ভিয়েনা ১০:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক ইহুদি ভোটাররা মামদানিকে ভোট দিয়েছেন অভিযুক্ত ১৫ শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতির বিষয়ে যা জানালো সেনা সদর হাঙ্গেরিতে পুতিন-ট্রাম্প বৈঠকের জন্য শর্ত এখনও পূরণ হয়নি – রাশিয়া টাঙ্গাইলে মুগ বলে মথবিজ ডাল বিক্রি, রঙ মিশ্রণ : দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা লালমোহনে ধানের শীষের প্রচারণায় শ্রমিকদল সভাপতি লোকমান হোসেন লঞ্চঘাটে অতিরিক্ত যাত্রী টোল আদায়, ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ধানের শীষকে জয়ীকে করার আহ্বান এ্যাড. জয়নুল আবেদীনের গুজব প্রতিরোধে ভোলায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ‎ টাঙ্গাইলে পৃথক ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার-বীজ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন

অস্ট্রেলিয়ায় মেয়ের জীবন বাঁচাতে গিয়ে সমুদ্রে ডুবে প্রাণ হারালেন বাংলাদেশী দম্পতি

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০২:৫৪:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৩৪ সময় দেখুন

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থের ওয়ালপোল সৈকতে ঘটে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা, মেয়ের প্রাণ বাঁচাতে নিজেদের প্রাণ বিলিয়ে দিলেন বাবা-মা

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুই কন্যা সুবাহ ও সিয়ানাকে নিয়ে ওয়ালপোল এলাকায় ভ্রমণে যান এ দম্পতি। পরদিন শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুরে ওয়ালপোল সৈকতে ঘুরতে গিয়েছিলেন তারা। ক্রিসমাসের ছুটিতে তারা সমুদ্র উপভোগ করছিলেন, কিন্তু সেই আনন্দ মুহূর্তেই এক মর্মান্তিক বিপর্যয়ে রূপ নেয়।

সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের ছোট্ট সিয়ানা হঠাৎ তলিয়ে যায়। উপায়ন্তুর না বুঝে তাকে রক্ষা করতে স্বপন ও পাপড়ি নির্দ্বিধায় পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাদের এই সাহসী পদক্ষেপে বেঁচে যায় সিয়ানা, কিন্তু নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতে হয় তাদের। মেয়েকে বাঁচাতে তারা যেন মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। বাবা-মায়ের এক অভাবনীয় আত্মত্যাগে কন্যার জীবন রক্ষার এই কাহিনী যেন কল্পকাহিনীকেও হার মানায়।

স্থানীয় পুলিশ সমুদ্র থেকে তাদের নিথর দেহ উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন আরেক সাহসী বাংলাদেশি সজীব নন্দী, যিনি তাদের সফরসঙ্গী ছিলেন, তাদের কন্যাকে বাঁচাতে তিনিও নির্দ্বিধায় সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। ভাগ্যক্ৰমে তিনি প্রাণে বেঁচে বর্তমানে পার্থের ডেন্মার্ক্ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

নিহত দম্পতির মরদেহ এখনো হাসপাতাল মর্গে আছে। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) লাশগুলো হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে। স্বপনের সহকর্মী অধ্যাপক ড. প্রবির সরকার সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এই দুঃসংবাদে তিনি এতটাই মর্মাহত যে, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল।

নিহত স্বপন ছিলেন কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক এবং নগর পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক। এ ছাড়া স্বপন এবং পাপড়ি দুজনই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা (ইউআরপি) ডিসিপ্লিনের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস 

মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক ইহুদি ভোটাররা মামদানিকে ভোট দিয়েছেন

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

অস্ট্রেলিয়ায় মেয়ের জীবন বাঁচাতে গিয়ে সমুদ্রে ডুবে প্রাণ হারালেন বাংলাদেশী দম্পতি

আপডেটের সময় ০২:৫৪:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থের ওয়ালপোল সৈকতে ঘটে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা, মেয়ের প্রাণ বাঁচাতে নিজেদের প্রাণ বিলিয়ে দিলেন বাবা-মা

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুই কন্যা সুবাহ ও সিয়ানাকে নিয়ে ওয়ালপোল এলাকায় ভ্রমণে যান এ দম্পতি। পরদিন শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুরে ওয়ালপোল সৈকতে ঘুরতে গিয়েছিলেন তারা। ক্রিসমাসের ছুটিতে তারা সমুদ্র উপভোগ করছিলেন, কিন্তু সেই আনন্দ মুহূর্তেই এক মর্মান্তিক বিপর্যয়ে রূপ নেয়।

সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের ছোট্ট সিয়ানা হঠাৎ তলিয়ে যায়। উপায়ন্তুর না বুঝে তাকে রক্ষা করতে স্বপন ও পাপড়ি নির্দ্বিধায় পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাদের এই সাহসী পদক্ষেপে বেঁচে যায় সিয়ানা, কিন্তু নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতে হয় তাদের। মেয়েকে বাঁচাতে তারা যেন মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। বাবা-মায়ের এক অভাবনীয় আত্মত্যাগে কন্যার জীবন রক্ষার এই কাহিনী যেন কল্পকাহিনীকেও হার মানায়।

স্থানীয় পুলিশ সমুদ্র থেকে তাদের নিথর দেহ উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন আরেক সাহসী বাংলাদেশি সজীব নন্দী, যিনি তাদের সফরসঙ্গী ছিলেন, তাদের কন্যাকে বাঁচাতে তিনিও নির্দ্বিধায় সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। ভাগ্যক্ৰমে তিনি প্রাণে বেঁচে বর্তমানে পার্থের ডেন্মার্ক্ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

নিহত দম্পতির মরদেহ এখনো হাসপাতাল মর্গে আছে। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) লাশগুলো হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে। স্বপনের সহকর্মী অধ্যাপক ড. প্রবির সরকার সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এই দুঃসংবাদে তিনি এতটাই মর্মাহত যে, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল।

নিহত স্বপন ছিলেন কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক এবং নগর পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক। এ ছাড়া স্বপন এবং পাপড়ি দুজনই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা (ইউআরপি) ডিসিপ্লিনের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস