ভিয়েনা ০৯:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগামীকাল রবিবার ২৯ শে শাবান সৌদি সুপ্রিম কোর্টের দেশে রমজানের চাদঁ দেখার নির্দেশ

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৪:১৯:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১
  • ৭ সময় দেখুন

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ আজ শনিবার সৌদি আরবের জাতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছেন যে,সৌদি সুপ্রিম কোর্ট আজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন আগামীকাল রবিবার ১১ ই এপ্রিল,২৯ শে শাবান সমগ্র দেশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা হবে। যদি আগামীকাল ২৯ শে শাবান দেশের কোথাও চাঁদ দেখা যায়,তাহলে আগামী সোমবার থেকেই সৌদি আরবে পবিত্র রমজান শুরু হবে। আর যদি আগামীকাল চাঁদ দেখা না যায়,তাহলে শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামী মঙ্গলবার থেকে পবিত্র রমজান মাস ও রোজা শুরু হবে।

সৌদি সুপ্রিম কোর্টের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে,যারা খালি চোখে বা বাইনোকুলারের মাধ্যমে চাঁদ দেখবেন তারা যেন নিকটতম আদালতকে অবহিত করেন। আর কেহ যদি খালি চোখে বা বাইনোকুলারের মাধ্যমে চাঁদ দেখার মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফোন করেন তাহলে মোটা অঙ্কের অর্থদন্ডের সম্মুখীন হবেন। আর কারও তথ্য যদি সত্য হয় তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে তাকে অর্থ পুরষ্কারের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে।

উল্লেখ্য যে, ইসলামি বর্ষপঞ্জি বা ক্যালেন্ডার চাদঁ  নির্ভর বর্ষপঞ্জি। বিভিন্ন মুসলিম দেশ এই বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করে, আর পৃথিবী ব্যাপী মুসলমানগণ অনুসরণ করেন ইসলামের পবিত্র দিনসমূহ উদযাপনের জন্য। ইসলাম ধর্ম অনুসারে শেষ নবী ও রাসূল মুহাম্মদ সাঃ মক্কার ক্বুরায়েশদের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মক্কা থেকে মদিনা চলে যান। তার এই জন্মভূমি ত্যাগ করার ঘটনাকে ইসলামে ‘হিজরত’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। রাসূল মুহাম্মদ সাঃ মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের ঘটনাকে চিরস্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যেই হিজরি সাল গণনার সূচনা। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর রাঃ এর শাসনামলে ১৭ই হিজরি অর্থাৎ রাসূল মুহাম্মদ সাঃ এর মৃত্যুবরণের ৭ বৎসর পর চন্দ্র মাসের হিসাবে এই পঞ্জিকা প্রবর্তন করা হয়। হিজরতের এই ঐতিহাসিক তাৎপর্যের ফলেই ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর রাঃ এর শাসনামলে যখন মুসলমানদের জন্য পৃথক ও স্বতন্ত্র পঞ্জিকা প্রণয়নের কথা উঠে আসে তখন তারা সর্বসম্মতভবে হিজরত থেকেই এই পঞ্জিকার গণনা শুরু করেন। যার ফলে চন্দ্রমাসের এই পঞ্জিকাকে বলা হয় ‘হিজরি সন’।

চাঁদের গতি-প্রকৃতি হিসাবে যে সন গণনা করা হয়, সেটিকে বলা হয় চান্দ্রসন, আর সূর্যের গতি-প্রকৃতি হিসাবে যে সন গণনা করা হয়, তাকে বলা হয় সৌরসন। এটি নির্ভর করে সূর্য ও চন্দ্রের নিজস্ব কক্ষপথ পরিভ্রমণের ওপর। চাঁদ যেহেতু প্রতি মাসে তার নিজস্ব পরিক্রমণ সমাপ্ত করে ফেলে, তাই চন্দ্রকলার হ্রাস ও বৃদ্ধি সম্পাদনে সময় লাগে প্রায় ২৯ দিন ১২ ঘণ্টা। ফলে এক চান্দ্রবছর হতে সময় লাগে ৩৫৪ দিন আট ঘণ্টা ৪৮ মিনিট। আর সূর্য তার কক্ষপথে একবার পরিভ্রমণ করতে বছরে সময় লাগে প্রায় ৩৬৫ দিন পাঁচ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড। এটাই সৌরবছরের দৈর্ঘ্য। বর্তমান দুনিয়ায় প্রচলিত ইংরেজি সাল হচ্ছে সৌরসন এবং রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হিজরতের স্মৃতিবিজড়িত হিজরি সন হচ্ছে চান্দ্রসন। ইসলামের বর্ষপঞ্জী অনুসারে এখন চলছে ১৪৪২ হিজরী।

কবির আহমেদ/ ইবি টাইমস

Tag :
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

আগামীকাল রবিবার ২৯ শে শাবান সৌদি সুপ্রিম কোর্টের দেশে রমজানের চাদঁ দেখার নির্দেশ

আপডেটের সময় ০৪:১৯:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ আজ শনিবার সৌদি আরবের জাতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছেন যে,সৌদি সুপ্রিম কোর্ট আজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন আগামীকাল রবিবার ১১ ই এপ্রিল,২৯ শে শাবান সমগ্র দেশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা হবে। যদি আগামীকাল ২৯ শে শাবান দেশের কোথাও চাঁদ দেখা যায়,তাহলে আগামী সোমবার থেকেই সৌদি আরবে পবিত্র রমজান শুরু হবে। আর যদি আগামীকাল চাঁদ দেখা না যায়,তাহলে শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামী মঙ্গলবার থেকে পবিত্র রমজান মাস ও রোজা শুরু হবে।

সৌদি সুপ্রিম কোর্টের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে,যারা খালি চোখে বা বাইনোকুলারের মাধ্যমে চাঁদ দেখবেন তারা যেন নিকটতম আদালতকে অবহিত করেন। আর কেহ যদি খালি চোখে বা বাইনোকুলারের মাধ্যমে চাঁদ দেখার মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফোন করেন তাহলে মোটা অঙ্কের অর্থদন্ডের সম্মুখীন হবেন। আর কারও তথ্য যদি সত্য হয় তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে তাকে অর্থ পুরষ্কারের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে।

উল্লেখ্য যে, ইসলামি বর্ষপঞ্জি বা ক্যালেন্ডার চাদঁ  নির্ভর বর্ষপঞ্জি। বিভিন্ন মুসলিম দেশ এই বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করে, আর পৃথিবী ব্যাপী মুসলমানগণ অনুসরণ করেন ইসলামের পবিত্র দিনসমূহ উদযাপনের জন্য। ইসলাম ধর্ম অনুসারে শেষ নবী ও রাসূল মুহাম্মদ সাঃ মক্কার ক্বুরায়েশদের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মক্কা থেকে মদিনা চলে যান। তার এই জন্মভূমি ত্যাগ করার ঘটনাকে ইসলামে ‘হিজরত’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। রাসূল মুহাম্মদ সাঃ মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের ঘটনাকে চিরস্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যেই হিজরি সাল গণনার সূচনা। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর রাঃ এর শাসনামলে ১৭ই হিজরি অর্থাৎ রাসূল মুহাম্মদ সাঃ এর মৃত্যুবরণের ৭ বৎসর পর চন্দ্র মাসের হিসাবে এই পঞ্জিকা প্রবর্তন করা হয়। হিজরতের এই ঐতিহাসিক তাৎপর্যের ফলেই ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর রাঃ এর শাসনামলে যখন মুসলমানদের জন্য পৃথক ও স্বতন্ত্র পঞ্জিকা প্রণয়নের কথা উঠে আসে তখন তারা সর্বসম্মতভবে হিজরত থেকেই এই পঞ্জিকার গণনা শুরু করেন। যার ফলে চন্দ্রমাসের এই পঞ্জিকাকে বলা হয় ‘হিজরি সন’।

চাঁদের গতি-প্রকৃতি হিসাবে যে সন গণনা করা হয়, সেটিকে বলা হয় চান্দ্রসন, আর সূর্যের গতি-প্রকৃতি হিসাবে যে সন গণনা করা হয়, তাকে বলা হয় সৌরসন। এটি নির্ভর করে সূর্য ও চন্দ্রের নিজস্ব কক্ষপথ পরিভ্রমণের ওপর। চাঁদ যেহেতু প্রতি মাসে তার নিজস্ব পরিক্রমণ সমাপ্ত করে ফেলে, তাই চন্দ্রকলার হ্রাস ও বৃদ্ধি সম্পাদনে সময় লাগে প্রায় ২৯ দিন ১২ ঘণ্টা। ফলে এক চান্দ্রবছর হতে সময় লাগে ৩৫৪ দিন আট ঘণ্টা ৪৮ মিনিট। আর সূর্য তার কক্ষপথে একবার পরিভ্রমণ করতে বছরে সময় লাগে প্রায় ৩৬৫ দিন পাঁচ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড। এটাই সৌরবছরের দৈর্ঘ্য। বর্তমান দুনিয়ায় প্রচলিত ইংরেজি সাল হচ্ছে সৌরসন এবং রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হিজরতের স্মৃতিবিজড়িত হিজরি সন হচ্ছে চান্দ্রসন। ইসলামের বর্ষপঞ্জী অনুসারে এখন চলছে ১৪৪২ হিজরী।

কবির আহমেদ/ ইবি টাইমস