ভিয়েনা ০২:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে নেয়া হচ্ছে ওসমান হাদির মরদেহ শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ বহনকারী ফ্লাইট দেশে অবতরণ করেছে লালমোহন পৌরসভার সাবেক মেয়র তুহিন গ্রেফতার হাদীর খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে টাঙ্গাইলে জামায়াতে বিক্ষোভ মিছিল ভোলা-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী হাফিজের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ সড়ক নির্মাণে অনিয়ম! বন্ধ থাকা কাজ শুরু করলেও জানেনা অফিস কর্তৃপক্ষ বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে আমরা আশাবাদী, তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন : ডা. জাহিদ ভোলা-৩ আসনে বিডিপি প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ নয়ানীগ্রাম যুব তাফসীর কমিটির উদ্যোগে দুই দিনের ইসলামী মহা সম্মেলন টাঙ্গাইলে ২৪ ঘণ্টায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ’লীগের ১৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ভাঙন পরিদর্শনে এলজিইডি

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ১১:১২:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫২ সময় দেখুন

ইবিটাইমস ডেস্ক : রংপুর জেলার গঙ্গাচড়ায় পানির তোড়ে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের প্রায় ৮০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সেই ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃপক্ষ। এলজিইডি ঢাকার রিভার ট্রেনিং ইঞ্জিনিয়ার কনসালটেন্ট প্রকৌশলী ড. লুৎফর রহমান এ পরিদর্শন পরিচালনা করেন।

স্থানীয়রা জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। প্রবল স্রোতে কয়েকদিন ধরে ভাঙন অব্যাহত থাকলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ঢাকা থেকে এলজিইডি টিম পরিদর্শন করার পর এলাকাবাসীর মনে নতুন শংকা তৈরি হয়েছে। তারা বলেন, বর্তমান অবস্থায় ভাঙন রোধের কাজ শুরু করলে বাঁধের আরও বেশকিছু অংশ ভেঙে যেতে পারে।

স্থানীয় লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের মহিপুর এলাকার বাসিন্দা মনতাজ মিয়া বলেন, ‘আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ এসে পরিদর্শন করল ঠিকই, কিন্তু কবে কাজ শুরু করবে তা জানি না। আমরা চাই দ্রুত এখানে ভাঙনরোধের কাজ শুরু হোক। না হলে তিস্তা সেতুও হুমকির মুখে পড়বে।’

লক্ষ্মিটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী জানান, বাঁধ ভাঙনের বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বাঁধের রক্ষণাবেক্ষণকারী কর্তৃপক্ষ এলজিইডিকে জানানো হয়েছে। তারা জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার কথা বলেছে। এর আগে বাঁধ যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তখন এলজিইডিকে জানালে নির্বাহী প্রকৌশলী সরেজমিনে পরিদর্শন করে তা মেরামতের আশ্বাস দেন। কিন্তু পরবর্তীতে কোনো কাজ করেনি। ফলে আজ বাঁধের বড় অংশ ভেঙে গেছে। যেহেতু উজান থেকে পানি হু হু করে ঢুকছে, তাই পানির স্রোতে পুরো বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এতে করে তিস্তা সেতু, রংপুর-লালমনিরহাট সড়ক, শংকরদহ, ইছলীসহ কয়েকটি চরগ্রাম ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

এলজিইডি রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসা বাসসকে বলেন, আমাদের ঢাকা থেকে কারিগরি টিম এসেছে। তারা পরিদর্শন করে রিপোর্ট প্রদান করলে সেই অনুযায়ী কাজ করা হবে।

এলজিইডি ঢাকা অফিসের কর্মকর্তা রিভার ট্রেনিং ইঞ্জিনিয়ার কনসালটেন্ট প্রকৌশলী ড. লুৎফর রহমান বলেন, নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সংকট মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, রংপুরের সঙ্গে লালমনিরহাটের যোগাযোগ সহজ করতে ২০১৮ সালে এলজিইডি ১৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে গঙ্গাচড়ার মহিপুরে তিস্তা নদীর ওপর দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ করে। চলতি বছরের আগস্ট মাসে উজানের ঢলের তীব্র স্রোত সরাসরি বাঁধে আঘাত হানে । এতে করে বাঁধের নিচের অংশের মাটি ভেসে গিয়ে ব্লকগুলো ধসে পড়ে।
ঢাকা/এসএস

জনপ্রিয়

হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে নেয়া হচ্ছে ওসমান হাদির মরদেহ

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ভাঙন পরিদর্শনে এলজিইডি

আপডেটের সময় ১১:১২:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইবিটাইমস ডেস্ক : রংপুর জেলার গঙ্গাচড়ায় পানির তোড়ে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের প্রায় ৮০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সেই ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃপক্ষ। এলজিইডি ঢাকার রিভার ট্রেনিং ইঞ্জিনিয়ার কনসালটেন্ট প্রকৌশলী ড. লুৎফর রহমান এ পরিদর্শন পরিচালনা করেন।

স্থানীয়রা জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। প্রবল স্রোতে কয়েকদিন ধরে ভাঙন অব্যাহত থাকলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ঢাকা থেকে এলজিইডি টিম পরিদর্শন করার পর এলাকাবাসীর মনে নতুন শংকা তৈরি হয়েছে। তারা বলেন, বর্তমান অবস্থায় ভাঙন রোধের কাজ শুরু করলে বাঁধের আরও বেশকিছু অংশ ভেঙে যেতে পারে।

স্থানীয় লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের মহিপুর এলাকার বাসিন্দা মনতাজ মিয়া বলেন, ‘আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ এসে পরিদর্শন করল ঠিকই, কিন্তু কবে কাজ শুরু করবে তা জানি না। আমরা চাই দ্রুত এখানে ভাঙনরোধের কাজ শুরু হোক। না হলে তিস্তা সেতুও হুমকির মুখে পড়বে।’

লক্ষ্মিটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী জানান, বাঁধ ভাঙনের বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বাঁধের রক্ষণাবেক্ষণকারী কর্তৃপক্ষ এলজিইডিকে জানানো হয়েছে। তারা জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার কথা বলেছে। এর আগে বাঁধ যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তখন এলজিইডিকে জানালে নির্বাহী প্রকৌশলী সরেজমিনে পরিদর্শন করে তা মেরামতের আশ্বাস দেন। কিন্তু পরবর্তীতে কোনো কাজ করেনি। ফলে আজ বাঁধের বড় অংশ ভেঙে গেছে। যেহেতু উজান থেকে পানি হু হু করে ঢুকছে, তাই পানির স্রোতে পুরো বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এতে করে তিস্তা সেতু, রংপুর-লালমনিরহাট সড়ক, শংকরদহ, ইছলীসহ কয়েকটি চরগ্রাম ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

এলজিইডি রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসা বাসসকে বলেন, আমাদের ঢাকা থেকে কারিগরি টিম এসেছে। তারা পরিদর্শন করে রিপোর্ট প্রদান করলে সেই অনুযায়ী কাজ করা হবে।

এলজিইডি ঢাকা অফিসের কর্মকর্তা রিভার ট্রেনিং ইঞ্জিনিয়ার কনসালটেন্ট প্রকৌশলী ড. লুৎফর রহমান বলেন, নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সংকট মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, রংপুরের সঙ্গে লালমনিরহাটের যোগাযোগ সহজ করতে ২০১৮ সালে এলজিইডি ১৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে গঙ্গাচড়ার মহিপুরে তিস্তা নদীর ওপর দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ করে। চলতি বছরের আগস্ট মাসে উজানের ঢলের তীব্র স্রোত সরাসরি বাঁধে আঘাত হানে । এতে করে বাঁধের নিচের অংশের মাটি ভেসে গিয়ে ব্লকগুলো ধসে পড়ে।
ঢাকা/এসএস