ভিয়েনা ০৪:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এবং অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সাক্ষাৎ

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৬:০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৮ সময় দেখুন

ইবিটাইমস ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে বিদেশে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার এবং বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করছে। মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেন।

হেলেন লাফেভ বলেন, য্ক্তুরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে পরামর্শ ও অন্যান্য সহায়তা দিয়ে অর্থ উদ্ধার এবং তা বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করছে। ‘চুরি করা টাকা ফেরত দেওয়া কঠিন, কিন্তু এটা অসম্ভব নয়,’ বলেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এটি করব।’

এসময় একজন শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে লাফেভের দায়িত্ব পালন ও সেবার প্রশংসা করেন প্রধান উপদেষ্টা। একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তার আন্তরিক প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন তিনি। জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থী-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করে হেলেন লাফেভ বলেন, ‘আমি ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে খুবই গর্বিত।’

এসময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিকেনের একটি চিঠি অধ্যাপক ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছেন মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স।

এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ সফরকারী সর্বোচ্চ পর্যায়ের অস্ট্রেলীয় কর্মকর্তা হিসেবে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, তার সরকার ঢাকায় আবারও ভিসা কেন্দ্র চালু এবং বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অনিয়মিত অভিবাসন প্রতিরোধে আলোচনা চালাতে আগ্রহী।

অধ্যাপক ইউনূস দেশের সঙ্কটপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশ সফর এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যকম পরিচালনায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করায় অস্ট্রেলীয় মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। বার্ক তার নিজের নির্বাচনী এলাকায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করে উল্লেখ করে বলেন, তিনি বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলন পরিস্থিতির ওপর গভীর নজর রেখেছিলেন এবং স্বৈরাচার পতনের পর প্রবাসী বাংলাদেশিরা যে আনন্দ উদযাপন করেছে তা তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন।

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী জনমানুষের প্রত্যাশার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক আশাবাদ ও প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।’ অধ্যাপক ইউনূস উল্লেখ করেন, দেশ পুনর্গঠন একটি বৃহৎ কাজ, কারণ স্বৈরাচারী শাসন সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে এবং অর্থনীতি একেবারে ভেঙে পড়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ বিশাল। মানুষের প্রত্যাশা মেটানো সবচেয়ে কঠিন কাজ। তবে দেশবাসী ধৈর্য ধরেছে। দেশকে পুননির্মাণ করতে হবে।’

ডেস্ক/ইবিটাইমস/এনএল/আরএন

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এবং অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সাক্ষাৎ

আপডেটের সময় ০৬:০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

ইবিটাইমস ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে বিদেশে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার এবং বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করছে। মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেন।

হেলেন লাফেভ বলেন, য্ক্তুরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে পরামর্শ ও অন্যান্য সহায়তা দিয়ে অর্থ উদ্ধার এবং তা বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করছে। ‘চুরি করা টাকা ফেরত দেওয়া কঠিন, কিন্তু এটা অসম্ভব নয়,’ বলেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এটি করব।’

এসময় একজন শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে লাফেভের দায়িত্ব পালন ও সেবার প্রশংসা করেন প্রধান উপদেষ্টা। একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তার আন্তরিক প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন তিনি। জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থী-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করে হেলেন লাফেভ বলেন, ‘আমি ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে খুবই গর্বিত।’

এসময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিকেনের একটি চিঠি অধ্যাপক ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছেন মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স।

এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ সফরকারী সর্বোচ্চ পর্যায়ের অস্ট্রেলীয় কর্মকর্তা হিসেবে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, তার সরকার ঢাকায় আবারও ভিসা কেন্দ্র চালু এবং বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অনিয়মিত অভিবাসন প্রতিরোধে আলোচনা চালাতে আগ্রহী।

অধ্যাপক ইউনূস দেশের সঙ্কটপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশ সফর এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যকম পরিচালনায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করায় অস্ট্রেলীয় মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। বার্ক তার নিজের নির্বাচনী এলাকায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করে উল্লেখ করে বলেন, তিনি বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলন পরিস্থিতির ওপর গভীর নজর রেখেছিলেন এবং স্বৈরাচার পতনের পর প্রবাসী বাংলাদেশিরা যে আনন্দ উদযাপন করেছে তা তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন।

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী জনমানুষের প্রত্যাশার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক আশাবাদ ও প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।’ অধ্যাপক ইউনূস উল্লেখ করেন, দেশ পুনর্গঠন একটি বৃহৎ কাজ, কারণ স্বৈরাচারী শাসন সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে এবং অর্থনীতি একেবারে ভেঙে পড়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ বিশাল। মানুষের প্রত্যাশা মেটানো সবচেয়ে কঠিন কাজ। তবে দেশবাসী ধৈর্য ধরেছে। দেশকে পুননির্মাণ করতে হবে।’

ডেস্ক/ইবিটাইমস/এনএল/আরএন