ভিয়েনা ০৭:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইউরোপের অন্য কোনও দেশে রাশিয়ার হামলার ইচ্ছা নেই নিশ্চয়তা পুতিনের রোমানিয়া-বুলগেরিয়ার যৌথ অভিযানে ৮ মানবপাচারকারী গ্রেপ্তার মাধবপুরে ইঞ্জিন বিকল, ৩ ঘন্টা পর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন পুনরায় যাত্রা বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটময় সেতুসহ পাঁচ দাবিতে শাহবাগে ভোলাবাসীর অবস্থান পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে ৭০,৬৬০ প্রবাসীর নিবন্ধন বাউল শিল্পী আবুল সরকারের ফাঁসির দাবিতে লালমোহনে বিক্ষোভ লালমোহনে এসটিএস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উদ্বোধন অস্ট্রিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে পর্তুগালের অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ জয়লাভ খাল–বিলহীন খিলগাতীতে সাড়ে ৯ কোটি টাকার ব্রিজ নির্মাণ, প্রশ্ন স্থানীয়দের

ইউরোপের অন্য কোনও দেশে রাশিয়ার হামলার ইচ্ছা নেই নিশ্চয়তা পুতিনের

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৭:১৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫২ সময় দেখুন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে তিনি ইউরোপ না আক্রমণের বিষয়ে লিখিত গ্যারান্টি দিতেও প্রস্তুত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে সিএসটিও শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়ে পুতিন বলেন, “আমাদের কখনোই ইউরোপে হামলার অভিপ্রায় ছিল না। যদি তারা লিখিত নিশ্চয়তা চায়—আমরা সেটি নথিভুক্ত করে দেব, তাহলে তাদের আর প্রশ্ন করার সুযোগ থাকবে না।”

উল্লেখ্য যে, রাশিয়া অন্য কোনও ইউরোপীয় দেশকে আক্রমণ করবে—এমন আশঙ্কা পশ্চিমা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বহুদিন ধরে উঠে আসছে। তবে এসব দাবি ‘মিথ্যা’ ও ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে তিনি ইউরোপ না আক্রমণের বিষয়ে লিখিত গ্যারান্টি দিতেও প্রস্তুত।

সম্মেলন শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুতিন যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত ২৮ দফা শান্তি উদ্যোগের ব্যাপারে সতর্ক আশাবাদ প্রকাশ করেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব করা পরিকল্পনা ভবিষ্যতে সম্ভাব্য চুক্তির ভিত্তি হতে পারে বলেও তিনি মত দেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট জানান, মস্কো গভীর ও বাস্তব আলোচনায় যেতে প্রস্তুত, তবে প্রয়োজন দেখা দিলে রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যেতে এবং ইউক্রেনের আরও অঞ্চল দখল করতেও প্রস্তুত রয়েছে। তার মতে, যুদ্ধ থামানোর অন্যতম শর্ত হলো দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের সরে যাওয়া। তিনি বলেন, “ইউক্রেনীয় বাহিনী পিছু হটলে যুদ্ধ বন্ধ হবে, আর না হলে আমরা সামরিক পথে এটি নিশ্চিত করব।”

ইউক্রেন অবশ্য বলছে, এভাবে সেনা প্রত্যাহার করলে রাশিয়ার জন্য কিয়েভ আক্রমণের পথ খুলে যাবে। পুতিন আরও অভিযোগ করেন, প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মেয়াদ গত মে মাসে শেষ হওয়ায় তার সরকার এখন “অবৈধ”, ফলে তাদের সঙ্গে কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব নয়।

কিয়েভ পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলছে, রুশ আগ্রাসন চলমান থাকায় সামরিক আইন বলবৎ আছে এবং এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন সম্ভব নয়। ইউক্রেনের সংসদ ইতোমধ্যে বিশেষ আইনি প্রস্তাবের মাধ্যমে জেলেনস্কির দায়িত্ব অব্যাহত রেখেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ২৮-দফা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে বিতর্ক: গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশিত ২৮-দফা শান্তি প্রস্তাবকে জেলেনস্কির কয়েকটি পশ্চিমা মিত্র কঠোর সমালোচনা করেছে। পরিকল্পনাটিতে ইউক্রেনকে কিছু অঞ্চল ছাড় দেওয়ার পাশাপাশি ন্যাটো সদস্যপদের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করার কথা বলা হয়েছে—যা রাশিয়ার জন্য সুবিধাজনক বলে মন্তব্য করেছেন সমালোচকেরা।

আলোচনায় বসতে প্রস্তুত কিয়েভ ও ওয়াশিংটন: জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। জেনেভায় ইতোমধ্যে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি। আগামী সপ্তাহে আরও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফসহ মার্কিন প্রতিনিধিরা শিগগিরই রাশিয়া সফর করবেন, যেখানে ইউক্রেন যুদ্ধ ও ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়

ইউরোপের অন্য কোনও দেশে রাশিয়ার হামলার ইচ্ছা নেই নিশ্চয়তা পুতিনের

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ইউরোপের অন্য কোনও দেশে রাশিয়ার হামলার ইচ্ছা নেই নিশ্চয়তা পুতিনের

আপডেটের সময় ০৭:১৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে তিনি ইউরোপ না আক্রমণের বিষয়ে লিখিত গ্যারান্টি দিতেও প্রস্তুত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে সিএসটিও শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়ে পুতিন বলেন, “আমাদের কখনোই ইউরোপে হামলার অভিপ্রায় ছিল না। যদি তারা লিখিত নিশ্চয়তা চায়—আমরা সেটি নথিভুক্ত করে দেব, তাহলে তাদের আর প্রশ্ন করার সুযোগ থাকবে না।”

উল্লেখ্য যে, রাশিয়া অন্য কোনও ইউরোপীয় দেশকে আক্রমণ করবে—এমন আশঙ্কা পশ্চিমা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বহুদিন ধরে উঠে আসছে। তবে এসব দাবি ‘মিথ্যা’ ও ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে তিনি ইউরোপ না আক্রমণের বিষয়ে লিখিত গ্যারান্টি দিতেও প্রস্তুত।

সম্মেলন শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুতিন যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত ২৮ দফা শান্তি উদ্যোগের ব্যাপারে সতর্ক আশাবাদ প্রকাশ করেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব করা পরিকল্পনা ভবিষ্যতে সম্ভাব্য চুক্তির ভিত্তি হতে পারে বলেও তিনি মত দেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট জানান, মস্কো গভীর ও বাস্তব আলোচনায় যেতে প্রস্তুত, তবে প্রয়োজন দেখা দিলে রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যেতে এবং ইউক্রেনের আরও অঞ্চল দখল করতেও প্রস্তুত রয়েছে। তার মতে, যুদ্ধ থামানোর অন্যতম শর্ত হলো দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের সরে যাওয়া। তিনি বলেন, “ইউক্রেনীয় বাহিনী পিছু হটলে যুদ্ধ বন্ধ হবে, আর না হলে আমরা সামরিক পথে এটি নিশ্চিত করব।”

ইউক্রেন অবশ্য বলছে, এভাবে সেনা প্রত্যাহার করলে রাশিয়ার জন্য কিয়েভ আক্রমণের পথ খুলে যাবে। পুতিন আরও অভিযোগ করেন, প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মেয়াদ গত মে মাসে শেষ হওয়ায় তার সরকার এখন “অবৈধ”, ফলে তাদের সঙ্গে কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব নয়।

কিয়েভ পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলছে, রুশ আগ্রাসন চলমান থাকায় সামরিক আইন বলবৎ আছে এবং এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন সম্ভব নয়। ইউক্রেনের সংসদ ইতোমধ্যে বিশেষ আইনি প্রস্তাবের মাধ্যমে জেলেনস্কির দায়িত্ব অব্যাহত রেখেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ২৮-দফা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে বিতর্ক: গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশিত ২৮-দফা শান্তি প্রস্তাবকে জেলেনস্কির কয়েকটি পশ্চিমা মিত্র কঠোর সমালোচনা করেছে। পরিকল্পনাটিতে ইউক্রেনকে কিছু অঞ্চল ছাড় দেওয়ার পাশাপাশি ন্যাটো সদস্যপদের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করার কথা বলা হয়েছে—যা রাশিয়ার জন্য সুবিধাজনক বলে মন্তব্য করেছেন সমালোচকেরা।

আলোচনায় বসতে প্রস্তুত কিয়েভ ও ওয়াশিংটন: জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। জেনেভায় ইতোমধ্যে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি। আগামী সপ্তাহে আরও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফসহ মার্কিন প্রতিনিধিরা শিগগিরই রাশিয়া সফর করবেন, যেখানে ইউক্রেন যুদ্ধ ও ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস