ভিয়েনা ০৩:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালির মনে চিরঅম্লান, ইতিহাস বিকৃতিকারীরাই মুছে গেছেঃ তথ্যমন্ত্রী

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৪:১১:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১
  • ৯ সময় দেখুন

ঢাকাঃ তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের আবেদন পঞ্চাশ বছর পরও মানুষের মনের মণিকোঠায় অম্লান, উদ্দীপনাময়। ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টায় কোনো লাভ হয়নি। বঙ্গবন্ধু তার স্বমহিমায় নতুন প্রজন্মের মনের গভীরে প্রোথিত হয়েছেন। বরং ইতিহাস বিকৃতিকারীরাই মুছে গেছে।

রোববার (৭ মার্চ) ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ: বাঙালির মুক্তির সড়ক’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। মন্ত্রী এসময় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ৫০তম বার্ষিকীতে সেমিনারটি আয়োজনের জন্য জাতীয় প্রেসক্লাবকে ধন্যবাদ জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে বহু কালজয়ী ভাষণ আছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ এই সমস্ত ভাষণ থেকে অনন্য। কারণ এটি লিখিত ভাষণ ছিল না। অতীতে অনেকে বলার চেষ্টা করেছেন, তিনি এই কথা লিখে দিয়েছিলেন বা বলতে বলেছিলেন। এভাবে কৃতিত্ব জাহিরের অপচেষ্টাও হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কোনোটা দেখে বলেননি। বঙ্গবন্ধু একনাগাড়ে ১৯ মিনিটে ১০১টি বাক্যে যে ভাষণ দিয়েছেন তার ভাষা ছিল সাধারণ মানুষের কথ্য ভাষা, বই বা সভা সেমিনারের ভাষা নয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষের সাথে যোগাযোগের জন্য শরীরের যে  অঙ্গভঙ্গি এবং যে ভাষা, যে বাক্য, যে শব্দ চয়নের প্রয়োজন, সেগুলো ছিল বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের অনন্য মাধ্যম। তিনি তার ভাষণে সবাইকে সবচেয়ে আপন ‘তুমি’ সম্বোধন  করেছেন, অর্থাৎ জাতির সাথে তার সেই সম্পর্কটি তখন দাঁড়িয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক অর্থবহ ভাষণ আছে, কিন্তু হাজার হাজার বছরের ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তকারী ১০ লক্ষ মানুষের সামনে দেয়া ৭ই মার্চের এই ভাষণ যেভাবে মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছে, এমন আর কোনো ভাষণ আছে কি-না সেটি আমার জানা নেই।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, কিন্তু এ ভাষণ নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ২১ বছর এই ভাষণ বাজেনি, রাষ্ট্রীয় সমস্ত অনুষ্ঠানে এই ভাষণ এমনকি বঙ্গবন্ধুর নামটিও নিষিদ্ধ ছিল।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে দেখতে পেলাম, যারা এই ভাষণকে নিষিদ্ধ করেছিল, ইতিহাসকে বিকৃত করেছিল, বঙ্গবন্ধুর নামটাও নিষিদ্ধ করেছিল, তারা ৭ই মার্চ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি কোন দূরভিসন্ধি নিয়ে পালন করছে কীনা- আমি জানি না। তবে তাদেরকে বলবো, ইতিহাস বিকৃত করে কোনো লাভ হয়নি। বঙ্গবন্ধুকে মানুষের মনের মণিকোঠা থেকে মুছে ফেলা যায়নি। বিকৃতি ইতিহাসও ইতোমধ্যেই মুছে গেছে। শুধুমাত্র পুস্তক বা অন্য জায়গা থেকেই নয়, মানুষের মনের মণিকোঠা থেকেও বিকৃত ইতিহাস মুছে গেছে।

প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে ও গবেষণা সম্পাদক আইয়ূব ভুইঁয়ার সঞ্চালনায় গণমাধ্যম গবেষক অজিত কুমার সরকারের মূল প্রবন্ধ ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ: বাঙালির মুক্তির সড়ক’ এর ওপর আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, স্বপন সাহা, শাহেদ চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান প্রমুখ।

ঢাকা প্রতিবেদক/ইবি টাইমস/আরএন

Tag :
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালির মনে চিরঅম্লান, ইতিহাস বিকৃতিকারীরাই মুছে গেছেঃ তথ্যমন্ত্রী

আপডেটের সময় ০৪:১১:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১

ঢাকাঃ তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের আবেদন পঞ্চাশ বছর পরও মানুষের মনের মণিকোঠায় অম্লান, উদ্দীপনাময়। ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টায় কোনো লাভ হয়নি। বঙ্গবন্ধু তার স্বমহিমায় নতুন প্রজন্মের মনের গভীরে প্রোথিত হয়েছেন। বরং ইতিহাস বিকৃতিকারীরাই মুছে গেছে।

রোববার (৭ মার্চ) ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ: বাঙালির মুক্তির সড়ক’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। মন্ত্রী এসময় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ৫০তম বার্ষিকীতে সেমিনারটি আয়োজনের জন্য জাতীয় প্রেসক্লাবকে ধন্যবাদ জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে বহু কালজয়ী ভাষণ আছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ এই সমস্ত ভাষণ থেকে অনন্য। কারণ এটি লিখিত ভাষণ ছিল না। অতীতে অনেকে বলার চেষ্টা করেছেন, তিনি এই কথা লিখে দিয়েছিলেন বা বলতে বলেছিলেন। এভাবে কৃতিত্ব জাহিরের অপচেষ্টাও হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কোনোটা দেখে বলেননি। বঙ্গবন্ধু একনাগাড়ে ১৯ মিনিটে ১০১টি বাক্যে যে ভাষণ দিয়েছেন তার ভাষা ছিল সাধারণ মানুষের কথ্য ভাষা, বই বা সভা সেমিনারের ভাষা নয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষের সাথে যোগাযোগের জন্য শরীরের যে  অঙ্গভঙ্গি এবং যে ভাষা, যে বাক্য, যে শব্দ চয়নের প্রয়োজন, সেগুলো ছিল বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের অনন্য মাধ্যম। তিনি তার ভাষণে সবাইকে সবচেয়ে আপন ‘তুমি’ সম্বোধন  করেছেন, অর্থাৎ জাতির সাথে তার সেই সম্পর্কটি তখন দাঁড়িয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক অর্থবহ ভাষণ আছে, কিন্তু হাজার হাজার বছরের ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তকারী ১০ লক্ষ মানুষের সামনে দেয়া ৭ই মার্চের এই ভাষণ যেভাবে মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছে, এমন আর কোনো ভাষণ আছে কি-না সেটি আমার জানা নেই।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, কিন্তু এ ভাষণ নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ২১ বছর এই ভাষণ বাজেনি, রাষ্ট্রীয় সমস্ত অনুষ্ঠানে এই ভাষণ এমনকি বঙ্গবন্ধুর নামটিও নিষিদ্ধ ছিল।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে দেখতে পেলাম, যারা এই ভাষণকে নিষিদ্ধ করেছিল, ইতিহাসকে বিকৃত করেছিল, বঙ্গবন্ধুর নামটাও নিষিদ্ধ করেছিল, তারা ৭ই মার্চ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি কোন দূরভিসন্ধি নিয়ে পালন করছে কীনা- আমি জানি না। তবে তাদেরকে বলবো, ইতিহাস বিকৃত করে কোনো লাভ হয়নি। বঙ্গবন্ধুকে মানুষের মনের মণিকোঠা থেকে মুছে ফেলা যায়নি। বিকৃতি ইতিহাসও ইতোমধ্যেই মুছে গেছে। শুধুমাত্র পুস্তক বা অন্য জায়গা থেকেই নয়, মানুষের মনের মণিকোঠা থেকেও বিকৃত ইতিহাস মুছে গেছে।

প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে ও গবেষণা সম্পাদক আইয়ূব ভুইঁয়ার সঞ্চালনায় গণমাধ্যম গবেষক অজিত কুমার সরকারের মূল প্রবন্ধ ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ: বাঙালির মুক্তির সড়ক’ এর ওপর আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, স্বপন সাহা, শাহেদ চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান প্রমুখ।

ঢাকা প্রতিবেদক/ইবি টাইমস/আরএন