জাহিদ দুলাল, ভোলা দক্ষিণ : ভোলার লালমোহন উপজেলা থেকে এমপিওভুক্ত (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা) ৫ শতাধিক শিক্ষক অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের লক্ষে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে নাজিরপুর লঞ্চঘাট থেকে এমবি ক্যাপ্টেন লঞ্চে তারা রওয়ানা হয়েছেন।
শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০% বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও কর্মচারীদের ৭৫% উৎসব ভাতা প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এমপিওভূক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ জোটের (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা) আয়োজনে লাগাতার অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন তারা।
লালমোহন উপজেলা এমপিওভূক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ জোটের (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা) সমন্বয়কারী মো. আলমগীর হোসেন জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণ দীর্ঘদিন থেকে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। এজন্য আমরা বিভিন্ন সময়ে দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করেছি। কিন্তু আমাদের বৈষম্য কমেনি।
আমরা আর বৈষম্যের শিকার হতে চাই না। এজন্য গত মাসের ১২ তারিখ ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণ আন্দোলন করার প্রেক্ষিতে মাননীয় শিক্ষা উপদেস্টার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ২০% বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও কর্মচারীদের ৭৫% উৎসব ভাতা দেয়া হবে। কিন্তু শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করে গত ৫ আগস্ট বিশ্ব শিক্ষক দিবসে হঠাৎ ৫শ টাকা বাড়িভাড়ার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এমপিওভূক্ত শিক্ষকগণ তা ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করে।
এরপর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা ১২ অক্টোবর ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। ওইদিন পুলিশ শান্তিপূর্ণ অবস্থানে সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। এরপর আমরা শহীদ মিনারে অবস্থান করি। কিন্তু বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষক কর্মচারীদের দাবি মেনে না নিয়ে শিক্ষকদের সাথে তামাশা শুরু করেছে।
তিনি আরো বলেন, আগামীকাল রবিবার বেলা ১২ টার মধ্যে যদি আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে না নেয়া হয়। তাহলে মার্চ টু যমুনা কর্মসূচি পালন করা হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ন্যায্য আন্দোলন চলবে।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস