মোতাব্বির হোসেন কাজল, হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে প্রথম বারের মত গ্রীষ্ম কালীন সুইট ব্যাল্ক টু জাতের তরমুজ চাষে লাভবান হওয়ায় আগ্রহী হচ্ছেন উপজেলার অনেক কৃষক। চুনারুঘাট উপজেলার দেওরগাচ ইউনিয়নে তরমুজ চাষ করে বেশ সাড়া ফেলেছেন চাষী অব্দুল হান্নান।
জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেওয়রগাছ গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নান চুনারুঘাট উপজেলার দেওয়রগছ ইউনিয়নে পতিত্ব জমি ভাড়া নিয়ে ১০ বিঘা জমিতে গ্রীষ্ম কালীন সুইট ব্যাল্ক টু জাতের তরমুজ চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন। তরমুজ চাষী আব্দুল হান্নান বলেন,এ বছর তরমুজের চারা রূপন করেছিলাম। তমুজের ফলনও ভাল হয়েছে। আমাদের খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা আর জমির সকল তরমুজ বিক্রি করে প্রায় দিগুন টাকা লাভ হবে। কৃষি অফিস্যারের পরামর্শে আমি এ চাষ করি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগীতা পেলে আরো বেশি জমি নিয়ে এ জাতের তরমুজ চাষ করবো। মাধপুর উপজেলার তরমুজ ব্যাবসায়ী আকবর আলী, তরমুজ ক্রয় করতে এসেছে।
তরমুজ ব্যাবসায়ী আকবর আলী বললেন আমি হান্নান ভাইর জমি থেকে তরমুজ কিনে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে অনেক লাভবান হচ্ছি। হান্নান ভাই চুনারুঘাট উপজেলার এক জন সফল কৃষক। তরমুজ বাগান পরিচর্যায় নিয়োজিত রয়েছেন স্থানীয় চা-বাগানের শ্রমিকরা।
তারা বলেন, অন্য কাজের পাশাপাশি তরমুজ বাগান পরিচর্যার শ্রমের মজুরি দিয়ে পরিবার নিয়ে ভালই আছেন তারা। বিভিন্ন উপজেলার আগ্রহী কৃষকরা বলেন, কৃষক আব্দুল হান্নান ভাইর তরমুজ বাগান দেখতে এসেছি । এতে অনেক লাভ হবে আমরাও আগামীতে এরকম গ্রীষ্ম কালীন সুইট ব্যাল্ক টু জাতের তরমুজ চাষ করব। উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, উপজেলায় প্রথম বারের মত গ্রীষ্ম কালীন তরমুজের আবাদ কারা হয়েছে। তরমুজ চাষ খুবই লাভবান ফসল। পতিত জমি ব্যবহার করে তরমুজ চাষে কৃষকদেরকে পরামর্শ প্রদাণ করা হচ্ছে। এতে সর্বচ্চো জমি ব্যবহার করে কৃষকগণ বেশ লাভবান হচ্ছেন। সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প আওতায় চুনারুঘাট উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ হয়।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস






















