ভিয়েনা ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধের প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে সড়ক অবরোধ ওসমান হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল দেশের মানুষ গণতন্ত্রের সু-বাতাস পাওয়া শুরু করেছে : টুকু সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং মাঠ নিশ্চিত করা হয়নি : নিজামুল হক নাঈম  মাভাবিপ্রবিতে মাওলানা ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী পালিত সবাই নিয়ে নির্বাচন করলে অংশ নেবে কৃষক জনতা লীগ : কাদের সিদ্দিকী অস্ট্রিয়ার দক্ষিণের দুই রাজ্যের মধ্যে নতুন রেলপথ কোরালম রেলওয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বন্ধে এরদোগানের মধ্যস্থতার প্রস্তাব এভারকেয়ারে নেয়া হলো গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদীকে হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে পূর্বাঞ্চলের ৩ রাজ্যের গভর্নরদের সংলাপ অব্যাহত

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৮:১০:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১
  • ৩২ সময় দেখুন

ইউরোপ ডেস্কঃ অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুডল্ফ আনস্কোবার(Green) এর সাথে অস্ট্রিয়ার ৩ রাজ্য ভিয়েনা,লোয়ার অস্ট্রিয়া ও বুর্গেনল্যান্ডের গভর্নরদের করোনার সংক্রমণের বিস্তার রোধে নতুন বিধিনিষেধ নিয়ে গতকাল রাত আড়াইটা পর্যন্ত আলোচনার পর আজ সন্ধ্য্যায় তার পুনরায় বৈঠকে বসেছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছেন, আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রয়েছে নতুন বিধিনিষেধ নিয়ে কিছুটা মতানৈক্য বা বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।গতকাল থেকে শুরু হওয়া এই সংলাপ প্রায় ২৪ ঘন্টা হয়ে পার হয়ে গেলেও এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

অবশ্য সংবাদ সংস্থা এপিএ জানিয়েছেন,পরের কয়েকটি ঘন্টা গুরুত্বপূর্ণ হবে – যদি কেউ সিদ্ধান্ত নেয়। নতুন করোনার পদক্ষেপের জন্য লড়াই বাড়ানো হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুডল্ফ আনস্কোবারের সাথে এই সংলাপে অংশগ্রহণকারী তিন রাজ্যের গভর্নররা হলেন,ভিয়েনার মেয়র লুডভিগ(SPÖ),বুর্গেনল্যান্ডের গভর্নর হ্যান্স পিটার ডসকোজিল (SPÖ) এবং লোয়ার অস্ট্রিয়ার গভর্নর জোহানা মিকল-লাইটনার (ÖVP)।

অস্ট্রিয়ার বহুল প্রচারিত অনলাইন পোর্টাল Heute এক বিশ্বস্ত সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, কি কি বিধিনিষেধ আসছে তা কিছু জানা গেছে। যেমন আগামী ২৭ শে মার্চ শনিবার থেকে এই ৩ রাজ্যেই ২৪ ঘন্টার কারফিউ বা ঘর থেকে বের হওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারির কথা আসছে। শুধুমাত্র পূর্বের মতোই জরুরী কাজ ব্যতীত কেহ ঘর থেকে হতে পারবে না।এই বৎসর এই ৩ পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে ইস্টারের সকল প্রকার ধর্মীয় উৎসব বাতিল করার কথা বলা হয়েছে।মানুষের অংশগ্রহণে গির্জার পরিষেবাগুলি বছরের সর্বোচ্চ খ্রিস্টান উৎসবের জন্যও বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ব্যবসা-বাণিজ্য ও খুচরা বাজারেও বিধিনিষেধ আসছে,যেমন ১লা এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে ৬ ই এপ্রিল মঙ্গলবার পর্যন্ত সকল প্রকার দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্র জানিয়েছেন,স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই জায়গাটিতে আরও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ চেয়েছেন। তাছাড়াও স্বাস্থ্যমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী হাইঞ্জ ফ্যাসম্যানকে এই বৎসর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইস্টারের ছুটি ১লা এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করার অনুরোধ করবেন।

সূত্রটি আরও জানান,NÖ রাজ্যের গভর্নর চুল কাটার হেয়ারড্রেসারগুলি খোলা রাখতে চান। লোয়ার অস্ট্রিয়ার গভর্নর জোহানা মিকল-লেইটনার (ÖVP) চুলের আটকানো নতুন করে বন্ধ করার তীব্র বিরোধিতা করেছেন।  বুর্গেনল্যান্ডের হান্স পিটার ডসকোজিল (SPÖ) তাকে সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে ভিয়েনার মেয়র মিখাইল লুডভিগ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী চাচ্ছেন এই বিধিনিষেধের মধ্যে চুল কাটার দোকানও বন্ধ থাকুক।

সংবাদ সংস্থা এপিএ জানিয়েছেন,বৈঠক আজ রাত ৯ টার মধ্যে শেষ করতে পারলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে করোনার নতুন বিধিনিষেধ আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করা হতে পারে।

এদিকে ভিয়েনায় করোনায় আক্রান্ত রোগী বৃদ্ধির ফলে হাসপাতাল ও আইসিইউর উপর পুনরায় প্রচন্ড চাপ পড়েছে। ভিয়েনা জেনারেল হাসপাতালের জনৈক মুখপাত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে অস্ট্রিয়ান সংবাদ সংস্থা জানিয়েছেন যে,ভিয়েনা জেনারেল হাসপাতালে অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তত্তাবধানে আরওদুইটি আইসিইউ ওয়ার্ড স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে। গতকালও অস্ট্রিয়ার ২ জন বিশিষ্ট সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দেশের হাসপাতালের উপর নতুন করে চাপের কথা জানিয়ে দ্রুত সংক্রমণ বিস্তার রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করেছেন।

আজ অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ৩,২৮৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৩০ জন। রাজধানী ভিয়েনায় আজ নতুন করে করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ৭৯৭ জন। অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে NÖ রাজ্যে ৬৮৩ জন,OÖ রাজ্যে ৫২৬ জন, Steiermark রাজ্যে ৩৯৪ জন,Salzburg রাজ্যে ২৮৪ জন,Tirol রাজ্যে ২৬২ জন, Burgenland রাজ্যে ১৬৭ জন,Kärnten রাজ্যে ১৪৮ জন এবং Vorarlberg রাজ্যে ২৮ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন।

অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫,২৩,২৬৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৯,১৫১ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন মোট ৪,৮০,৫৯৭ জন। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৩,৫২১ জন। এর মধ্যে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আইসিইউতে আছেন ৪৪৭ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২,০৮৬ জন।বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।

কবির আহমেদ /ইবি টাইমস

Tag :
জনপ্রিয়

ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধের প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে সড়ক অবরোধ

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে পূর্বাঞ্চলের ৩ রাজ্যের গভর্নরদের সংলাপ অব্যাহত

আপডেটের সময় ০৮:১০:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১

ইউরোপ ডেস্কঃ অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুডল্ফ আনস্কোবার(Green) এর সাথে অস্ট্রিয়ার ৩ রাজ্য ভিয়েনা,লোয়ার অস্ট্রিয়া ও বুর্গেনল্যান্ডের গভর্নরদের করোনার সংক্রমণের বিস্তার রোধে নতুন বিধিনিষেধ নিয়ে গতকাল রাত আড়াইটা পর্যন্ত আলোচনার পর আজ সন্ধ্য্যায় তার পুনরায় বৈঠকে বসেছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছেন, আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রয়েছে নতুন বিধিনিষেধ নিয়ে কিছুটা মতানৈক্য বা বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।গতকাল থেকে শুরু হওয়া এই সংলাপ প্রায় ২৪ ঘন্টা হয়ে পার হয়ে গেলেও এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

অবশ্য সংবাদ সংস্থা এপিএ জানিয়েছেন,পরের কয়েকটি ঘন্টা গুরুত্বপূর্ণ হবে – যদি কেউ সিদ্ধান্ত নেয়। নতুন করোনার পদক্ষেপের জন্য লড়াই বাড়ানো হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুডল্ফ আনস্কোবারের সাথে এই সংলাপে অংশগ্রহণকারী তিন রাজ্যের গভর্নররা হলেন,ভিয়েনার মেয়র লুডভিগ(SPÖ),বুর্গেনল্যান্ডের গভর্নর হ্যান্স পিটার ডসকোজিল (SPÖ) এবং লোয়ার অস্ট্রিয়ার গভর্নর জোহানা মিকল-লাইটনার (ÖVP)।

অস্ট্রিয়ার বহুল প্রচারিত অনলাইন পোর্টাল Heute এক বিশ্বস্ত সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, কি কি বিধিনিষেধ আসছে তা কিছু জানা গেছে। যেমন আগামী ২৭ শে মার্চ শনিবার থেকে এই ৩ রাজ্যেই ২৪ ঘন্টার কারফিউ বা ঘর থেকে বের হওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারির কথা আসছে। শুধুমাত্র পূর্বের মতোই জরুরী কাজ ব্যতীত কেহ ঘর থেকে হতে পারবে না।এই বৎসর এই ৩ পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে ইস্টারের সকল প্রকার ধর্মীয় উৎসব বাতিল করার কথা বলা হয়েছে।মানুষের অংশগ্রহণে গির্জার পরিষেবাগুলি বছরের সর্বোচ্চ খ্রিস্টান উৎসবের জন্যও বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ব্যবসা-বাণিজ্য ও খুচরা বাজারেও বিধিনিষেধ আসছে,যেমন ১লা এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে ৬ ই এপ্রিল মঙ্গলবার পর্যন্ত সকল প্রকার দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্র জানিয়েছেন,স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই জায়গাটিতে আরও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ চেয়েছেন। তাছাড়াও স্বাস্থ্যমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী হাইঞ্জ ফ্যাসম্যানকে এই বৎসর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইস্টারের ছুটি ১লা এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করার অনুরোধ করবেন।

সূত্রটি আরও জানান,NÖ রাজ্যের গভর্নর চুল কাটার হেয়ারড্রেসারগুলি খোলা রাখতে চান। লোয়ার অস্ট্রিয়ার গভর্নর জোহানা মিকল-লেইটনার (ÖVP) চুলের আটকানো নতুন করে বন্ধ করার তীব্র বিরোধিতা করেছেন।  বুর্গেনল্যান্ডের হান্স পিটার ডসকোজিল (SPÖ) তাকে সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে ভিয়েনার মেয়র মিখাইল লুডভিগ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী চাচ্ছেন এই বিধিনিষেধের মধ্যে চুল কাটার দোকানও বন্ধ থাকুক।

সংবাদ সংস্থা এপিএ জানিয়েছেন,বৈঠক আজ রাত ৯ টার মধ্যে শেষ করতে পারলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে করোনার নতুন বিধিনিষেধ আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করা হতে পারে।

এদিকে ভিয়েনায় করোনায় আক্রান্ত রোগী বৃদ্ধির ফলে হাসপাতাল ও আইসিইউর উপর পুনরায় প্রচন্ড চাপ পড়েছে। ভিয়েনা জেনারেল হাসপাতালের জনৈক মুখপাত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে অস্ট্রিয়ান সংবাদ সংস্থা জানিয়েছেন যে,ভিয়েনা জেনারেল হাসপাতালে অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তত্তাবধানে আরওদুইটি আইসিইউ ওয়ার্ড স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে। গতকালও অস্ট্রিয়ার ২ জন বিশিষ্ট সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দেশের হাসপাতালের উপর নতুন করে চাপের কথা জানিয়ে দ্রুত সংক্রমণ বিস্তার রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করেছেন।

আজ অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ৩,২৮৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৩০ জন। রাজধানী ভিয়েনায় আজ নতুন করে করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ৭৯৭ জন। অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে NÖ রাজ্যে ৬৮৩ জন,OÖ রাজ্যে ৫২৬ জন, Steiermark রাজ্যে ৩৯৪ জন,Salzburg রাজ্যে ২৮৪ জন,Tirol রাজ্যে ২৬২ জন, Burgenland রাজ্যে ১৬৭ জন,Kärnten রাজ্যে ১৪৮ জন এবং Vorarlberg রাজ্যে ২৮ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন।

অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫,২৩,২৬৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৯,১৫১ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন মোট ৪,৮০,৫৯৭ জন। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৩,৫২১ জন। এর মধ্যে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আইসিইউতে আছেন ৪৪৭ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২,০৮৬ জন।বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।

কবির আহমেদ /ইবি টাইমস