অস্ট্রিয়ায় গত এক সপ্তাহে নতুন করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা ৪৯,৭ শতাংশের বয়স ২৫ এর নীচে
ইউরোপ ডেস্কঃ বৃটিশ সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছেন বৃটেনে করোনা ভাইরাসের এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাবে তরুণদের মধ্যে সংক্রমণ তুলনামূলক বেশী পরিমাণে ছড়িয়ে পড়ছে। সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছেন এদের অনেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (ICU) চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। গতকাল রবিবার বৃটেনের জয়েন্ট কমিটি অন ভ্যাকসিনেশন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন এই তথ্য জানিয়েছেন।
ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টলের অধ্যাপক অ্যাডাক ফিন জানিয়েছেন, ব্রিস্টলে প্রায় ২০০ জন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের গড় বয়স ৪০ বৎসর। ইংল্যান্ডে করোনার যেসব বিধিনিষেধ ছিল তার পুরোটাই গত সোমবার প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। জনাকীর্ণ নৈশক্লাবের যেসব ছবি প্রকাশ হয়েছে, তাতে অধিকাংশকেই মাস্ক বা সামাজিক দূরত্ববিধি মানতে দেখা যায়নি। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এর ফলে টিকা না পাওয়া তরুণদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে।
অধ্যাপক অ্যাডাক ফিন বলেছেন, ‘ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ৩০ বছরের কম বয়সী মানুষ রয়েছেন, যাদের উচ্চমাত্রার অক্সিজেন থেরাপি প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, ‘অল্প বয়সীদের ক্ষেত্রে এটা সবসময় তুচ্ছ বিষয় নয়। এই মুহূর্তে অল্প বয়সীরা সত্যিই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই কারণে তরুণদের টিকা গ্রহণে উৎসাহ বাড়ানোর বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এদিকে অস্ট্রিয়ার রাস্ট্রীয় টেলিভিশন ORF এর সংবাদ বিষয়ক নেটওয়ার্ক ZIB জানিয়েছেন, অস্ট্রিয়ায় গত সপ্তাহে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা ৪৯,৭ শতাংশই তরুণ ছেলে। সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন রাত্রিকালীন হোটেল,রেস্টুরেন্ট এবং ডিসকো থেকেই এই সংক্রমণ বেশী ছড়াচ্ছে। তাই অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রাতের বিভিন্ন ইভেন্টে করোনার “থ্রী জি” কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে বৃটিশ ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী গতকাল ছুটির দিন রবিবারে বৃটেনে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন ২৯,১৭৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ২৮ জন। বৃটেনে এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬,৯৭,৯১২ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১,২৯,১৫৮ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন ৪৪,৫০,২০৪ জন। বৃটেনে বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৫০ জন। এর মধ্যে ক্রিটিক্যাল অবস্থার মধ্যে আইসিইউতে ৬৯৯ জন।
কবির আহমেদ/ ইবিটাইমস