ভিয়েনা ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা রাজ্যে নাৎসী গ্যাস জাইক্লন বি দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরিকল্পনা

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৫:২১:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১
  • ৯ সময় দেখুন

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য অ্যারিজোনা রাজ্য গ্যাস চেম্বার ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা রাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছেন যে,রিপাবলিকান শাসিত এই রাজ্যে মৃত্যুদণ্ড সাজা প্রাপ্তদের হত্যার জন্য সেই একই গ্যাস ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের নাৎসী বাহিনী পোল্যান্ডের অধিকৃত Auschwitz ব্যবহার করেছিল। শুধুমাত্র এই বন্দী শিবিরেই নাৎসী বাহিনী প্রায় ১১ লক্ষ ইহুদী ধর্মাম্ভলীদের বিষাক্ত এই গ্যাসের মাধ্যমে হত্যা করেছিল। এই বন্দী শিবিরে সে সময়ে অনেক অস্ট্রিয়ান ইহুদী ধর্মাম্ভলীদেরও হত্যা করা হয়েছিল।

ইতিহাস থেকে জানা যায় যে,দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-১০৪৫) নাৎসী বাহিনীর হাতে ইউরোপে প্রায় ৬০ লক্ষাধিক ইহুদী ধর্মাম্ভলী নিহত হন।

অস্ট্রিয়ার জনপ্রিয় পত্রিকা Kronen Zeitung জানিয়েছেন যে,জাইক্লন বি হ’ল সেই জাতীয় গ্যাস যা দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসী বাহিনী লক্ষ লক্ষ ইহুদী ধর্মাম্ভলীদের হত্যা করেছে। পত্রিকাটি বলেন,যে অত্যন্ত দুঃখজনক সেই গ্যাস দিয়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা রাজ্য প্রশাসন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পরিকল্পনা করছে।

পত্রিকাটি জানায়,এই জাইক্লন বি গ্যাস দিয়ে ২২ বছর পূর্বে এই রাজ্যেই শেষবারের মত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত লোকটির মৃত্যুযন্ত্রণা দীর্ঘ ১৮ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল এবং মৃত্যুবরণের পূর্বে তিনি প্রচণ্ড কাশিজনিত জটিলতায় ভুগেছিলেন। এখন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা তার সেই পুরানো গ্যাস চেম্বারটি পুনরায় ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করছে যাতে এটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য আবার ব্যবহার করতে পারে।

বৃটিশ দৈনিক দি গার্ডিয়ান জানিয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের এই রাজ্যটি এই গ্যাস চেম্বারটি পুনরায় সংস্কার করতে মাত্র $ ২,০০০ হাজার ডলার ব্যয় করেছে।এই রকম গ্যাস চেম্বার ও এই জাইক্লন বি গ্যাসের মাধ্যমেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির নাৎসী বাহিনী লক্ষ লক্ষ ইহুদী ধর্মাম্ভলী, রাজনৈতিক বিরোধী,সমকামী এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের হত্যা করার জন্য ব্যবহার করেছিল। সেই সময়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারতে গুলি বাঁচাতে এই নিষ্ঠুর পদ্ধতির ব্যবহার করেছিল।

এই রাজ্যে পূর্বেও বিষাক্ত ইনজেকশনের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ইনজেকশনও মৃত্যুদণ্ড নিষ্ঠুর হওয়ায় এটি স্থগিত করা হয়েছে। রিপাবলিকান শাসিত যুক্তরাষ্ট্রের এই রাজ্য প্রশাসন সাত বছর মৃত্যুদণ্ড বন্ধ থাকার পর পুনরায় মৃত্যুদণ্ডের আইন কার্যকর করতে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে বিষাক্ত ইনজেকশনের মাধ্যমে সর্বশেষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য এই রাজ্যটি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল।ইনজেকশনের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামীর শরীরে ইনজেকশন পুশ করার পর সে প্রায় ২ ঘন্টা যাবৎ মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করে মারা যায়।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামী জোসেফ উড ১৯৮৯ সালে তার প্রাক্তন বান্ধবী এবং তার বাবাকে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত হয়েছিলেন। তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য যে বিষাক্ত ইনজেকশনের ১৫ ডোজ ব্যবহার করা হয়েছিল,সেটি প্রথমবারের কোন মানুষের শরীরে প্রবেশ পুশ করার হয়েছিল। ফলে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন সে সময় জোসেফ উডকে গিনিপিগ হিসাবে পরীক্ষার জন্য প্রশাসনের তীব্র সমালোচনায় ফেটে পড়েছিল।

আদিম উপায়ে গ্যাস চেম্বারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার এই পদ্ধতির তীব্র সমালোচনা করার পরেও এই গ্যাস চেম্বারটি এখন আবার ব্যবহার করার উপযোগী করা হয়েছে। গত গ্রীষ্মেও এই গ্যাস চেম্বারের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়েছিল। চেম্বারটির জানালা এবং দরজার সিলগুলি এখনও অক্ষত আছে এবং ড্রেনগুলি বাধাগুলি থেকে পরিষ্কার করা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়েছিল। মারাত্মক রাসায়নিকের পরিবর্তে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার জন্য একটি ধোঁয়া গ্রেনেড বিস্ফোরণ করা হয়েছিল।  ব্রিটিশ সংবাদপত্রের মতে, কার্যকরী পরীক্ষার জন্য পদ্ধতিগুলি খুব আদিম ছিল বলে জানা যায়।  গ্যাস লিক হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য একটি মোমবাতি ব্যবহার করা হয়েছিল।  শিখাটি জানালাগুলি এবং দরজার পাশেই রাখা হয়েছিল।

বৃটিশ পত্রিকাটি আরও জানায় যে,বৃটিশ ডেথ পেনাল্টি ইনফরমেশন সেন্টারের প্রধান রবার্ট ডানহ্যাম এই প্রক্রিয়া দেখে হতবাক ও বিস্মিত হয়েছেন। তিনি তীব্র সমালোচনা করে বলেন,২০২১ সালে একটি মানুষকে ঘরের ভিতর আটকিয়ে বিষাক্ত গ্যাস ছেড়ে দিয়ে হত্যা করা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তিনি অ্যারিজোনা রাজ্য প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন,এদের মধ্যে কি কারও সেই বিভিষিকাময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হলোকাস্টের ইতিহাস জানা নেই।

অ্যারিজোনা রাজ্য প্রশাসনের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছেন যে,অদূর ভবিষ্যতে দু’জন মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামীকে এই গ্যাস চেম্বারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।অ্যারিজোনায় গ্যাস চেম্বারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা শেষ ব্যক্তি হলেন ওয়াল্টার লাগ্রান্ড, যিনি ১৯৯৯ সালে সশস্ত্র ডাকাতির জন্য মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। তাকে গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে এই বিষাক্ত গ্যাস ছাড়ার পর ১৮ মিনিট পর্যন্ত কাশতে কাশতে মৃত্যুবরণ করেছিলেন।

কবির আহমেদ/ ইবি টাইমস

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা রাজ্যে নাৎসী গ্যাস জাইক্লন বি দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরিকল্পনা

আপডেটের সময় ০৫:২১:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য অ্যারিজোনা রাজ্য গ্যাস চেম্বার ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা রাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছেন যে,রিপাবলিকান শাসিত এই রাজ্যে মৃত্যুদণ্ড সাজা প্রাপ্তদের হত্যার জন্য সেই একই গ্যাস ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের নাৎসী বাহিনী পোল্যান্ডের অধিকৃত Auschwitz ব্যবহার করেছিল। শুধুমাত্র এই বন্দী শিবিরেই নাৎসী বাহিনী প্রায় ১১ লক্ষ ইহুদী ধর্মাম্ভলীদের বিষাক্ত এই গ্যাসের মাধ্যমে হত্যা করেছিল। এই বন্দী শিবিরে সে সময়ে অনেক অস্ট্রিয়ান ইহুদী ধর্মাম্ভলীদেরও হত্যা করা হয়েছিল।

ইতিহাস থেকে জানা যায় যে,দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-১০৪৫) নাৎসী বাহিনীর হাতে ইউরোপে প্রায় ৬০ লক্ষাধিক ইহুদী ধর্মাম্ভলী নিহত হন।

অস্ট্রিয়ার জনপ্রিয় পত্রিকা Kronen Zeitung জানিয়েছেন যে,জাইক্লন বি হ’ল সেই জাতীয় গ্যাস যা দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসী বাহিনী লক্ষ লক্ষ ইহুদী ধর্মাম্ভলীদের হত্যা করেছে। পত্রিকাটি বলেন,যে অত্যন্ত দুঃখজনক সেই গ্যাস দিয়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা রাজ্য প্রশাসন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পরিকল্পনা করছে।

পত্রিকাটি জানায়,এই জাইক্লন বি গ্যাস দিয়ে ২২ বছর পূর্বে এই রাজ্যেই শেষবারের মত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত লোকটির মৃত্যুযন্ত্রণা দীর্ঘ ১৮ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল এবং মৃত্যুবরণের পূর্বে তিনি প্রচণ্ড কাশিজনিত জটিলতায় ভুগেছিলেন। এখন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা তার সেই পুরানো গ্যাস চেম্বারটি পুনরায় ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করছে যাতে এটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য আবার ব্যবহার করতে পারে।

বৃটিশ দৈনিক দি গার্ডিয়ান জানিয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের এই রাজ্যটি এই গ্যাস চেম্বারটি পুনরায় সংস্কার করতে মাত্র $ ২,০০০ হাজার ডলার ব্যয় করেছে।এই রকম গ্যাস চেম্বার ও এই জাইক্লন বি গ্যাসের মাধ্যমেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির নাৎসী বাহিনী লক্ষ লক্ষ ইহুদী ধর্মাম্ভলী, রাজনৈতিক বিরোধী,সমকামী এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের হত্যা করার জন্য ব্যবহার করেছিল। সেই সময়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারতে গুলি বাঁচাতে এই নিষ্ঠুর পদ্ধতির ব্যবহার করেছিল।

এই রাজ্যে পূর্বেও বিষাক্ত ইনজেকশনের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ইনজেকশনও মৃত্যুদণ্ড নিষ্ঠুর হওয়ায় এটি স্থগিত করা হয়েছে। রিপাবলিকান শাসিত যুক্তরাষ্ট্রের এই রাজ্য প্রশাসন সাত বছর মৃত্যুদণ্ড বন্ধ থাকার পর পুনরায় মৃত্যুদণ্ডের আইন কার্যকর করতে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে বিষাক্ত ইনজেকশনের মাধ্যমে সর্বশেষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য এই রাজ্যটি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল।ইনজেকশনের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামীর শরীরে ইনজেকশন পুশ করার পর সে প্রায় ২ ঘন্টা যাবৎ মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করে মারা যায়।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামী জোসেফ উড ১৯৮৯ সালে তার প্রাক্তন বান্ধবী এবং তার বাবাকে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত হয়েছিলেন। তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য যে বিষাক্ত ইনজেকশনের ১৫ ডোজ ব্যবহার করা হয়েছিল,সেটি প্রথমবারের কোন মানুষের শরীরে প্রবেশ পুশ করার হয়েছিল। ফলে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন সে সময় জোসেফ উডকে গিনিপিগ হিসাবে পরীক্ষার জন্য প্রশাসনের তীব্র সমালোচনায় ফেটে পড়েছিল।

আদিম উপায়ে গ্যাস চেম্বারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার এই পদ্ধতির তীব্র সমালোচনা করার পরেও এই গ্যাস চেম্বারটি এখন আবার ব্যবহার করার উপযোগী করা হয়েছে। গত গ্রীষ্মেও এই গ্যাস চেম্বারের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়েছিল। চেম্বারটির জানালা এবং দরজার সিলগুলি এখনও অক্ষত আছে এবং ড্রেনগুলি বাধাগুলি থেকে পরিষ্কার করা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়েছিল। মারাত্মক রাসায়নিকের পরিবর্তে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার জন্য একটি ধোঁয়া গ্রেনেড বিস্ফোরণ করা হয়েছিল।  ব্রিটিশ সংবাদপত্রের মতে, কার্যকরী পরীক্ষার জন্য পদ্ধতিগুলি খুব আদিম ছিল বলে জানা যায়।  গ্যাস লিক হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য একটি মোমবাতি ব্যবহার করা হয়েছিল।  শিখাটি জানালাগুলি এবং দরজার পাশেই রাখা হয়েছিল।

বৃটিশ পত্রিকাটি আরও জানায় যে,বৃটিশ ডেথ পেনাল্টি ইনফরমেশন সেন্টারের প্রধান রবার্ট ডানহ্যাম এই প্রক্রিয়া দেখে হতবাক ও বিস্মিত হয়েছেন। তিনি তীব্র সমালোচনা করে বলেন,২০২১ সালে একটি মানুষকে ঘরের ভিতর আটকিয়ে বিষাক্ত গ্যাস ছেড়ে দিয়ে হত্যা করা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তিনি অ্যারিজোনা রাজ্য প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন,এদের মধ্যে কি কারও সেই বিভিষিকাময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হলোকাস্টের ইতিহাস জানা নেই।

অ্যারিজোনা রাজ্য প্রশাসনের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছেন যে,অদূর ভবিষ্যতে দু’জন মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামীকে এই গ্যাস চেম্বারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।অ্যারিজোনায় গ্যাস চেম্বারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা শেষ ব্যক্তি হলেন ওয়াল্টার লাগ্রান্ড, যিনি ১৯৯৯ সালে সশস্ত্র ডাকাতির জন্য মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। তাকে গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে এই বিষাক্ত গ্যাস ছাড়ার পর ১৮ মিনিট পর্যন্ত কাশতে কাশতে মৃত্যুবরণ করেছিলেন।

কবির আহমেদ/ ইবি টাইমস