ভিয়েনা ০৯:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ৬ লাখ মানুষের একসাথে ঈদের নামাজ আদায়

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৫:৫৭:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪
  • ১০ সময় দেখুন

সকাল ৯টার আগেই ঈদ জামায়াতে অংশ নিতে আসা মুসল্লিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায় ঈদগাহ ময়দান, ঈদগাহে নামাজ আদায় করেছেন প্রায় ৬ লাখ মুসল্লি

ইবিটাইমস ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন সকাল ১০টায় ১৯৭তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্র জানায়, সকাল ৯টার আগেই ঈদ জামায়াতে অংশ নিতে আসা মুসল্লিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায় ঈদগাহ ময়দান। ঈদগাহে নামাজ আদায় করেছেন লাখ লাখ মুসল্লি।

ঈদ জামায়াত পরিচালনা করেন স্থানীয় বড় বাজার মসজিদের ইমাম শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ। নামাজ শেষে শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, “স্মরণকালের বৃহত্তম এবারের ঈদ জামাতে আনুমানিক ৬ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন।”

রেওয়াজ অনুযায়ী জামাত শুরুর আগে তিনবার বন্দুকের গুলি ফুটিয়ে নামাজ শুরুর প্রস্তুতি নিতে সংকেত এবং জামায়াত ও খুতবা শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। ঈদ জামায়াতে দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য ‘শোলাকিয়া স্পেশাল’ নামে দুটি ট্রেনের ব্যবস্থা করে রেল কর্তৃপক্ষ। ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুটি বিশেষ ট্রেন কিশোরগঞ্জে আসে।

সর্বোচ্চ সতর্কতা ও চার স্তরের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতরের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে টুপি, মাস্ক ও জায়নামাজ ছাড়া সব কিছু বহন এবং শহরে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। মুসল্লিদের সহায়তার জন্য মাঠে স্বেচ্ছাসেবক দল এবং কয়েকটি মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করে।

কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, ২০১৬ সালে শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার কথা মাথায় রেখে এবার চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নামাজের সময় পাঁচ প্লাটুন বিজিবি, বিপুল পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার সদস্যের সমন্বয়ে নিরাপত্তা বলয়ের পাশাপাশি মাঠে সাদা পোশাকে নজরদারি করেছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। ময়দানে প্রবেশপথগুলোতে ছিল সিসি ক্যামেরা ও ৬টি ওয়াচ টাওয়ার। এ ছাড়া, আকাশে উড়েছে পুলিশের ৪টি ড্রোন ক্যামেরা। ছয়টি ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে মাঠ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।

ইতিহাস থেকে জানা যায়,বাংলার বারো ভূইঁয়ার অন্যতম ঈশা খাঁর ষষ্ঠ বংশধর দেওয়ান হযবত খান বাহাদুর কিশোরগঞ্জের জমিদারি প্রতিষ্ঠার পর ইংরেজি ১৮২৮ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় সাত একর জমির ওপর এ ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন।

ওই বছর শোলাকিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে প্রায় সোয়া লাখ মুসুল্লি অংশগ্রহণ করেন বলে মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখি মাঠ’। সেখান থেকে উচ্চারণের বিবর্তনে নাম ‘শোলাকিয়া মাঠে’ পরিণত হয়েছে। প্রায় সাত একর আয়তনের মাঠটিতে ২৬৫টি কাতার রয়েছে।

নামাজ শেষে দেশ ও দেশের মানুষসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়

জুলাই সনদ সইয়ের ঐতিহাসিক মুহূর্তে সকলকে অংশগ্রহণ করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ৬ লাখ মানুষের একসাথে ঈদের নামাজ আদায়

আপডেটের সময় ০৫:৫৭:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪

সকাল ৯টার আগেই ঈদ জামায়াতে অংশ নিতে আসা মুসল্লিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায় ঈদগাহ ময়দান, ঈদগাহে নামাজ আদায় করেছেন প্রায় ৬ লাখ মুসল্লি

ইবিটাইমস ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন সকাল ১০টায় ১৯৭তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্র জানায়, সকাল ৯টার আগেই ঈদ জামায়াতে অংশ নিতে আসা মুসল্লিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায় ঈদগাহ ময়দান। ঈদগাহে নামাজ আদায় করেছেন লাখ লাখ মুসল্লি।

ঈদ জামায়াত পরিচালনা করেন স্থানীয় বড় বাজার মসজিদের ইমাম শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ। নামাজ শেষে শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, “স্মরণকালের বৃহত্তম এবারের ঈদ জামাতে আনুমানিক ৬ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন।”

রেওয়াজ অনুযায়ী জামাত শুরুর আগে তিনবার বন্দুকের গুলি ফুটিয়ে নামাজ শুরুর প্রস্তুতি নিতে সংকেত এবং জামায়াত ও খুতবা শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। ঈদ জামায়াতে দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য ‘শোলাকিয়া স্পেশাল’ নামে দুটি ট্রেনের ব্যবস্থা করে রেল কর্তৃপক্ষ। ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুটি বিশেষ ট্রেন কিশোরগঞ্জে আসে।

সর্বোচ্চ সতর্কতা ও চার স্তরের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতরের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে টুপি, মাস্ক ও জায়নামাজ ছাড়া সব কিছু বহন এবং শহরে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। মুসল্লিদের সহায়তার জন্য মাঠে স্বেচ্ছাসেবক দল এবং কয়েকটি মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করে।

কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, ২০১৬ সালে শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার কথা মাথায় রেখে এবার চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নামাজের সময় পাঁচ প্লাটুন বিজিবি, বিপুল পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার সদস্যের সমন্বয়ে নিরাপত্তা বলয়ের পাশাপাশি মাঠে সাদা পোশাকে নজরদারি করেছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। ময়দানে প্রবেশপথগুলোতে ছিল সিসি ক্যামেরা ও ৬টি ওয়াচ টাওয়ার। এ ছাড়া, আকাশে উড়েছে পুলিশের ৪টি ড্রোন ক্যামেরা। ছয়টি ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে মাঠ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।

ইতিহাস থেকে জানা যায়,বাংলার বারো ভূইঁয়ার অন্যতম ঈশা খাঁর ষষ্ঠ বংশধর দেওয়ান হযবত খান বাহাদুর কিশোরগঞ্জের জমিদারি প্রতিষ্ঠার পর ইংরেজি ১৮২৮ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় সাত একর জমির ওপর এ ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন।

ওই বছর শোলাকিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে প্রায় সোয়া লাখ মুসুল্লি অংশগ্রহণ করেন বলে মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখি মাঠ’। সেখান থেকে উচ্চারণের বিবর্তনে নাম ‘শোলাকিয়া মাঠে’ পরিণত হয়েছে। প্রায় সাত একর আয়তনের মাঠটিতে ২৬৫টি কাতার রয়েছে।

নামাজ শেষে দেশ ও দেশের মানুষসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস