ভিয়েনা ১২:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক ইহুদি ভোটাররা মামদানিকে ভোট দিয়েছেন অভিযুক্ত ১৫ শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতির বিষয়ে যা জানালো সেনা সদর হাঙ্গেরিতে পুতিন-ট্রাম্প বৈঠকের জন্য শর্ত এখনও পূরণ হয়নি – রাশিয়া টাঙ্গাইলে মুগ বলে মথবিজ ডাল বিক্রি, রঙ মিশ্রণ : দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা লালমোহনে ধানের শীষের প্রচারণায় শ্রমিকদল সভাপতি লোকমান হোসেন লঞ্চঘাটে অতিরিক্ত যাত্রী টোল আদায়, ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ধানের শীষকে জয়ীকে করার আহ্বান এ্যাড. জয়নুল আবেদীনের গুজব প্রতিরোধে ভোলায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ‎ টাঙ্গাইলে পৃথক ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার-বীজ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন

বাংলাদেশ করোনার পরবর্তী প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৮:২৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১
  • ১৩ সময় দেখুন

ঢাকা বিভাগের ৯ টি জেলাসহ দেশের ৩২ জেলায় বেড়েছে করোনার নতুন সংক্রমণ

বাংলাদেশ ডেস্কঃ বৈশ্বিক মহামারী করোনার ছোবলে স্থবির হয়ে যাওয়া বিশ্ব যখন ধীরে ধীরে স্বাভাবিকতায় ফিরে আসছে তখন বাংলাদেশ আবার নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি। বাংলাদেশে বর্তমানে করোনার নতুন সংক্রমণের শতকরা আশি ভাগই (৮০%) ভারতের নতুন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।

বৃটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক  (Matt Hancock) গত সপ্তাহে জানিয়েছেন ভারতের এই নতুন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সাধারণ করোনার ভাইরাসের চেয়ে চল্লিশ (৪০)গুণ বেশী দ্রুত ছড়ায়। ভারতের এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বৃটেনে ছড়িয়ে পড়ায় সে তার করোনার বিধিনিষেধের শিথিলতা থেকে ফিরে এসেছে।

বাংলাদেশের জাতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছেন দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নতুন করে করোনা সংক্রমণ। এমন অবস্থায় ঢাকার ৯টি জেলাসহ দেশের ৩২ জেলায় নতুন করে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। ঢাকা বিভাগ ছাড়াও এর মধ্যে চট্টগ্রামের ৫টি, খুলনার ৬টি, রাজশাহীর ৩টি, রংপুরের ৩টি, বরিশালের ৩টি, সিলেটের ২টি এবং ময়মনসিংহের একটি জেলা রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যেসব জেলায় সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ করা গেছে সেগুলো হলো- ঢাকা মহানগর ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় ছিল সংক্রমণের হার ছিল ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ফরিদপুর ২৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ২৮ দশমিক ২১ শতাংশ। গাজীপুর ১১ দশমিক ২১ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

গোপালগঞ্জ ১৮ দশমিক ৬০ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ১৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। কিশোরগঞ্জ ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। মাদারীপুর ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। মুন্সীগঞ্জ ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় ছিল সংক্রমণের হার ছিল ৮ শতাংশ। রাজবাড়ী ২০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ০ শতাংশ। শেরপুরে ১৭ দশমিক ২৪ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ১১ দশমিক ১১ শতাংশ।

রাঙ্গামাটি ১২ দশমিক ১২ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। খাগড়াছড়িতে ১০০ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। লক্ষ্মীপুর ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল শূন্য শতাংশ। কুমিল্লা ৭ দশমিক ১৯ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল শূন্য শতাংশ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। সিরাজগঞ্জ ১৪ দশমিক ০৪ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ১২ দশমিক ৬১ শতাংশ। বগুড়া ১৪ দশমিক ০৪ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ।

ঠাকুরগাঁও ২৫ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ। দিনাজপুর ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ২০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। গাইবান্ধা ২২ দশমিক ২২ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ১১ দশমিক ১১ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গা ৪৫ দশমিক ১৬ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ২৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। যশোর ৪৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ, ঝিনাইদহ ২৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ৩১ দশমিক ১৪ শতাংশ। খুলনা ৩১ দশমিক ৫২ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ২৬ দশমিক ০৭ শতাংশ। কুষ্টিয়া ২৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ২৪ দশমিক ১৪ শতাংশ।

সাতক্ষীরা ৫৫ দশমিক ০৮ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ৫৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। ভোলা ২৭ দশমিক ২৭ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। পিরোজপুর ৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ৫৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ঝালকাঠি ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ১৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ। সুনামগঞ্জ ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ২১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। হবিগঞ্জ ১১ দশমিক ১১ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

দেশে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সংক্রমণের হার বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ। আগের একদিনের তথ্য পর্যালোচনা করে এ পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশের গণ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ‘হটস্পট’ হয়ে উঠছে রাজশাহী বিভাগ। প্রতিদিন দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় ঢাকাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ৮ জুন সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪ হাজার ১৩৭টি। ৬৭৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা দেশের আট বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ।

গতকাল মঙ্গলবার খুলনায় প্রথম একদিনের সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনার স্বাস্থ্য প্রশাসন। দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। একদিনে খুলনা বিভাগে ৫৪৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এসময় করোনায় মারা গেছেন ৬ জন। গতকাল মঙ্গলবার ৮ জুন খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মার্চ মাসে খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল। খুলনা বিভাগে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৫৫ জন মানুষ। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ৬৮০ জন। সোমবার থেকে মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় এ বিভাগে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩৫ জন সুস্থ হয়েছেন। খুলনা বিভাগে করোনায় আক্রান্তের পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন ৩২ হাজার ২৬২ জন। সুস্থতার হার ৮৭ শতাংশ।

একদিনে খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা—এ তিন জেলার প্রতিটিতে শতাধিক ব্যক্তির শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫১ জন। এ ছাড়া বাগেরহাট জেলায় ৫৩ জন, যশোর জেলায় ১২৫ জন, সাতক্ষীরা জেলায় ১০৩ জন, নড়াইল জেলায় ছয়জন, মেহেরপুর জেলায় ১৪ জন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ২৮ জন, ঝিনাইদহ জেলায় ১৪ জন ও কুষ্টিয়া জেলায় ৫০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মাগুরা জেলায় কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মো. মনজুরুল মুরশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ মুহূর্তে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। পরিস্থিতি খারাপের দিকেই যাচ্ছে। এক সপ্তাহে বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় যে লকডাউন দেওয়া হয়েছে, এক সপ্তাহ পর তা পর্যালোচনা করে অন্য কোনো সিদ্ধান্ত বা পুরোপুরি লকডাউনে যাওয়া লাগতে পারে। আসলে স্বাস্থ্যবিধি কেউ মেনে চলছেন না। এ কারণে করোনার সংক্রমণ বেড়ে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।’

কবির আহমেদ /ইবি টাইমস

মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক ইহুদি ভোটাররা মামদানিকে ভোট দিয়েছেন

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

বাংলাদেশ করোনার পরবর্তী প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি

আপডেটের সময় ০৮:২৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১

ঢাকা বিভাগের ৯ টি জেলাসহ দেশের ৩২ জেলায় বেড়েছে করোনার নতুন সংক্রমণ

বাংলাদেশ ডেস্কঃ বৈশ্বিক মহামারী করোনার ছোবলে স্থবির হয়ে যাওয়া বিশ্ব যখন ধীরে ধীরে স্বাভাবিকতায় ফিরে আসছে তখন বাংলাদেশ আবার নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি। বাংলাদেশে বর্তমানে করোনার নতুন সংক্রমণের শতকরা আশি ভাগই (৮০%) ভারতের নতুন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।

বৃটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক  (Matt Hancock) গত সপ্তাহে জানিয়েছেন ভারতের এই নতুন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সাধারণ করোনার ভাইরাসের চেয়ে চল্লিশ (৪০)গুণ বেশী দ্রুত ছড়ায়। ভারতের এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বৃটেনে ছড়িয়ে পড়ায় সে তার করোনার বিধিনিষেধের শিথিলতা থেকে ফিরে এসেছে।

বাংলাদেশের জাতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছেন দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নতুন করে করোনা সংক্রমণ। এমন অবস্থায় ঢাকার ৯টি জেলাসহ দেশের ৩২ জেলায় নতুন করে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। ঢাকা বিভাগ ছাড়াও এর মধ্যে চট্টগ্রামের ৫টি, খুলনার ৬টি, রাজশাহীর ৩টি, রংপুরের ৩টি, বরিশালের ৩টি, সিলেটের ২টি এবং ময়মনসিংহের একটি জেলা রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যেসব জেলায় সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ করা গেছে সেগুলো হলো- ঢাকা মহানগর ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় ছিল সংক্রমণের হার ছিল ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ফরিদপুর ২৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ২৮ দশমিক ২১ শতাংশ। গাজীপুর ১১ দশমিক ২১ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

গোপালগঞ্জ ১৮ দশমিক ৬০ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ১৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। কিশোরগঞ্জ ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। মাদারীপুর ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। মুন্সীগঞ্জ ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় ছিল সংক্রমণের হার ছিল ৮ শতাংশ। রাজবাড়ী ২০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ০ শতাংশ। শেরপুরে ১৭ দশমিক ২৪ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ১১ দশমিক ১১ শতাংশ।

রাঙ্গামাটি ১২ দশমিক ১২ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। খাগড়াছড়িতে ১০০ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। লক্ষ্মীপুর ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল শূন্য শতাংশ। কুমিল্লা ৭ দশমিক ১৯ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল শূন্য শতাংশ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। সিরাজগঞ্জ ১৪ দশমিক ০৪ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ১২ দশমিক ৬১ শতাংশ। বগুড়া ১৪ দশমিক ০৪ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ।

ঠাকুরগাঁও ২৫ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ। দিনাজপুর ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ২০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। গাইবান্ধা ২২ দশমিক ২২ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ১১ দশমিক ১১ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গা ৪৫ দশমিক ১৬ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ২৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। যশোর ৪৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ, ঝিনাইদহ ২৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ৩১ দশমিক ১৪ শতাংশ। খুলনা ৩১ দশমিক ৫২ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ২৬ দশমিক ০৭ শতাংশ। কুষ্টিয়া ২৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ২৪ দশমিক ১৪ শতাংশ।

সাতক্ষীরা ৫৫ দশমিক ০৮ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ৫৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। ভোলা ২৭ দশমিক ২৭ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। পিরোজপুর ৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ৫৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ঝালকাঠি ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ১৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ। সুনামগঞ্জ ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ২১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। হবিগঞ্জ ১১ দশমিক ১১ শতাংশ, আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

দেশে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সংক্রমণের হার বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ। আগের একদিনের তথ্য পর্যালোচনা করে এ পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশের গণ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ‘হটস্পট’ হয়ে উঠছে রাজশাহী বিভাগ। প্রতিদিন দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় ঢাকাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ৮ জুন সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪ হাজার ১৩৭টি। ৬৭৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা দেশের আট বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ।

গতকাল মঙ্গলবার খুলনায় প্রথম একদিনের সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনার স্বাস্থ্য প্রশাসন। দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। একদিনে খুলনা বিভাগে ৫৪৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এসময় করোনায় মারা গেছেন ৬ জন। গতকাল মঙ্গলবার ৮ জুন খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মার্চ মাসে খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল। খুলনা বিভাগে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৫৫ জন মানুষ। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ৬৮০ জন। সোমবার থেকে মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় এ বিভাগে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩৫ জন সুস্থ হয়েছেন। খুলনা বিভাগে করোনায় আক্রান্তের পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন ৩২ হাজার ২৬২ জন। সুস্থতার হার ৮৭ শতাংশ।

একদিনে খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা—এ তিন জেলার প্রতিটিতে শতাধিক ব্যক্তির শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫১ জন। এ ছাড়া বাগেরহাট জেলায় ৫৩ জন, যশোর জেলায় ১২৫ জন, সাতক্ষীরা জেলায় ১০৩ জন, নড়াইল জেলায় ছয়জন, মেহেরপুর জেলায় ১৪ জন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ২৮ জন, ঝিনাইদহ জেলায় ১৪ জন ও কুষ্টিয়া জেলায় ৫০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মাগুরা জেলায় কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মো. মনজুরুল মুরশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ মুহূর্তে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। পরিস্থিতি খারাপের দিকেই যাচ্ছে। এক সপ্তাহে বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় যে লকডাউন দেওয়া হয়েছে, এক সপ্তাহ পর তা পর্যালোচনা করে অন্য কোনো সিদ্ধান্ত বা পুরোপুরি লকডাউনে যাওয়া লাগতে পারে। আসলে স্বাস্থ্যবিধি কেউ মেনে চলছেন না। এ কারণে করোনার সংক্রমণ বেড়ে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।’

কবির আহমেদ /ইবি টাইমস