পর্তুগাল প্রতিনিধিঃ যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে পর্তুগালের রাজধানী লিজবনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক জাতীয় দিবস এবং মহান স্বাধীনতার সূবর্নজয়ন্তি উদযাপন করা হয়।
কভিড-১৯ মহামারীর কারনে পর্তুগীজ সরকার কর্তৃক বিধিনিষেধ মেনে অতি অল্প পরিষরে দুতাবাস এ কর্মসুচির আয়োজন করে । সকালে চ্যান্সারি প্রাংগনে রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান,দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারিকে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিনের কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয় ।
এরপর স্বাধীনতার সূবর্নজয়ন্তি উপলক্ষে পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশী এবং পর্তুগীজ অতিথীদের অংশগ্রহনে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় । মহামান্য রাষ্ট্রদূত তারিক আহসানের সভাপতিত্বে এবং দুতাবাস এর প্রধান সচিব আব্দুল্লাহ আল রাজী সাহেবের সঞ্চালনায় প্রথমেই বাংলাদেশের স্হপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথীদের উদ্দেশ্য স্বাধীনতার প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় । তারপর দ্বিতীয় সচিব আলমগীর হোসাইন মাহামান্য রাষ্ট্রপতির স্বাধীনতার বাণী পাঠ করে শুনান । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া সূবর্নজয়ন্তির ইংরেজী ভিডিও বার্তাটি সবার উদ্দেশ্যে প্রদর্শণ করা হয়।

মান্যবর রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান পর্তুগীজ সংসদ সদস্য এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সদস্য পাওলো নেভেস এবং সান্তা মারিয়া জোন্তা ফ্রিগোসিয়ার প্রেসিডেন্ট মৃগেল কুহেল এবং স্হানীয় আওয়ামীলীগ ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব বক্তব্য রাখেন ।
রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান প্রথমেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সকল বীর মুক্তিযাদ্ধা, বীরঙ্গনা নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন । তারপর রাষ্ট্রদূত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার বক্তব্য শুরু করেন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ার জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ।
তিনি আরও বলেন,বঙ্গবন্ধু হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ভুলুণ্ঠিত হয়,সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাছাড়া দিয়ে উঠে । কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সূদূর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে উন্নয়ন এর রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পায়।
পর্তুগীজ সাংসদ ড: পাওলো নেভেজ বলেন,সাম্প্রতিক সময়ে আমি বাংলাদেশ সফর করেছি এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের খবর আমরা জানি । বাংলাদেশে একটি পর্তুগীজ দূতাবাস স্হাপনের গুরুত্ব আমি উপলব্দি করি,আর সেইজন্য আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে । যদিও বর্তমানে অ্যনারি কনস্যুলেটের মাধ্যমে দু দেশের সম্পর্ক জোড়ধার হচ্ছে ।
সান্তা মারিয়া জোন্তার প্রেসিডেন্ট মৃগেল কোহেলো বাংলাদেশীদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, বাংলাদেশীরা তার এলাকায় আসায়,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ায় এলাকার বেশ উন্নয়ন হয়েছে ।
পর্তুগাল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রফিকউল্লাহ, বর্তমান সভাপতি জহিরুল আলম জসিম, সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোওয়ার হোসাইন,বায়তুল মোকাররম মসজিদের সভাপতি রানা তসলিম উদ্দিন,বিশিস্ট কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব শাহ আলম কাজল প্রমূখ বক্তৃতা করেন ।
সবশেষে দ্বিতীয় সচিবের বক্তৃতায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন ।
মনির হোসেন /ইবি টাইমস

























