ভিয়েনা ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে সুতাং ব্রীজের রড নিলামে না তুলে বিক্রি করে দিয়েছেন ঠিকাদার

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৮:৪৮:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১
  • ২৯ সময় দেখুন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের সুতাং বাজারের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সুতাং ব্রিজটি বিগত প্রায় দশ বছর ধরেই ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছিল।  ইতোমধ্যে গত বছর সুতাং নদীর ব্রীজের পৌনে পাচ কোটি টাকার টেন্ডারে নির্মাণ কাজ শুরু হলে করোনার প্রভাবে থমকে থাকে কাজ। এরই মধ্যে এই বছরের শুরু থেকে ব্রীজ ভাংগার কাজ শুরু হয়। প্রথমে ধীরগতিতে ব্রীজ ভাংগানো হলে একাধিক সংবাদ প্রকাশের পর নির্মাণ কাজে গতি ফেরেছে৷ প্রথমে ঠিকাদার শ্রমিক দিয়ে হাতুড়ির সাহায্যে ব্রীজ ভাংগার কাজ শুরু করেন। মাস দেড়েক এভাবে কাজ করার পর ঢাকা থেকে বুল ডোজার এনে ব্রীজ পুরোপুরি ভাংগার কাজ শেষ করেছেন।  এলাকার সাধারণ মানুষ চলাচলের জন্য ডায়াগেশন করা হয়েছে। মোটামুটি ভাল গতিতে কাজ চলতে না চলতেই এবার ঠিকাদারের বিরুদ্ধে পুরাতন ব্রীজের  রড বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর প্রায় ৭ টন রড বিক্রির পায়তারা করার সময় আটক করেছে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ।

এদিকে বিষয় নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। ব্রীজ নির্মাণকারী ঠিকাদার জানান, তিনি ঢাকা থেকে একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করে বুল ডোজার এনেছেন, যে যারা ব্রীজ ভেংগে দিবে তারাই অবশিষ্ট ইট, পাথর ও রড নিয়ে  যাবে। এছাড়াও তাদের সাথে অবিশিষ্ট  চুক্তির টাকা তো আছেই। কিন্তু হবিগঞ্জ এলজিইডি  অফিস থেকে পুরাতন  রডের দুই লক্ষ বিরানব্বই হাজার টাকার একটি  ইস্টিমেট দেয়া হয়েছিল, কিন্তু ঠিকাদার গোলাম ফারুক উচ্ছিষ্ট মালামাল নিলামে না তুলে লুকিয়ে বিক্রি করে ফেলছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

এভাবে সরকারি মালামাল কিভাবে ঠিকাদার বিক্রি করে দিয়েছেন, এই বিষয়টি নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা।

এ বিষয়ে প্রকল্পের (এসও) উপ সহকারি প্রকৌশলী মো. মাজেদুল ইসলাম জানান, ঠিকাদার কিভাবে ব্রীজের মালামাল নিলামে না তুলে নিজেই বিক্রি করেছেন, সেটা আমার বোধগম্য নয়। আমরা ব্রীজের রডের একটি ইস্টিমেট ঠিকাদারকে বুঝিয়ে দিয়েছি। এ ব্যাপারে অনিয়ম হলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন সমবায় অধিদপ্তর (এলজিইডি)শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার প্রকৌশলী  মো. ফারুকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে উনার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বলেন স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুতাং পুরাতন ব্রীজের  রড় বোঝাই ট্রাক আটক করে থানায় নিয়ে আসি। প্রকল্পের ঠিকাদার ও প্রকৌশলী কে বলা হইছে কাগজপত্র নিয়ে আসতে। তারা বলছে  কাগজপত্র নিয়ে আসবেন ।

মোতাব্বির হোসেন কাজল /ইবি টাইমস

Tag :
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে সুতাং ব্রীজের রড নিলামে না তুলে বিক্রি করে দিয়েছেন ঠিকাদার

আপডেটের সময় ০৮:৪৮:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের সুতাং বাজারের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সুতাং ব্রিজটি বিগত প্রায় দশ বছর ধরেই ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছিল।  ইতোমধ্যে গত বছর সুতাং নদীর ব্রীজের পৌনে পাচ কোটি টাকার টেন্ডারে নির্মাণ কাজ শুরু হলে করোনার প্রভাবে থমকে থাকে কাজ। এরই মধ্যে এই বছরের শুরু থেকে ব্রীজ ভাংগার কাজ শুরু হয়। প্রথমে ধীরগতিতে ব্রীজ ভাংগানো হলে একাধিক সংবাদ প্রকাশের পর নির্মাণ কাজে গতি ফেরেছে৷ প্রথমে ঠিকাদার শ্রমিক দিয়ে হাতুড়ির সাহায্যে ব্রীজ ভাংগার কাজ শুরু করেন। মাস দেড়েক এভাবে কাজ করার পর ঢাকা থেকে বুল ডোজার এনে ব্রীজ পুরোপুরি ভাংগার কাজ শেষ করেছেন।  এলাকার সাধারণ মানুষ চলাচলের জন্য ডায়াগেশন করা হয়েছে। মোটামুটি ভাল গতিতে কাজ চলতে না চলতেই এবার ঠিকাদারের বিরুদ্ধে পুরাতন ব্রীজের  রড বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর প্রায় ৭ টন রড বিক্রির পায়তারা করার সময় আটক করেছে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ।

এদিকে বিষয় নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। ব্রীজ নির্মাণকারী ঠিকাদার জানান, তিনি ঢাকা থেকে একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করে বুল ডোজার এনেছেন, যে যারা ব্রীজ ভেংগে দিবে তারাই অবশিষ্ট ইট, পাথর ও রড নিয়ে  যাবে। এছাড়াও তাদের সাথে অবিশিষ্ট  চুক্তির টাকা তো আছেই। কিন্তু হবিগঞ্জ এলজিইডি  অফিস থেকে পুরাতন  রডের দুই লক্ষ বিরানব্বই হাজার টাকার একটি  ইস্টিমেট দেয়া হয়েছিল, কিন্তু ঠিকাদার গোলাম ফারুক উচ্ছিষ্ট মালামাল নিলামে না তুলে লুকিয়ে বিক্রি করে ফেলছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

এভাবে সরকারি মালামাল কিভাবে ঠিকাদার বিক্রি করে দিয়েছেন, এই বিষয়টি নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা।

এ বিষয়ে প্রকল্পের (এসও) উপ সহকারি প্রকৌশলী মো. মাজেদুল ইসলাম জানান, ঠিকাদার কিভাবে ব্রীজের মালামাল নিলামে না তুলে নিজেই বিক্রি করেছেন, সেটা আমার বোধগম্য নয়। আমরা ব্রীজের রডের একটি ইস্টিমেট ঠিকাদারকে বুঝিয়ে দিয়েছি। এ ব্যাপারে অনিয়ম হলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন সমবায় অধিদপ্তর (এলজিইডি)শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার প্রকৌশলী  মো. ফারুকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে উনার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বলেন স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুতাং পুরাতন ব্রীজের  রড় বোঝাই ট্রাক আটক করে থানায় নিয়ে আসি। প্রকল্পের ঠিকাদার ও প্রকৌশলী কে বলা হইছে কাগজপত্র নিয়ে আসতে। তারা বলছে  কাগজপত্র নিয়ে আসবেন ।

মোতাব্বির হোসেন কাজল /ইবি টাইমস