ভিয়েনা ০৫:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাজিরপুরে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে মাদরাসা ছাত্রীর অবস্থান; মারধর

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০১:৩৫:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১
  • ৯ সময় দেখুন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট; পিরোজপুর: পিরোজপুরের নাজিরপুরে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে দশম শ্রেণীর এক মাদরাসা ছাত্রী অবস্থান করছে। এ সময় তাকে একাধীকবার মারধর করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে  উপজেলার শাখাঁরীকাঠী ইউনিয়নের ভাইজোড়া গ্রামে। গত ৯ দিন ধরে ওই প্রেমিকের বাড়িতেই ওই মাদরাসা ছাত্রী অবস্থান করছেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই মাদরাসা ছাত্রীর বাড়ি একই  ইইনয়নের বুড়িখালী গ্রামে। সে ঢাকার একটি মাদরাসায় দশম শ্রেণীতে পড়ে।

সরেজমিনে  গিয়ে স্থানীয়দের  ও ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর দেয়া তথ্য মতে জানা গেছে,ধর্ষকের  বাড়ির পাশেই ওই মাদরাসা ছাত্রীর মামা বাড়ি। তাই ওই ছাত্রী তার মামা বাড়িতে  বেড়াতে গেলে বিভিন্ন সময় ওই যুবক  তাকে বিয়ে সহ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে।  পরে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে
প্রেমের সম্পর্ক হয়। গত ১ বছর ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক চলে। এ সময় ওই যুবকও চাকুরীর কারনে ঢাকায় থাকতো।

গত ২০ মার্চ দুপুরে ওই যুবক ঢাকায় বসে ওই মাদরাসা ছাত্রীকে জরুরী কথা আসে বলে ফোন করে ডেকে নেয়। পরে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে সন্ধ্যা করে। পরে ঢাকার কল্যানপুরের একটি হোটেলে নিয়ে সেখানে ২ দিন আটকে রেখে জোর করে ধর্ষন করে। তখন ওই মাদরাসা ছাত্রী থানায় মামলা করতে চাইলে যুবক তাকে বিয়ের প্রলভোন দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা রাখে।

গত ১৮ এপ্রিল ওই মাদরাসা ছাত্রী বিয়ের দাবীতে ওই যুবকের বাড়িতে অবস্থান নিলে যুবকের বাবা নেপ্তার শেখ , মা হামিদা বেগম, ভাই ইসমাইল শেখ ও ইস্রাফিল শেখ তাকে একাধীকবার বেধম মারপিট করে ঘরে থেকে বের করে দেয়। ওই মাদরাসা ছাত্রীটি এখন ওই বাড়ির পাশের একটি ঘরে অবস্থান করছে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত বরকতের বাড়িতে গেলে তিনি এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন বলে পরিবার জানান। তাই তার কোন সাক্ষাৎ নেয় যায় নি। তবে পরিবারের সদস্যরা ওই মাদরাসা ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এ বিষয় জানাতে নাজিরপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. আশ্রাফুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি এ বিয়য়ে কোন অভিযোগ পান নি বলে
জানান। অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নিবেন।

এইচ এম লাহেল মাহমুদ /ইবি টাইমস

Tag :
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

নাজিরপুরে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে মাদরাসা ছাত্রীর অবস্থান; মারধর

আপডেটের সময় ০১:৩৫:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট; পিরোজপুর: পিরোজপুরের নাজিরপুরে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে দশম শ্রেণীর এক মাদরাসা ছাত্রী অবস্থান করছে। এ সময় তাকে একাধীকবার মারধর করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে  উপজেলার শাখাঁরীকাঠী ইউনিয়নের ভাইজোড়া গ্রামে। গত ৯ দিন ধরে ওই প্রেমিকের বাড়িতেই ওই মাদরাসা ছাত্রী অবস্থান করছেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই মাদরাসা ছাত্রীর বাড়ি একই  ইইনয়নের বুড়িখালী গ্রামে। সে ঢাকার একটি মাদরাসায় দশম শ্রেণীতে পড়ে।

সরেজমিনে  গিয়ে স্থানীয়দের  ও ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর দেয়া তথ্য মতে জানা গেছে,ধর্ষকের  বাড়ির পাশেই ওই মাদরাসা ছাত্রীর মামা বাড়ি। তাই ওই ছাত্রী তার মামা বাড়িতে  বেড়াতে গেলে বিভিন্ন সময় ওই যুবক  তাকে বিয়ে সহ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে।  পরে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে
প্রেমের সম্পর্ক হয়। গত ১ বছর ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক চলে। এ সময় ওই যুবকও চাকুরীর কারনে ঢাকায় থাকতো।

গত ২০ মার্চ দুপুরে ওই যুবক ঢাকায় বসে ওই মাদরাসা ছাত্রীকে জরুরী কথা আসে বলে ফোন করে ডেকে নেয়। পরে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে সন্ধ্যা করে। পরে ঢাকার কল্যানপুরের একটি হোটেলে নিয়ে সেখানে ২ দিন আটকে রেখে জোর করে ধর্ষন করে। তখন ওই মাদরাসা ছাত্রী থানায় মামলা করতে চাইলে যুবক তাকে বিয়ের প্রলভোন দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা রাখে।

গত ১৮ এপ্রিল ওই মাদরাসা ছাত্রী বিয়ের দাবীতে ওই যুবকের বাড়িতে অবস্থান নিলে যুবকের বাবা নেপ্তার শেখ , মা হামিদা বেগম, ভাই ইসমাইল শেখ ও ইস্রাফিল শেখ তাকে একাধীকবার বেধম মারপিট করে ঘরে থেকে বের করে দেয়। ওই মাদরাসা ছাত্রীটি এখন ওই বাড়ির পাশের একটি ঘরে অবস্থান করছে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত বরকতের বাড়িতে গেলে তিনি এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন বলে পরিবার জানান। তাই তার কোন সাক্ষাৎ নেয় যায় নি। তবে পরিবারের সদস্যরা ওই মাদরাসা ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এ বিষয় জানাতে নাজিরপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. আশ্রাফুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি এ বিয়য়ে কোন অভিযোগ পান নি বলে
জানান। অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নিবেন।

এইচ এম লাহেল মাহমুদ /ইবি টাইমস