক্ষক ছিলেন। ম্যাডামের এই মৃত্যুতে আমাদের অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেল।’

বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জানা গেছে দেশে এই পর্যন্ত ৩,০০০ হাজারের উপরে চিকিৎসক মহামারী করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন এবং এর মধ্যে প্রায় দুই শতাধিকের কাছাকাছি চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেছেন।

ডা.ফরিদা ইয়াসমিনের আসল বাড়ি ফরিদপুর জেলা শহরে। ডা. ফরিদার মাতা ফরিদপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া আহমেদ ও বাবা অধ্যক্ষ কেতাবুদ্দিন আহমেদ। ডা. ফরিদা ইয়াসমিনের স্বামী ডা. আনোয়ার হোসেনও একজন চিকিৎসক। তবে তাদের সন্তান-সন্ততি সম্পর্কে কোন তথ্য জানা যায় নি। ডা.ফরিদা ইয়াসমিন ছিলেন শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ বরিশালের (শেবাচিম) দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ চিকিৎসকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মেডিভয়েস, শেবাচিম ও ফরিদপুর থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হচ্ছে।

কবির আহমেদ/ ইবিটাইমস