ভিয়েনা ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কোনও সময়সীমা নেই – ট্রাম্প জার্মানিতে শরণার্থীদের অনেকেই এখনও দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে আছে মঙ্গলবার অস্ট্রিয়া সফরে আসছেন জার্মানির প্রেসিডেন্ট স্টাইনমায়ার ওমানে দুর্ঘটনায় নিহত ৮ প্রবাসীর লাশ ফিরল দেশে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী, সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না: ইসি আনোয়ারুল তজুমদ্দিনে আগুনে পুড়লো ১৯ মাছের আড়ৎ ভিয়েনায় মার্সিডিজ গাড়ি পুড়ে ছাই ওয়াশিংটনে যুদ্ধ বন্ধে জেলেনস্কিকে চুক্তি করতে বললেন ট্রাম্প

করোনার বিধিনিষেধের কারনে অস্ট্রিয়ায় সিজোনাল ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত ও মৃত্যু হ্রাস পেয়েছে

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৬:৪১:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ এপ্রিল ২০২১
  • ১৫ সময় দেখুন

ইউরোপ ডেস্কঃ অস্ট্রিয়ার বহুল প্রচারিত দৈনিক Kronen Zeitung স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন যে, অস্ট্রিয়ায় প্রতি বৎসর সিজোনাল ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে হাজারের উপরে মানুষ মৃত্যুবরণ করে।তবে এই বৎসর এই সিজনের অনেক সময় পার হয়ে গেলেও মাত্র একজন সিজোনাল ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে।

করোনার জন্য গৃহীত বিভিন্ন বিধিনিষেধগুলি আমাদের এই বৎসর সিজোনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লুর আক্রমণ ও মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুডল্ফ আনস্কোবার।

মন্ত্রী স্থানীয় একটি সম্প্রচার কেন্দ্রে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান,এখন এই বৎসরের সিজোনাল ফ্লুর ৪র্থ সপ্তাহ চললেও এখন পর্যন্ত মাত্র একজন রোগী ক্রিটিক্যাল সনাক্ত হয়েছেন।বাকীরা সাধারণ চিকিৎসাতেই সুস্থ হয়েছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুডল্ফ আনস্কোবার অত্যন্ত জোর দিয়েই বলেন, করোনার কঠোর বিধিনিষেধ যেমন,মাস্ক পরিধান,সামাজিক দূরত্ব এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধির নিয়মগুলি কেবল কোভিড -১৯ এর সংক্রমণকেই ব্যাপকভাবে হ্রাস করতে না পারলেও তা সাধারণ সিজোনাল ফ্লু ভাইরাসের বিরুদ্ধে বেশ সহায়তা করছে এবং এর ফলে বহু লোকের মৃত্যু রোধ করেছে।

তিনি আরও জানান,এইবারই গত কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো অস্ট্রিয়ানরা সিজোনাল ফ্লুর তরঙ্গ থেকে রক্ষা পেয়েছে এবং অনেক লোকের এই ইনফ্লুয়েঞ্জা বা সিজোনাল ফ্লুতে মৃত্যুবরণ কমেছে।অস্ট্রিয়ায় সাধারণত এই সময়ে প্রায় ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ মানুষ ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে থাকে।

এদিকে আজ শুক্রবার অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,করোনার কঠোর বিধিনিষেধ ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে শুধুমাত্র অস্ট্রিয়াতেই এর প্রভাব পড়েনি বরঞ্চ পুরো ইউরোপ জুড়েই এই বিধিনিষেধের সুফল পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন,এই বৎসর পর্তুগাল, ডেনমার্ক এবং বৃটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও তাদের নিজ নিজ দেশে সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লুর কোন প্রকোপ নাই বলে জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুডল্ফ আনস্কোবার অস্ট্রিয়ায় বিগত বৎসরের সিজোনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণের একটি পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেছেন। তিনি জানান, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে সাধারণ ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন,৪,৪৩৬ জন । ২০১৭-২০১৮ সিজনে ২,৮৫১ জন,২০১৮ -২০১৯ সালে ১,৩৭৩ জন এবং ২০১৯-২০২০ সালে ৮৩৪ জন । সাধারণ সিজোনাল ভাইরাস বা ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞরা আভাস দিয়েছেন যে,করোনা ভাইরাস আর পৃথিবী থেকে যাবে না।এটি একটি সাধারণ ভাইরাস হিসাবে অন্যান্য ভাইরাসের মতোই আমাদের পৃথিবীতে থেকে যাবে।

আজ অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ৩,১৩৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ২৯ জন। আজ অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় করোনায় নতুন করে সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ৬৭০ জন। অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে NÖ রাজ্যে ৭৫৯ জন,OÖ রাজ্যে ৪৭৩ জন,Steiermark রাজ্যে ৪২৫ জন,Tirol রাজ্যে ২৪৭ জন,Salzburg রাজ্যে ২০৩ জন,Kärnten রাজ্যে ১৭৪ জন,Burgenland রাজ্যে ১১৪ জন এবং Vorarlberg রাজ্যে ৭২ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন।

অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত ১৬ লাখ ৮২ হাজার ৯৪৯ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন বা টিকা প্রদান করা হয়েছে।

অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৫২,৭২৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৯,৩৯৭ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন ৫,০৬,৬৭৫ জন। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৬,৬৫৭ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ৫৩৫ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২,২৯৪ জন। বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।

কবির আহমেদ /ইবি টাইমস

Tag :
জনপ্রিয়

হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কোনও সময়সীমা নেই – ট্রাম্প

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

করোনার বিধিনিষেধের কারনে অস্ট্রিয়ায় সিজোনাল ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত ও মৃত্যু হ্রাস পেয়েছে

আপডেটের সময় ০৬:৪১:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ এপ্রিল ২০২১

ইউরোপ ডেস্কঃ অস্ট্রিয়ার বহুল প্রচারিত দৈনিক Kronen Zeitung স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন যে, অস্ট্রিয়ায় প্রতি বৎসর সিজোনাল ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে হাজারের উপরে মানুষ মৃত্যুবরণ করে।তবে এই বৎসর এই সিজনের অনেক সময় পার হয়ে গেলেও মাত্র একজন সিজোনাল ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে।

করোনার জন্য গৃহীত বিভিন্ন বিধিনিষেধগুলি আমাদের এই বৎসর সিজোনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লুর আক্রমণ ও মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুডল্ফ আনস্কোবার।

মন্ত্রী স্থানীয় একটি সম্প্রচার কেন্দ্রে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান,এখন এই বৎসরের সিজোনাল ফ্লুর ৪র্থ সপ্তাহ চললেও এখন পর্যন্ত মাত্র একজন রোগী ক্রিটিক্যাল সনাক্ত হয়েছেন।বাকীরা সাধারণ চিকিৎসাতেই সুস্থ হয়েছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুডল্ফ আনস্কোবার অত্যন্ত জোর দিয়েই বলেন, করোনার কঠোর বিধিনিষেধ যেমন,মাস্ক পরিধান,সামাজিক দূরত্ব এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধির নিয়মগুলি কেবল কোভিড -১৯ এর সংক্রমণকেই ব্যাপকভাবে হ্রাস করতে না পারলেও তা সাধারণ সিজোনাল ফ্লু ভাইরাসের বিরুদ্ধে বেশ সহায়তা করছে এবং এর ফলে বহু লোকের মৃত্যু রোধ করেছে।

তিনি আরও জানান,এইবারই গত কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো অস্ট্রিয়ানরা সিজোনাল ফ্লুর তরঙ্গ থেকে রক্ষা পেয়েছে এবং অনেক লোকের এই ইনফ্লুয়েঞ্জা বা সিজোনাল ফ্লুতে মৃত্যুবরণ কমেছে।অস্ট্রিয়ায় সাধারণত এই সময়ে প্রায় ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ মানুষ ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে থাকে।

এদিকে আজ শুক্রবার অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,করোনার কঠোর বিধিনিষেধ ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে শুধুমাত্র অস্ট্রিয়াতেই এর প্রভাব পড়েনি বরঞ্চ পুরো ইউরোপ জুড়েই এই বিধিনিষেধের সুফল পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন,এই বৎসর পর্তুগাল, ডেনমার্ক এবং বৃটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও তাদের নিজ নিজ দেশে সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লুর কোন প্রকোপ নাই বলে জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুডল্ফ আনস্কোবার অস্ট্রিয়ায় বিগত বৎসরের সিজোনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণের একটি পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেছেন। তিনি জানান, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে সাধারণ ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন,৪,৪৩৬ জন । ২০১৭-২০১৮ সিজনে ২,৮৫১ জন,২০১৮ -২০১৯ সালে ১,৩৭৩ জন এবং ২০১৯-২০২০ সালে ৮৩৪ জন । সাধারণ সিজোনাল ভাইরাস বা ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞরা আভাস দিয়েছেন যে,করোনা ভাইরাস আর পৃথিবী থেকে যাবে না।এটি একটি সাধারণ ভাইরাস হিসাবে অন্যান্য ভাইরাসের মতোই আমাদের পৃথিবীতে থেকে যাবে।

আজ অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ৩,১৩৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ২৯ জন। আজ অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় করোনায় নতুন করে সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ৬৭০ জন। অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে NÖ রাজ্যে ৭৫৯ জন,OÖ রাজ্যে ৪৭৩ জন,Steiermark রাজ্যে ৪২৫ জন,Tirol রাজ্যে ২৪৭ জন,Salzburg রাজ্যে ২০৩ জন,Kärnten রাজ্যে ১৭৪ জন,Burgenland রাজ্যে ১১৪ জন এবং Vorarlberg রাজ্যে ৭২ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন।

অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত ১৬ লাখ ৮২ হাজার ৯৪৯ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন বা টিকা প্রদান করা হয়েছে।

অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৫২,৭২৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৯,৩৯৭ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন ৫,০৬,৬৭৫ জন। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৬,৬৫৭ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ৫৩৫ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২,২৯৪ জন। বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।

কবির আহমেদ /ইবি টাইমস