ভিয়েনা ০২:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

শত্রুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মার্কিন বিচার বিভাগের প্রতি ট্রাম্পের আহ্বান

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ১২:৪৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৪ সময় দেখুন

ইবিটাইমস ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শত্রুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শনিবার মার্কিন বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সমালোচকরা বলছেন, এ ধরনের ধারাবাহিক পদক্ষেপ, বিচার বিভাগের চিরাচরিত স্বাধীনতাকে ভেঙে দিচ্ছে।

ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘পাম’-কে (সম্ভবত অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি) উদ্দেশ্য করে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর অ্যাডাম শিফ ও নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস, দু’জনই ডেমোক্র্যাট, তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

শিফ ও জেমসের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, তারা বন্ধকি আবেদনপত্রে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।

অভিযোগ করেছেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র, ফেডারেল হাউজিং ফাইন্যান্স এজেন্সির পরিচালক বিল পুল্ট।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমারা আর দেরী করতে পারি না, এটা আমাদের সুনাম ও বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করছে।’

এদিকে শুক্রবার ট্রাম্প জেমসের বিরুদ্ধে তদন্ত তদারকি করা সেই ফেডারেল প্রসিকিউটরকে বরখাস্ত করেছেন।

জানা গেছে, ওই প্রসিকিউটর বারবার বলছিলেন যে জেমসকে বন্ধকি জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ নেই।

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ও অন্যান্য মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানায়, ভার্জিনিয়ার ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের ইউএস অ্যাটর্নি এরিক সিবার্ট শুক্রবার কর্মীদের কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে তার পদত্যাগের কথা জানান।

শনিবার ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাকে (এরিক সিবার্ট) বরখাস্ত করেছি। জেমসের বিরুদ্ধে একটি শক্ত মামলা আছে এবং অনেক আইনজীবী ও বিশেষজ্ঞও তাই বলছেন।’

শিফ ও জেমস দুজনেই ট্রাম্পের সঙ্গে অতীতে বিভিন্ন সময় সংঘাতে জড়িয়েছেন।

তারা এমন কিছু তদন্তের নেতৃত্ব দিয়েছেন, যা রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে শিফ তখন ইউএস হাউসের সদস্য ছিলেন এবং প্রেসিডেন্টের প্রথম অভিশংসন মামলার প্রধান প্রসিকিউটর ছিলেন।

সেই মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ইউক্রেনকে ২০২০ সালের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার জন্য চাপ দিয়েছেন।

পরে সিনেট ট্রাম্পকে অভিশংসন থেকে মুক্তি দেয়।

২০২১ সালে ট্রাম্প দ্বিতীয়বার অভিশংসিত হন।

সেই সময়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ৬ জানুয়ারি ২০২১ কংগ্রেস ভবন আক্রমণে তার সমর্থকদের উসকানি দিয়েছেন।

প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর জেমস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বড় একটি সিভিল (দেওয়ানি) জালিয়াতির মামলা করেন।

অভিযোগ, ট্রাম্প ও তার কোম্পানি বেআইনিভাবে সম্পদের মূল্য বাড়িয়ে ব্যাংক ঋণ বা সুবিধাজনক বীমার শর্ত পেয়েছেন।

একটি রাজ্য আদালত ওই মামলায় ট্রাম্পকে ৪৬৪ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু উচ্চ আদালত পরে সেই আর্থিক দণ্ড বাতিল করে দেয়, যদিও মূল রায় বহাল থাকে।

শনিবার ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওই পোস্টে লিখেন, ‘তারা আমাকে দু’বার অভিশংসিত করেছে এবং ৫ বার মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। এখন ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠা করতে হবে!!!’

চলতি মাসের শুরুতে একটি মার্কিন আপিল আদালত লেখিকা ই. জিন ক্যারলের মানহানির মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৮৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলারের জরিমানা বহাল রেখেছে। আদালত রায় দেয় যে ট্রাম্প তাকে যৌন নিপীড়ন করেছেন।

গত বছর ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পর, তার বিরুদ্ধে গোপনীয় নথির অবৈধ ব্যবহার এবং ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগের তদন্ত স্থগিত করা হয়।
ঢাকা/এসএস

জনপ্রিয়

৩৩ বছর ধরে বন্ধ লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরি

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

শত্রুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মার্কিন বিচার বিভাগের প্রতি ট্রাম্পের আহ্বান

আপডেটের সময় ১২:৪৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইবিটাইমস ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শত্রুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শনিবার মার্কিন বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সমালোচকরা বলছেন, এ ধরনের ধারাবাহিক পদক্ষেপ, বিচার বিভাগের চিরাচরিত স্বাধীনতাকে ভেঙে দিচ্ছে।

ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘পাম’-কে (সম্ভবত অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি) উদ্দেশ্য করে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর অ্যাডাম শিফ ও নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস, দু’জনই ডেমোক্র্যাট, তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

শিফ ও জেমসের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, তারা বন্ধকি আবেদনপত্রে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।

অভিযোগ করেছেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র, ফেডারেল হাউজিং ফাইন্যান্স এজেন্সির পরিচালক বিল পুল্ট।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমারা আর দেরী করতে পারি না, এটা আমাদের সুনাম ও বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করছে।’

এদিকে শুক্রবার ট্রাম্প জেমসের বিরুদ্ধে তদন্ত তদারকি করা সেই ফেডারেল প্রসিকিউটরকে বরখাস্ত করেছেন।

জানা গেছে, ওই প্রসিকিউটর বারবার বলছিলেন যে জেমসকে বন্ধকি জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ নেই।

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ও অন্যান্য মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানায়, ভার্জিনিয়ার ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের ইউএস অ্যাটর্নি এরিক সিবার্ট শুক্রবার কর্মীদের কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে তার পদত্যাগের কথা জানান।

শনিবার ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাকে (এরিক সিবার্ট) বরখাস্ত করেছি। জেমসের বিরুদ্ধে একটি শক্ত মামলা আছে এবং অনেক আইনজীবী ও বিশেষজ্ঞও তাই বলছেন।’

শিফ ও জেমস দুজনেই ট্রাম্পের সঙ্গে অতীতে বিভিন্ন সময় সংঘাতে জড়িয়েছেন।

তারা এমন কিছু তদন্তের নেতৃত্ব দিয়েছেন, যা রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে শিফ তখন ইউএস হাউসের সদস্য ছিলেন এবং প্রেসিডেন্টের প্রথম অভিশংসন মামলার প্রধান প্রসিকিউটর ছিলেন।

সেই মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ইউক্রেনকে ২০২০ সালের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার জন্য চাপ দিয়েছেন।

পরে সিনেট ট্রাম্পকে অভিশংসন থেকে মুক্তি দেয়।

২০২১ সালে ট্রাম্প দ্বিতীয়বার অভিশংসিত হন।

সেই সময়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ৬ জানুয়ারি ২০২১ কংগ্রেস ভবন আক্রমণে তার সমর্থকদের উসকানি দিয়েছেন।

প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর জেমস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বড় একটি সিভিল (দেওয়ানি) জালিয়াতির মামলা করেন।

অভিযোগ, ট্রাম্প ও তার কোম্পানি বেআইনিভাবে সম্পদের মূল্য বাড়িয়ে ব্যাংক ঋণ বা সুবিধাজনক বীমার শর্ত পেয়েছেন।

একটি রাজ্য আদালত ওই মামলায় ট্রাম্পকে ৪৬৪ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু উচ্চ আদালত পরে সেই আর্থিক দণ্ড বাতিল করে দেয়, যদিও মূল রায় বহাল থাকে।

শনিবার ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওই পোস্টে লিখেন, ‘তারা আমাকে দু’বার অভিশংসিত করেছে এবং ৫ বার মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। এখন ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠা করতে হবে!!!’

চলতি মাসের শুরুতে একটি মার্কিন আপিল আদালত লেখিকা ই. জিন ক্যারলের মানহানির মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৮৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলারের জরিমানা বহাল রেখেছে। আদালত রায় দেয় যে ট্রাম্প তাকে যৌন নিপীড়ন করেছেন।

গত বছর ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পর, তার বিরুদ্ধে গোপনীয় নথির অবৈধ ব্যবহার এবং ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগের তদন্ত স্থগিত করা হয়।
ঢাকা/এসএস