ভিয়েনা ১০:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন পরর্তী সহিংসতায় ভোলার চরফ্যাসনে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ১০, গ্রেফতার -১

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৬:২৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মার্চ ২০২১
  • ৮ সময় দেখুন

চরফ্যাসন (ভোলা) : চরফ্যাসন পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল সোমবার ২২ জন কে আসামী করে মোঃ রাসেল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন ।

চরফ্যাসন পৌরসভা নির্বাচন ২৮ ফেব্রুয়ারী শেষ হলেও বিজয়ের একদিন পর নির্বাচনের পরবর্তী সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে। এতে ১নং ওয়ার্ডের বিজয়ী প্রার্থী স্বপন চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকরা প্রতিপক্ষ পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী নাজু পণ্ডিতের সমর্থকদের উপর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হামলা  চালায়।

গতকাল১মার্চ দুপুর ২টা রাসেলের বাড়িতে ও সন্ধ্যা ৬টায় কাইমদ্দির মোরে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নারী-পুরুষসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত ৭ জনকে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করলেও বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

আহতরা হলেন, রফিকুল ইসলামের ছেলে রাসেল (৩২), দুলাল এর ছেলে সোহেল(৩১), মুনসুর সরদারের ছেলে সবুজ (২২), রাসেলের মা কোহিনুর (৫৫), রাসেলের স্ত্রী ফাতেমা (২৫),করিম জমাদারের ছেলে নাসিম জমাদার (৫০), হারুন মাতাব্বরের ছেলে সুমন (২৫), ইসমাইলের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (৩০)।

চরফ্যাসন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত রাসেল ইউরো বাংলা টাইমস কে জানান, দুপুর  আড়াইটায় বিজয়ী কাউন্সিলর প্রার্থী স্বপন চৌধুরী গ্রুপের অলিউল্লার ছেলে কামাল (৪০),আব্দুর রহমানের ছেলে ফজলু(৩৬), গফুর হাওলাদারের ছেলে আলম (৫৫), আলমের ছেলে পারভেজ (২৫), নয়নের ছেলে তুহিন (১৮),ও হাফেজ মাইন উদ্দিন সহ ২০/৩০ জন এ হামলার ঘটনা চালায়।

আহত রাসেলের স্ত্রী ফাতেমা এই প্রতিবেদক কে জানান, ঘটনার সময় তাদের পরিবারের মধ্যে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া চলছিল। এমন সময় সোহেল ও আলমের মাঝে তর্কাতর্কীর এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তাদের চিৎকারে রাসেল এগিয়ে গেলে তাকেও এলোপাতাড়ি মারধর করে,হাত-পা ভেঙে দেয়। এসময় তাদের বাড়িতে থাকা স্বজনরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহতদের উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করলেও বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ী ঘরে ফিরে গেছেন।

এদিকে বিকাল সাড়ে পাঁচটায় হামলাকারীরা পাঞ্জাবীতে ভোট না দেওয়ার অপরাধে উটপাখি মার্কার কর্মী-সমর্থক করিম জমাদারের ছেলে নাসিম জমাদার (৫০) কে কাইমুদ্দির মোড়ে দোকানের সামনে লাঠিসোটা অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই হামলাকারীরা পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত নাসিম ডাক চিৎকার দিলে সুমন ও হোসেন ছুটে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় হামলাকারীরা তাদের বাড়িঘরে হামলা করার চেষ্টা করে বলে আহতরা জানান, এদেরকে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় চরফ্যাসন থানায় মামলা হয়েছে । এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চরফ্যাসন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনির হোসেন মিয়া ইউরো বাংলা টাইমস কে জানান, মামলা  হয়েছে, মামলা নং ০১ তারিখ ০২-০৩-২১। ১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে,বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

জামাল মোল্লা/ইবি টাইমস

Tag :
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

নির্বাচন পরর্তী সহিংসতায় ভোলার চরফ্যাসনে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ১০, গ্রেফতার -১

আপডেটের সময় ০৬:২৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মার্চ ২০২১

চরফ্যাসন (ভোলা) : চরফ্যাসন পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল সোমবার ২২ জন কে আসামী করে মোঃ রাসেল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন ।

চরফ্যাসন পৌরসভা নির্বাচন ২৮ ফেব্রুয়ারী শেষ হলেও বিজয়ের একদিন পর নির্বাচনের পরবর্তী সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে। এতে ১নং ওয়ার্ডের বিজয়ী প্রার্থী স্বপন চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকরা প্রতিপক্ষ পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী নাজু পণ্ডিতের সমর্থকদের উপর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হামলা  চালায়।

গতকাল১মার্চ দুপুর ২টা রাসেলের বাড়িতে ও সন্ধ্যা ৬টায় কাইমদ্দির মোরে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নারী-পুরুষসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত ৭ জনকে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করলেও বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

আহতরা হলেন, রফিকুল ইসলামের ছেলে রাসেল (৩২), দুলাল এর ছেলে সোহেল(৩১), মুনসুর সরদারের ছেলে সবুজ (২২), রাসেলের মা কোহিনুর (৫৫), রাসেলের স্ত্রী ফাতেমা (২৫),করিম জমাদারের ছেলে নাসিম জমাদার (৫০), হারুন মাতাব্বরের ছেলে সুমন (২৫), ইসমাইলের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (৩০)।

চরফ্যাসন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত রাসেল ইউরো বাংলা টাইমস কে জানান, দুপুর  আড়াইটায় বিজয়ী কাউন্সিলর প্রার্থী স্বপন চৌধুরী গ্রুপের অলিউল্লার ছেলে কামাল (৪০),আব্দুর রহমানের ছেলে ফজলু(৩৬), গফুর হাওলাদারের ছেলে আলম (৫৫), আলমের ছেলে পারভেজ (২৫), নয়নের ছেলে তুহিন (১৮),ও হাফেজ মাইন উদ্দিন সহ ২০/৩০ জন এ হামলার ঘটনা চালায়।

আহত রাসেলের স্ত্রী ফাতেমা এই প্রতিবেদক কে জানান, ঘটনার সময় তাদের পরিবারের মধ্যে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া চলছিল। এমন সময় সোহেল ও আলমের মাঝে তর্কাতর্কীর এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তাদের চিৎকারে রাসেল এগিয়ে গেলে তাকেও এলোপাতাড়ি মারধর করে,হাত-পা ভেঙে দেয়। এসময় তাদের বাড়িতে থাকা স্বজনরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহতদের উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করলেও বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ী ঘরে ফিরে গেছেন।

এদিকে বিকাল সাড়ে পাঁচটায় হামলাকারীরা পাঞ্জাবীতে ভোট না দেওয়ার অপরাধে উটপাখি মার্কার কর্মী-সমর্থক করিম জমাদারের ছেলে নাসিম জমাদার (৫০) কে কাইমুদ্দির মোড়ে দোকানের সামনে লাঠিসোটা অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই হামলাকারীরা পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত নাসিম ডাক চিৎকার দিলে সুমন ও হোসেন ছুটে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় হামলাকারীরা তাদের বাড়িঘরে হামলা করার চেষ্টা করে বলে আহতরা জানান, এদেরকে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় চরফ্যাসন থানায় মামলা হয়েছে । এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চরফ্যাসন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনির হোসেন মিয়া ইউরো বাংলা টাইমস কে জানান, মামলা  হয়েছে, মামলা নং ০১ তারিখ ০২-০৩-২১। ১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে,বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

জামাল মোল্লা/ইবি টাইমস